![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখে নিন হাসিনার ফ্যাসিজম টিকিয়ে রাখার অন্যতম কারিগর দ্যা দিল্লি স্টার ও তার মাহফুজ আনামের কুকীর্তির ফিরিস্তি! পড়েন আর চিন্তা করেন, কোন ভয়ংকর দানব নিয়ে বাংলাদেশ দিনাতিপাত করছে! মাহফুজের দুর্নীতি, সম্পদের হিসাব তলব করা প্রয়োজন। আর আরও গভীরে গেলে হয়তো অনেক স্পর্শকাতর তথ্য বেরিয়ে আসবে হাসিনা আমলের। সুতরাং তাকে গ্রেফতার করার পক্ষে আমি। আহমেদ হুসাইন নামক তাদেরই একজন কর্মীর নিজের বয়ান এগুলো।
১. আমি সিরিয়াসলি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল করি না।
সব ধর্মের মানুষ তার ধর্মকর্ম করবে এটা বিশ্বাস করি। কিন্তু নামাজ লুকায়ে পড়তে হবে কেন?
ডেইলি স্টারে আমি ১৬ বছর ছিলাম। নামাজ পড়া সেখানে একটা ইস্যু ছিল। আমি গোঁফ কেন শেভ করি এটা নিয়ে কত টিটকারী শুনতে হইছে।
ভাবছিলাম এই জিনিষগুলা কখনও বলবো না। অনেক বন্ধু আছে সেখানে। আজকে সামলাতে পারি নাই।
মাহফুজ আনাম প্রচুর সুশীল সাজছেন— ইলিয়াস আলীর গুমের রিপোর্টের পাশে বড় করে খবর করছেন ইলিয়াসের বিরুদ্ধে কতগুলা মামলা আছে।
দেখলে মনে হবে মামলা আছে তাই সে খুনী তাই তাকে গুম করা জায়েজ।
হাসিনার সমান ফ্যাসিস্ট মাহফুজ আনাম নিজে।
২. নামাজ পড়া শুরু করার পর মাহফুজ আনাম একদিন আমাকে পথে ধরে জিজ্ঞাসা করে— এই তুমি কি ফ্যাশন করে দাড়ি রাখো নাকি ধর্মীয় কারণে রাখো?
মজার ব্যপার হচ্ছে আমি অনেক কিছুর অডিও রেকর্ড রাখতাম।
নাম বলা শুরু করলে ডেইলি স্টার আর অনেক পত্রিকার লোকজন মুখ দেখাইত পারবেন না।
৩. মাহফুজ আনাম আমাকে নিজে বলছে উনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোন লেখা ওনার পত্রিকায় ছাপায় না কারণ ইসলামের সমালোচনা করা যায় না।
উনি মুজিব নিয়ে কেন লিখতো তাইলে? মুজিবের সমালোচনা করতে পারতো উনি?
উনি নিজের গলায় এসব শুনতে চাইলে আমাকে ফোন দিতে পারেন।
৪. এক কলিগ ছিলো যে শুধু রোজার মাসে একটা পানির বোতল নিয়ে ঘুরতো আর যারা রোজা রাখছে তাদের সামনে পানি খাইতো।
মজার ব্যপার হচ্ছে এই কাজ উনি অন্য সময় করতো না।
ডেইলি স্টারে নামাজ পড়া কিন্তু নিষিদ্ধ ছিলে না। কিন্তু নামাজ পড়লে আপনি ট্যাগ খাবেন, আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি হবে। সন্দেহ করবে। এসব ছিলো।
এক সাধারণ কলিগ রোজার সময় নামাজ পড়া শুরু করলো— এটা নিয়ে কত যে মজা করা হইলো।
৫. ডেইলি স্টারের ক্যান্টিনের একটা কোনায় লুকায়ে নামাজ পড়তে হইতো।
মাহফুজ আনাম জুমার খুতবার সময় ওনার সেক্রেটারীকে মসজিদ থেকে ডেকে কাজ করতে দিছে। সেই লোক নামাজ পড়তে পারে নাই।
৬. বাংলাদেশের রাজধানীর কেন্দ্রস্হলে কলিগদের ট্রোলের ভয়ে তাড়াতাড়ি কোনমতে নামাজ শেষ করতেছে— একবার ভাবেন তো।
আর এইদিকে অফিসের মধ্যে মামের বোতলে মদ খাইতেছে নারী-পুরুষ সবাই। কাজের সময় কোন দেশের পত্রিকা অফিসে মদ খায় মানুষ বলেন তো?
আর তখন মনিরুল চালাইতেছে ওয়ার অন টেরর।
৭. আপনি পিয়ন, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, বিজনেস এক্সিকিউটিভ হলে নামাজে সমস্যা কম। এগুলাতে ওনারা থ্রেটেন্ড ফিল করে না।
সমস্যা হলো আপনি যদি সাংবাদিক হন। আপনারা কলিগরাই আপনাকে যা করার করবে।
আমার এক কলিগ আমাকে নামাজ পড়তে দেখলো। ওনার কাছে নামাজ পড়া আর জামাতে ইসলামী করা এক জিনিষ। ওনাকে চাকরি দিছিলাম আমি নিজে নিউ এইজ থেকে ডেকে এনে।
এদিকে আমার প্রাণপনণে চেষ্টা করতে হলো এটা প্রমাণ করতে যে আমি জামাত না। উনি জনে জনে বলতে লাগলেন। আমি বুঝলাম না এটা আমি কেমনে বুঝাবো সবাইকে যে আমি নামাজ পড়ি, রোজা রাখি— কিন্তু আমি জানাত না।
আল্লাহ আমার উপর রহম করলেন— খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা সেই কলিগের সাথে মাহফুজ আনামের কি একটা ক্যাচাল হইলো— উনি চলে গেলেন ঢাকা ট্রিবিউন। সেখানে গিয়েও বলতে লাগলেন আমি জামাত।
৮. ডেইলি স্টার বয়কট করলে তার কিছু যাবে আসবে না। পারলে এই দুইটা কাজ করেন—
ক। মাহফুজ আনাম আর তার স্ত্রীর আয়-ব্যায় ও সম্পদের হিসাব নেন (দেশে ও বিদেশে)
খ। কালো টাকা সাদা করা বের করেন।
গ। যারা ডেইলি স্টারে বিজ্ঞাপন দেয় তাদের গণ-ফোন ইমেইল দেন যাতে তারা বিজ্ঞাপন না দেয়। দরকার হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের অফিসের সামনে অবস্হান কর্মসূচী করেন।
ঘ। পত্রিকা অফিসের সামনে কিছু করলে এরা নিজেদের ভিক্টিম বানাবে। এই কাজ ডেইলি স্টার ভালমতো করবে।
©somewhere in net ltd.