নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ কেনো নিষিদ্ধ হবে না?

২০ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১৪

বিগত দেড় যুগ যে ধ্বংসলীলা আর হ*ত্যা-যজ্ঞ আওয়ামী লীগ চালিয়েছে, তাতে আমি মনে করি তারা এই ভূখন্ডে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকারই হারিয়েছে৷ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের ৩টি মেজর গণহ*ত্যার পর আর ছাত্রলীগের নিরীহ ছাত্রদের উপর হামলা, ধর্ষ*ণ, সন্ত্রা*সী কার্যকলাপ, যুবলীগের ক্যাসিনোকান্ড, চাঁদাবাজি, সন্ত্রা*সের পর শাখা-প্রশাখাসহ এই সংগঠনটি নিঃসন্দেহে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবী রাখে।

আমরা জানি যে কিছুদিন আগে জামায়াত ও তাদের সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে আইনের বলে কাজটা করা হয়েছে, সেটা হচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা। এই ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, কোনো ব্যক্তি বা সত্তা সন্ত্রাসী কার্যের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে যুক্তিসংগত কারণের ভিত্তিতে, সরকারি গ্যাজেটে প্রজ্ঞাপন দিয়ে ব্যক্তিকে তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করতে পারবে। এই ক্ষমতাবলেই সরকার নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। একই সঙ্গে এসব দল ও সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হ-ত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও স+ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে এরা জড়িত ছিলো বলে সরকারের কাছে নাকি যথেষ্ট তথ্য–প্রমাণ রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহ-ত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধেও তাদের দায়ী হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

জামায়াতের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো ভালোভাবে খেয়াল করে দেখুন৷ আর এর সাথে গত দুই মাসসহ লাস্ট ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আমলনামাটা মেলান। নিজেকে প্রশ্ন করুন, এগুলো কি মানবতাবিরোধী অপরাধ না? ৩টি গণ-হ*ত্যার কথা তো আগেই উল্লেখ করেছি। আর এদের স*ন্ত্রাস, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের স্মৃতি তো এখনও টাটকা আমাদের মনে। প্রমাণ হিসেবে ঘটনার ছবি, ফুটেজ সব আছে।

আইন ও স্বরাষ্ট্র (যদিও এর কাছে তেমন কিছু আশা করি না) উপদেষ্টার এদিকটায় নজর দেয়া উচিত। এই সুবর্ণ সুযোগে যদি এই জ*ঙ্গী, স*ন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা না যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এরা আবার ক্ষমতায় এসে দেশে র*ক্তগঙ্গা বইয়ে দেবে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাটা এর সমাধান না। অভিভাবক সংগঠন ক্ষমতায় গেলে তা আবারও চালু করতে পারবে। তাই অবিলম্বে আওয়ামীলীগের রাজনীতি আইন পাশ ও প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ করা উচিত। কারণ জামায়াতের চেয়েও এদের অপরাধের মাত্রা আর তালিকা হাজারগুণ বিশাল, স্রেফ গত দেড় মাসেই!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.