নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গন্তব্যহীন সোশিওপ্যাথের পরিচয় দিয়ে কি হবে?

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার

আইম ব্যাড এন্ড দ্যাটস গুড

মিস্টার ব্যাকবেঞ্চার › বিস্তারিত পোস্টঃ

"হালদা- বাংলা সিনেমার একটি অনন্য মাইলফলক"

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১

ছবির নাম আর গল্পের সামঞ্জস্য আমাকে আগে কখনো এভাবে নাড়া দেয়নি যতটা আমাকে 'হালদা' দিয়েছে। একটি পরিবারের প্রেক্ষাপটে পুরো একটি নদী ও তার মানুষের সংস্কৃতি আর জীবনকে তুলে ধরা মোটেও সহজ না, কিন্তু তৌকির আহমেদের শৈল্পিক দক্ষতা এই কঠিন কাজটিকেও ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। একটা লোকাল ইভেন্টের দ্বারা গ্লোবাল ম্যাসেজ ডেলিভার করার মত কাজ তিনি যেভাবে করে দেখিয়েছেন তাতে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই।
কি ছিলো না হালদায়...... প্রেম, ঘৃণা, জীবনের নিষ্ঠুরতা, জেলেদের দূর্দশা, জমিদারের এরিস্টোক্রেসি, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, ডমিনেশনের পলিটিক্স আর সব কিছুকে ছাড়িয়ে পরিবেশ দুষণের ছোবলে ধ্বংস হতে যাওয়া প্রকৃতির চিত্র। সত্যি বলতে গেলে হালদা যত না গল্প নির্ভর ছিলো তার থেকে বেশী আবেগ নির্ভর ছিল। কিছু মূহুর্ত সরাসরি আমার মনে আঘাত করছিলো, সিনে ভেসে যাওয়া অনুভূতিগুলো নিজে অনুভব করেছিলাম সেসময়।
এবার আসা যাক ছবির প্রোডাকশনে, তৌকির আহমেদ নিজ সন্তানের মতই এই সিনেমাটি নির্মান করতে চেয়েছেন। প্রতিটা ফ্রেমেই ছিলো স্নেহ আর দক্ষতার অসাধারন প্রতিচ্ছবি। সিনেমাটোগ্রাফার তাহির আহমেদ ও এনামুল হক সোহেল ক্যামেরায় যেভাবে রোমহর্ষক মূহুর্তগুলো ধারন করেছেন তা দেখে আমার পুরো গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছিলো। ধরুন বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর ঠিক সেই মূহুর্তে ডায়ালগের ইমোশনকে ক্যামেরার মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে , এধরণের প্রচুর শট তারা বেশ দক্ষতার সাথেই নিয়েছেন।
অভিনয়ে নিয়ে কিছু বলার নেই, জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু, নুসরাত ইমরোজ তিশা, রুনা খানের মত হেভি স্টার কাস্টের খুঁত ধরতে যাওয়ার মত দুঃসাহস আমি দেখাবো না। তবে তিশার কথা বিশেষ ভাবে বলতে হচ্ছে, ডুবের হতাশাজনক অভিনয়ের পর যাকে নিয়ে আমি সবথেকে বেশী চিন্তিত ছিলাম সেই আমাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে আমাকে ভুল প্রমান করেছে। অনেকদিন পর এত স্ট্রং ফিমেল লিড পেল বাঙ্গলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, তিশা নিজেকে নিজে গর্ব করা উচিত।
আর সাউন্ডে পিন্টু ঘোষ অসাধারন করেছেন, সিন গুলোর ইমোশনের সাথে বেশ ভালোই জমেছে ছবির গানগুলো। যদিও ছবির ফিনিশিং আমার কাছে একটু দুর্বল ছিল তবুও স্ক্রিপ্টের আজাদ বুলবুলের প্রশংসা না করলে চরম ভুল হবে।
পরিশেষে আমি এটুকুই বলব, বাংলা ছবির জন্য ভালো ছিল ২০১৭। ঢাকা অ্যাটাক, ডুব আর বছরের শেষ ডিলাইট হালদা আমাকে মোটেও নিরাস করেনি। এখন আশা করি আর কেউ বাংলা ছবির সুদিনের জন্য আক্ষেপ করবে না, যেই ব্যক্তি বাংলা ছবির রেনেসাঁর এই নিউ ওয়েভকে সামনে পেয়েও দেখছে না তার জন্য আমার কষ্ট হয়। আশা করি খুব দ্রুতই তাদের চোখ খুলবে......

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৫৯

শাহিন বিন রফিক বলেছেন: আপনারটা নিয়ে হালদার হাফ ডজন হল!!
মাইন্ড করবেন না আবার।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

পাজী-পোলা বলেছেন: ভালো জিনিস যত প্রচার হয় ততোই ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.