![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
১. বলুনঃ আমার প্রতি ওহী নাযিল হয়েছে যে, জিনদের একটি দল কোরআন শ্রবণ করেছে, অতঃপর তারা বলেছেঃ আমরা বিস্ময়কর কোরআন শ্রবণ করেছি।
২. যা সৎপথ প্রদর্শন করে। ফলে আমরা তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছি। আমরা কখনও আমাদের পালনকর্তার সাথে কাউকে শরীক করব না।
৩. এবং আরও বিশ্বাস করি যে, আমাদের পালনকর্তার মহান মর্যাদা সবার উর্ধ্বে। তিনি কোন পত্নী গ্রহণ করেননি এবং তাঁর কোন সন্তান নেই।
৪. আমাদের মধ্যে নির্বোধেরা আল্লাহ্ তা'আলা সম্পর্কে বাড়াবাড়ির কথাবার্তা বলত।
৫. অথচ আমরা মনে করতাম, মানুষ ও জিন কখনও আল্লাহ্ সম্পর্কে মিথ্যা বলতে পারে না।
৬. অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিত।
৭. তারা ধারণা করত, যেমন তোমরা মানবেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ্ তা'আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবেন না।
৮. আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করেছি, অতঃপর দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।
৯. আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।
১০. আমরা জানি না পৃথিবীবাসীদের অমঙ্গল সাধন করা অভীষ্ট, না তাদের পালনকর্তা তাদের মঙ্গল সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।
১১. আমাদের কেউ কেউ সৎকর্মপরায়ণ এবং কেউ কেউ এরূপ নয়। আমরা ছিলাম বিভিন্ন পথে বিভক্ত।
১২. আমরা বুঝতে পেরেছি যে, আমরা পৃথিবীতে আল্লাহ তা'আলাকে পরাস্ত করতে পারব না এবং পলায়ন করেও তাকে অপারক করতে পারব না।
১৩. আমরা যখন সুপথের নির্দেশ শুনলাম, তখন তাতে বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব, যে তার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে লোকসান ও জোর-জবরের আশংকা করে না।
১৪. আমাদের কিছুসংখ্যক আজ্ঞাবহ এবং কিছুসংখ্যক অন্যায়কারী। যারা আজ্ঞাবহ হয়, তারা সৎপথ বেছে নিয়েছে।
১৫. আর যারা অন্যায়কারী, তারা তো জাহান্নামের ইন্ধন।
১৬. আর এই প্রত্যাদেশ করা হয়েছে যে, তারা যদি সত্যপথে কায়েম থাকত, তবে আমি তাদেরকে প্রচুর পানি বর্ষণে সিক্ত করতাম
১৭. যাতে এ ব্যাপারে তাদেরকে পরীক্ষা করি। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার স্মরণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তিনি তাকে উদীয়মান আযাবে পরিচালিত করবেন। :
১৮. এবং এই ওহীও করা হয়েছে যে, মসজিদসমূহ আল্লাহ্ তা'আলাকে স্মরণ করার জন্য। অতএব, তোমরা আল্লাহ্ তা'আলার সাথে কাউকে ডেকো না।
১৯. আর যখন আল্লাহ্ তা'আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্য দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে ভিড় জমাল।
২০. বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।
২১. বলুনঃ আমি তোমাদের ক্ষতি সাধন করার ও সুপথে আনয়ন করার মালিক নই।
২২. বলুনঃ আল্লাহ্ তা'আলার কবল থেকে আমাকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না এবং তিনি ব্যতীত আমি কোন আশ্রয়স্থল পাব না।
২৩. কিন্তু আল্লাহ্ তা'আলার বাণী পৌঁছানো ও তাঁর পয়গাম প্রচার করাই আমার কাজ। যে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি। তথায় তারা চিরকাল থাকবে।
২৪. এমনকি যখন তারা প্রতিশ্রুত শাস্তি দেখতে পাবে, তখন তারা জানতে পারবে, কার সাহায্যকারী দূর্বল এবং কার সংখ্যা কম।
২৫. বলুনঃ আমি জানি না তোমাদের প্রতিশ্রত বিষয় আসন্ন না আমার পালনকর্তা এর জন্যে কোন মেয়াদ স্থির করে রেখেছেন।
২৬. তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
২৭. তাঁর মনোনীত রসুল ব্যতীত। তখন তিনি তাঁর অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন।
২৮. যাতে আল্লাহ্ তা'আলা জেনে নেন যে, রসুলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌঁছিয়েছেন কি না। রসুলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান-গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: ২৬. তিনি অদৃশ্যের জ্ঞানী। পরন্ত তিনি অদৃশ্য বিষয় কারও কাছে প্রকাশ করেন না।
২৭. তাঁর মনোনীত রসুল ব্যতীত। তখন তিনি তাঁর অগ্রে ও পশ্চাতে প্রহরী নিযুক্ত করেন।
২৮. যাতে আল্লাহ্ তা'আলা জেনে নেন যে, রসুলগণ তাঁদের পালনকর্তার পয়গাম পৌঁছিয়েছেন কি না। রসুলগণের কাছে যা আছে, তা তাঁর জ্ঞান-গোচর। তিনি সবকিছুর সংখ্যার হিসাব রাখেন।