নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতের আমীরের সাম্প্রতিক বক্তব্য ও কিছু কথা

৩১ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

বাংলাদেশের রাজনীতিতে জনপ্রিয়তার দিক থেকে জামায়াতের অবস্থান ৩য় অথবা ৪র্থতেই ঘোরাঘুরি করেছে সবসময়। তো এই অবস্থায় থেকে কখনো রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখা কি সমীচীন? কোনো নেতার পক্ষে সরকারের মন্ত্রী হওয়া সম্ভব? উত্তর হচ্ছে, না! অথচ ২০০১-০৬ মেয়াদে জামায়াতের মতিউর রহমান নিজামী মন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলো। কিভাবে সম্ভব হলো এটা? এর কারণ হচ্ছে ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কৌশলগত কারণে বিএনপি সমমনা দলগুলো নিয়ে ৪ দলীয় জোট গঠন করে, আর বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ২০০১ সালে ইলেকশন জিতে ক্ষমতায় আসে। খুব স্বাভাবিকভাবেই জামায়াতের নেতাদের মন্ত্রীত্বও অর্পণ করা হয়। ২০০১ এর আগের নির্বাচনগুলো, যেখানে জোটে না যেয়ে এককভাবে নির্বাচন করেছিলো জামায়াত, ফল কি ছিলো? ক্ষমতায় যাওয়া তো দূর, প্রধান বিরোধী দলের আসনেও যেতে পারেনি তারা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, বিএনপির কি এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার বা দেশ চালানোর ক্যাপাবিলিটি ছিলো না? উত্তর হচ্ছে অবশ্যই ছিলো। তারপরও জামায়াতের সাথে জোটে যাওয়ার কারণটা ছিলো কৌশলগত, যদিও এতে প্রচুর মুক্তিযোদ্ধায় পূর্ণ এই দলটির প্রতি মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতারা সহ সুশীল সমাজের অনেকেই এর বিরোধিতা সবসময়ই করে এসেছে। কথাগুলো বলার কারণ একটাই, কিছুদিন আগে জামায়াতের নতুন আমীরের বক্তব্য। "এক জালিমের হাত থেকে আরেক জালিমের হাতে পড়া" বা "নির্বাচনের রোডম্যাপ চাওয়া" কথাগুলো সরাসরি যে বিএনপিকেই উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে, এতে কোনো সন্দেহই নেই। এই বক্তব্য অনেকটাই বেঈমানীর পরিচয় বহন করে। সম্ভবত বিএনপির পক্ষ থেকে একটা পাল্টা বক্তব্য আসবে। আর সেটাই প্রত্যাশিত।

তবে জনপ্রিয়তা যা ই হোক না কেনো, বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর। আমীরের এই বক্তব্য আমি একদিক থেকে পজিটিভলিই নিচ্ছি৷ বাংলাদেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব আমরা গত প্রায় দেড় যুগ ধরেই অনুভব করছি৷ এই বক্তব্যটা সেই অভাব ঘোচানোর ইঙ্গিতই বহন করে। এককভাবে নির্বাচন করলে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না, তবে প্রধান বিরোধী দল হওয়াটা একরকম নিশ্চিতই। সেক্ষেত্রে দল গুছিয়ে নিতে ২-৩ বছর সময় তারা নিতে পারে। আর এজন্যেই বিএনপির নির্বাচনী রোডম্যাপ চাওয়াটা তারা পজিটিভলি নেয়নি। তারা দ্রুত গুছিয়ে উঠছে ভাঙ্গা মেরুদণ্ড নিয়ে, এটা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু এই মুহুর্তেই নির্বাচনে যাবার মতো অবস্থায় তারা নেই


রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। জামায়াত যেতে পারে ক্ষমতাতেও। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে আওয়ামী লীগ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.