নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক পাকিস্তান বিজয়

২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:২৪

যদিও দেশের এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলা বা ভাবার অবকাশ নেই৷ কিন্তু তারপরও কয়েকটি কথা না বলে পারছি না।

ক্রিকেটপাগল একটা জেনারেশন, যাদের ধ্যান-জ্ঞান, খাওয়া-দাওয়া সবই ছিলো ক্রিকেট, তারা আজ ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথাই বলছে না। অথচ রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ১০ উইকেটে হারিয়ে বসে আছে বাংলাদেশ। নিশ্চিত ড্র একটা টেস্টে ৫ম দিনের প্রথম দুই সেশনে প্রাণ ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ স্পিনাররা৷ যতই পাকিস্তান গ্রিন এন্ড গ্রাসি উইকেট করুক না কেনো, ৫ম দিনে এসে উইকেট টিপিক্যাল উপমহাদেশীয় উইকেটের মতোই আচরণ করলো। এখানেই মূলত পরাস্ত হয়েছে পাকিস্তান। আর ১ম ইনিংসে মুশফিক ও ৪জনের ফিফটিতে চড়ে ১১৭ রানের লিড নেয়াটাও ছিলো ভাইটাল। রিযওয়ানের ফিফটিটা না হলে হয়তো পাকিস্তানকে ইনিংস হারের লজ্জায়ও পড়তে হতো। সাথে পাকিস্তানের ডিক্লেয়ার করার কথাটাও ভুলে গেলে চলবে না। মুশফিক আউট হবার পরও ব্যাট চালিয়ে যাওয়ায় বিরক্তি লাগছিলো। মিরাজ ক্রিজে থাকায় হয়তো শান্ত ডিক্লেয়ার করেনি। কিন্তু বোলারদের উপর অতিরিক্ত আস্থা আর পিচ নিয়ে নির্ভার থাকার ফলেই হয়তো পাকিস্তান ইনিংস ডিক্লেয়ার করেছে। মুশফিকের অনবদ্য ডাবল টন ছোঁয়া ইনিংসটাই আমার কাছে একমাত্র ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের দাবীদার। তবে মিরাজের অবদান ভুলে গেলেও চলবে না। হাত লাগিয়েছে পেসাররাও। হ্যা ঠিক ধরেছেন। কোনো খুনী, জালিম, স্বৈরাচারের দালালের নাম নিয়ে আমার ব্লগ দূষিত করতে চাচ্ছি না।

যাই হোক, অভিনন্দন বাংলাদেশ ক্রিকেট দল! এত কষ্টের মাঝেও একটা আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয়ার জন্য। এটা ছিলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের প্রথম টেস্ট জয়, যা ধরা দিলো তাদের মাঠেই। ঠিক যেমনটি ঘটেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০৯, নিউজিল্যান্ড ২০২১, শ্রীলঙ্কা ২০১৬ তে। এই আনন্দ উদযাপনটা হয়ে যেতে পারতো ২০০৩ এ মুলতানেই। কিন্তু আম্পায়ারদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব আর ইনজামামের ম্যাচজয়ী ইনিংস আমাদের ম্যাচটা জিততে দেয়নি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.