নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক ইস্যু : আমার দৃষ্টিভঙ্গি

৩০ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬

⬛ আসিফ আদনানের বহুল আলোচিত ভিডিওটা দেখলাম। লোকটা দেশে এসেই সেক্যুলাঙ্গার, লিবারেল, ইশরাকমার্কা মরাডারেট ইসলামিস্টদের পুচ্ছতে অগ্নিসংযোগ করে ফেলেছে একটা ৪৯ মিনিটের বক্তৃতায়! তার এই দীর্ঘ বক্তব্যে সে একটাবারের জন্যও বলেনি দেশে এখনই ইসলাম কায়েম করতেই হবে বা এমন কিছু। অথচ উন্নত প্রজাতির ছাগল ইশরাক, তার কিছু মুরিদ, সেকু ও পটেনশিয়াল সেকুপাড়ায় আ+গুন লেগে গেছে। তার বক্তব্যের একটা বড় সময় সে আগস্টের ঘটনা বিপ্লব কিনা - এটা নিয়েই কথা বলেছে। আর আসল যে কথাটা, মানে একজন মুসলমান আল্লাহর আইনের চেয়ে উর্ধ্বে বা তার সমকক্ষ কোনো ব্যবস্থাকে মনে করলে সে নিঃসন্দেহে কু/ফরি করেছে - এতটুকুই বলেছে। মূলত ইশরাক-আরিফুল গংদের জুলুনিটা এই জায়গাতেই। খিলাফাহ আসলে তারাই চাইবে না মুসলমান(!) হয়েও, যারা চুরি করবে কিন্তু চাইবে তাদের হাত যেন কাটা না যায়, যিনা করবে অথচ চাইবে তাদের উপর যেন র-য'ম কার্যকর করা না হয়। খিলাফাহ/শরীয়াহ কায়েম হলে তারা রাস্তায় নারীদেহের দৈর্ঘ্য-প্রস্থ পরিমাপ করতে পারবে না, লুচুপনা চালাতে পারবে না, প্রতারণা-বাটপারি করতে পারবে না, বউয়ের কামাই খেতে পারবে না, ছবির হাটে গঞ্জিকা সেবন করতে পারবে না....ভয়টা তাদের এখানেই। আরেকটা কিউট শ্রেণী আছে, এরা পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিচ্ছে, খিলাফাহ কায়েম হলে তার রূপরেখা কি হবে। আরে উজবুক, এটা নিয়ে তোর ভাবার দরকার নেই। আলিমে দ্বীন বহু আছে দেশে, এসব তারাই দেখবেন। ইসলামবিদ্বেষী একটা সরকারের পতনের পর এতদিনে একটা সুন্দর দাওয়াতি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে আর তা কাজে লাগানো উচিত - মূলত সিয়ান পাবলিকেশন্স এর প্রোগ্রামে সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো এটাই। দাওয়াহ চালিয়ে গেলে ইনশা আল্লাহ, খিলাফাহ এর পরিবেশও একটা সময় অনুকূলে আসবে। আপনি গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র যেটাই চান না কেনো, নিজেকে মুসলমান দাবী করলে আপনার শরীয়াহ আইন নিয়ে মনের মধ্যে কোনো সন্দেহ পোষার কথা না। আল্লাহর যমিনে আল্লাহর আইনটাই স্বাভাবিক, অন্যকিছু না....আর এটাই অবধারিত। কারো চাওয়া না চাওয়ায় কিছু যায় আসে না।


⬛ সাকিবের মতো ফালতু, থার্ডক্লাস, জঘন্য একটা লোক তার মতোই একটা দলকে এমপি হবার জন্য পছন্দ করবে, এটাই স্বাভাবিক। ডামি ইলেকশনকে বৈধতা দিয়ে যে অপরাধ সে করেছে, তার জন্য মানুষ তাকে আজীবন ঘৃণা করবে, তার মুরিদেরা ছাড়া। তার দল দেশজুড়ে হ*ত্যা/কান্ড চালাচ্ছে, গণহারে গ্রেফতার করছে, এর মধ্যে সে চিড়িয়াখানা বিলাস চালিয়ে যাচ্ছে - এমন লোক যে দেশের তারুণ্যের আইডল, সে দেশের তরুণ সমাজকে নিয়ে চিন্তিত ছিলাম৷ কিন্তু সুখের বিষয়, অধিকাংশই তাদের ভুল বুঝতে পেরে এই কুলাঙ্গারটাকে এখন গালির বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে। এবার আসি তার মামলা প্রসঙ্গে। যে কোনো আন্দোলনের সময় আপনি খেয়াল করবেন, কোনো এলাকায় নাশকতা ঘটলে সেই এলাকার বিএনপি-জামাতের সংশ্লিষ্ট নেতার নামে ঢালাও মামলা করা হতো আওয়ামী আমলে। তো সাকিবের নির্বাচনী এলাকায় গত এক মাসের আন্দোলনে নি*হ-ত সবার দায় কেনো তার উপর দেয়া হবে না? তার নামে কেনো মামলা হবে না? অবশ্যই তার বিরুদ্ধে করা মামলা যৌক্তিক। আর সাকিবের দোষ নেই এই ব্যাপারে - আই হেইট পলিটিক্স পোলাপান হঠাৎ পলিটিক্স নিয়ে কথা বলা শুরু করলে এই ধরণের উদ্ভট, হাস্যকর লজিক ডেলিভারি দেয়া শুরু করে। এদের লজিক অনুযায়ী বলতে হয়, দেশজুড়ে হ-ত্যা-কাণ্ড চলার সময় শেখ হাসিনা তো গণভবনে বসে ছিলো, তাহলে তো তারও দায় থাকার কথা না! পা চাটা মুরিদদের আর কি দিয়ে বোঝাবেন?


⬛ ঢাবির নতুন ভিসি কার্যক্রম শুরুর আগেই তার গায়ে জামাতি ট্যাগ লাগানোটা পছন্দ করছি না মোটেও। তবে এটা আশা করতেই পারি যে এখন থেকে ছাত্রীরা হিজাব পরিধানে আর ওভারঅল সবাই দ্বীনি প্র‍্যাক্টিসে কোনোরুপ সমস্যা ফেইস করবে না। কেন্দ্রীয় মসজিদে তার ইমামতিতে সবার নামায আদায় করাটাও মাশা আল্লাহ, ভালো লেগেছে। কুরআনের মাহফিল, আলোচনা সভায় আওয়ামী শু*করদের হামলার দৃশ্য আর দেখতে হবে না ইনশা আল্লাহ।


⬛ ঢাবির প্রসঙ্গ যেহেতু চলেই এসেছে, আরেকটা ব্যাপার বলতে হয়। সেখানকার হলগুলোতে নাকি ছাত্রলীগের কুলাঙ্গাররা টিম গঠন করেছিল, কারা ফযরের নামায জামাতে পড়তে যায়, তার লিস্ট তৈরির। পরে এদের ধরে ধরে নাকি শিবির ট্যাগ দেয়া হতো। এই ভয়ে নাকি বাথরুমেও কেউ একজন নামায পড়েছে। চিন্তা করা যায়, কি পরিমাণ ভয়ংকর একটা ইসলামবিদ্বেষী, ইন্ডিয়ান এজেন্টদের আমরা উৎখাত করেছি! খামোখাই তো আর আমরা খিলাফাহ চাই না, খামোখাই G-haদের ফতোয়া সামনে চলে আসে না!


⬛ গত ২-৩ দিন এক মহিলার বীভৎস চেহারার ছবি টাইমলাইনে ঘুরঘুর করছিলো, তাকে তার স্বামী নাকি নির্যাতন চালিয়েছে। এরকম ১২ব্যাটারিদের আসলে এই পরিণতিই হওয়া উচিত। দেশের নেড়িচাটা আইনের বেনেফিট নিয়ে এরা পরকীয়ার মতো কুকীর্তি চালিয়ে যাবে, কিন্তু তাদের কিছু বলাও যাবে না - এই দিনের অবসান হওয়া দরকার। স্বামীর পুরুষাঙ্গ কর্তনে সমর্থন আর স্ত্রীকে প্যাদালে ঘেউ ঘেউ করে ওঠা - এরকম ডাবল স্ট্যান্ডার্ডমার্কা লোকজন দেখলেই জু*তা-পে/টা করা দরকার। মিসোজিনিস্ট ট্যাগ দিলে দিতে পারেন, কিন্তু আমি ঐ লোকেরই পক্ষে। কতটা নিরুপায় হলে একটা মানুষ এই পদক্ষেপ নিতে পারে, তা ভাবনার অবকাশ রাখে। আর বাকি রইলো ঐ লোকের চরিত্রের কথা! কুরআনেই বলা আছে, দুশ্চরিত্র পুরুষকূল দুশ্চরিত্র রমণীকূলের জন্য! এখানেও চলে আসে খিলাফাহর কথা! র*য'ম চালু থাকলে ঐ মহিলা এতদিনে হয়তো মাটির নিচে থাকতো, তার স্বামীও এত দুর্ভোগ পোহাতো না। পরকীয়া যে ই করুক, দোষী শুধু পুরুষ - এই শিট আইন যতদিন আছে, এমন ঘটনা সামনে আরো আসবে, শিওর থাকুন। মিন্নি বন্ড, ডাঃ মিতু এদের কথা মানুষ ভুলে যায়নি। নারীকে প্রথমেই নির্দোষ ভেবে বিচারকার্য শুরু করা বন্ধ হোক।


⬛ দুনিয়ার বহু দেশের বহু ভিআইপি ইংরেজি জানে না। উপদেষ্টারা তাই ইংরেজি না জানলেও কোনো সমস্যা দেখি না। এর ফলে ইন্টারপ্রেটরের চাকরি/রিযিক চালু আছে। এটা নিয়ে হাসাহাসির কিছু নেই। যারা এ নিয়ে হাসাহাসি করছে আর মেধাবীদের ম্যা-ধাবি বলছে, তারা কারা তা আপনার জানা থাকার কথা। যদি এটা নিয়ে আপনার মধ্যেও হাসির উদ্রেক হয়, তাহলে তাদের আর আপনার মাঝে কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই।


⬛ কিছু শিক্ষকদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে অপমানজনকভাবে, তাই শিক্ষাগুরুর মর্যাদা নিয়ে বহু আবেগি কথা ভেসে বেড়াচ্ছে। এরা আসলে শিক্ষাগুরু না, শিক্ষা-গরু। আন্দোলনের সময় পুলিশ হলে ঢুকে ছাত্রদের পি-টিয়েছে, ছাত্রলীগ চা*পাতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে - তখন এই শিক্ষা-গরুদের ভূমিকা কি ছিলো? এরা স্বৈরাচারের সহচর, দালাল। হ*ত্যাকান্ডে এদেরও ভূমিকা আছে। তার ঐ গদিতে ছাত্রদের র-ক্ত লেগে আছে। এদের কোনো গতি করে না দিয়ে এদের প্রভূ পালিয়েছে, লজ্জা থাকলে তারাও চলে যেতো। তো যেহেতু তাদের প্রভূর মতো তাদেরও লজ্জা নেই, তাই তাদের মধ্যে লজ্জাটাও পয়দা করে দেয়া লাগছে পোলাপাইনদেরই।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.