নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন

মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মর্গ যাত্রা ও অাতত্নহত্যা

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৪

জগৎ অনেক বড় একটা বৃত্ত কিন্তুু এই মুহুর্তে অামার জগৎ ছোট একটি বৃত্তের মধ্যে অাটকানো কারন অামি তেহেরী খাচ্ছি অার প্লেটে মাংস খুঁজছি।
কাচ্চিরসা অর্ডার করার পরও অর্ডারবয় মামাটি কাচ্চিরসা অানতে পারেনি।অর্ডার শুনে বরং অামাকেই উল্টো প্রশ্ন করেছে,মামা কাচ্চিরসা কি???
অামি তাকে বুঝিয়ে দিলাম..কাচ্চি বিরিয়ানী বিক্রি শেষে কাচ্চি বিরিয়ানী অার তেলের মিশ্রনে যে রস তৈরি হহয় তাকে কাচ্চিরসা বলে।
না মামা পুরা নীলক্ষেতে এটা পাবেন না।বাদ দেন।অাজ অারেকটা মিশন অাছে তাই কাচ্চিরসা মিশন এখানেই সমাপ্তি।
মিশন ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ।লাশ কাটাকাটি স্বচক্ষে দেখা মেডিকেল ভাষায় যাকে বলে ময়নাতদন্ত।রিক্সা নিয়ে হাজির হলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে।স্যারের একটা লেকচার শেষে ডিরেক্ট চলে গেলাম মর্গে।মর্গের অাশেপাশে ভাবছিলাম অনেক লোকজনের ভীড় থাকবে।কান্নাকাটির রোল থাকবে।কিন্তুু এমন কিছুই দেখলাম না।দুই একজন শুধু মুখ শুকনো করে গম্ভীর হয়ে অাশেপাশে হাঁটাহাটি করছে।চিন্তা একটাই এইখান থেকে যে রিপোর্টি হবে সেটা হয়তো নির্ধারন করবে কারো ফাঁসি,যাবৎজ্জীবন অথবা বেকসুর খালাস।
ডোম সম্পর্কে ধারনা ছিল,অনেক বড় গোঁফওয়ালা মোটাসোটা অার কালো হেব্বি স্বাস্থ্যবান হবে তামিল সিনেমার ভিলেনের বডিগার্ড টাইপ।কিন্তুু সেরকম কিছুই না।ডোম অাংকেল হেব্বি স্মার্ট অার এক্সপার্ট তবে বলতে হবে সাহসী।উনি লাশ কাটার সময় চরমভাবে বর্ননা দিলেন অার অামরা যাতে সবাই লাশকাটা ভালোভাবে দেখতে পারি তার জন্য সাইড থেকে মাঝে লাশ এনে দেখালেন।

যতগুলো ময়নাতদন্ত দেখলাম তার মধ্যে বেশির ভাগই অন্তহত্যার কেস।স্পেসিফিক ভাবে বলতে গেলে চারটা হেংগিং(গলায় দড়ি অথবা ওড়না পেচিয়ে অন্তহত্যা),
একটা রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্টের অারেকটা সেক্সুয়াল্ট এসাল্ট তারপর হত্যা(ধর্ষন+হত্যা),অারেকটা মাথার পিছনে অাঘাত করে হত্যা(মার্ডার)।

সবগুলো লাশেরই প্রথমে পেট থেকে কাটা শুরু হয়।সার্নাম কেটে তোলে ফেলা হয়।বুক খোলে যায়।তারপর একে একে ফুসফুস,হার্ট,লিভার,কিডনী কেটে দেখা হয়।এরপর গলায় দড়ি দিয়ে অন্তহত্যা হলে গলা থেকে চামড়া তোলে চামড়ার নিচে দেখা হয়।তারপর মাথা হাতুড়ি অার স্পেশাল একটা ভোতা জিনিস দিয়ে মাথার খুলে সহজেই খোলে ফেলা হয়।রোড ট্রাফিক এক্সিডেন্ট হলে হাড় ভাঙ্গা থাকলে সেখানে কেটে দেখা হয়।এভাবে সব রকম ইনফরমেশন কালেক্ট করার পর শেষ হয় পোস্ট
মর্টাম ময়নাতদন্ত।

স্ট্যাটিস্টিকস যা বলে বেশির ভাগ কেসই গলায় দড়ি কিংবা ওড়না দিয়ে অন্তহত্য অার সবগুলাই মেয়ে।বেশির ভাগই ২০-২৫ বছর বয়সের মধ্যে।
Suicide Latin suicidium, from sui caedere, "to kill oneself" is the act of intentionally causing one's own death.
বিশ্বের মৃত্যুর ১০ তম কারন অাত্নহত্যা।মোট অান্তহত্যার চারভাগ মহিলা।
বাংলাদেশে এর হার 2.06%।অার গত সাত বছরে মোট 73,389 জন অান্তহত্যা করেছে তার মধ্যে 31,857 জন গলায় ওড়না কিংবা দড়ি দিয়ে অাত্নহত্যা করেছে।এর মধ্যে 89% মহিলা অার অবিবাহিত।প্রতি এক লাখে ১২৯ জন অাত্নহত্যা করে।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
1.চার জন অঙ্গান হয়ে পড়ে গীয়েছিল
2.ডোম সম্পর্কে ধরনার পরিবর্তন
3.মর্গ সম্পরকে অপরূপ ধারনা
4.মর্গের ভিতরে গন্ধে যেমন থাকার কথা তেমন নেই বললেই চলে
5.লাশ যেভাবে কাটা হয় সেটা দেখলে হয়তো অার অাত্নহত্যার প্রবনতা কিছুটা কমে যেত
6.সবচেয়ে বেশি লাশ মর্গে অাসে অান্তহত্যার কেস
অার সবচেয়ে বেশি হ্যাংগিং
7.মর্গে যত্রতত্র লাশ ফেলে রাখা হয় না। মোটামুটি প্রসেস করে লাশ রাখা হয়
8.অাশেপাশে এত অাত্নহত্য হয় যেটা মর্গে না গেলে কখনো বোঝা সম্ভব নয় অামার ধারনা
9.রোড় ট্রাফিক এক্সিডেন্ট (মার্ডার অার ধর্ষনের মত ভয়াবহ কাজগুলোর) স্ট্যাটিস্টিকস জানার জন্য একজন ডোমকে জিঙ্গাসাবাদই যথেষ্ট।
Comming soon next CRP(Centre for rehabilitation and the paralysis)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.