নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদে মিলাদুন্নবী কেনো পরিত্যাজ্য?

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০০

‎রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সীরাত থেকে বা খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কিরাম, তাবেঈ, তাবে তাবেঈদের জীবনী থেকেও কোত্থাও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন বা ওফাত দিবস পালনের কোনো প্রামাণ্য দলিল পাওয়া যায় না। এই কালচার এসেছে ভিন্ন মতাদর্শ থেকে, যা থেকে আমাদের দূরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি  বিজাতির   সাদৃশ্য  অবলম্বন করে, সে তাদের দলভুক্ত গণ্য হবে।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪০৩১, হাদিসের মান: হাসান সহিহ)

আর যদি ওসব সওয়াবের নিয়তে করা হয়, তাহলে তা বিদআত তথা দ্বীনে নবআবিষ্কৃত বিষয়বস্তু হিসেবে গণ্য হবে, যা পরিত্যাজ্য।

‎ইরবাদ বিন সারিয়াহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, "আমার পরে অচিরেই তোমরা মারাত্মক মতভেদ লক্ষ্য করবে। তখন তোমরা আমার সুন্নাত ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশিদ্বীনের সুন্নাত অবশ্যই অবলম্বন করবে, তা দাঁত দিয়ে শক্তভাবে কামড়ে ধরবে। অবশ্যই তোমরা বিদ‘আত কাজ পরিহার করবে। কারন প্রতিটি বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা।" (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ৪২, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)


বিদআতের পরিণাম ও শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ। নিচের হাদিসটি দেখুন -

‎আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “আল্লাহ প্রত্যেক বিদআতীর তওবা ততক্ষণ পর্যন্ত স্থগিত রাখেন (গ্রহণ করেন না), যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার বিদআত বর্জন না করেছে।” (ত্বাবারানীর আওসাত্ব ৪২০২, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৯৪৫৭, সহীহ তারগীব ৫৪নং, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস‎)

এছাড়াও আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে : হাওযে কাওসারের পানি পান করার জন্য পিপাসার্ত লোক (কিয়ামতের) দিন আল্লাহর নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট উপস্থিত হবে। কিন্তু তাদেরকে নিরুদ্দেশ উট বিতাড়িত করার ন্যায় বিতাড়িত করা হবে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলবেন, "ওরা আমার দলের (বা ওরা তো আমার উম্মত)।" তাকে তখন বলা হবে, "আপনি জানেন না, আপনার বিগত হওয়ার পর ওরা কি নবরচনা করেছিল।" তখন নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে বলবেনঃ “দূর হও, দূর হও।” (মুসলিম ৬০৭নং, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

আপনি আশেকে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলে নিজেকে দাবী করে থাকলে তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করায় সেদিন রোযা রাখতেন, তো এইভাবে পালন করুন। তিনি সোমবার রোযা রাখতেন, এই মর্মে দলিলও আছে -‎

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, "হে আল্লাহর রাসূল! সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালনের ব্যাপারে আপনার কি অভিমত?" রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  বললেনঃ "ঐ দিন আমি জন্মগ্রহন করেছি এবং ঐ দিনই আমার উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।" (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪২৬, হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

উলামায়ে কীরাম ও ইতিহাসবিদদের মতে, ১২ই রবিউল আউয়াল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিবস নিয়ে মতভেদ থাকলেও ওফাতের দিনটি নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তো এই জুলুস, জশন, শিরনী এসব কি ওফাতের আনন্দে? (নাউজুবিল্লাহ)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মতো নিয়ামাত রাহমাতাল্লিল আলামীন হিসেবে পেয়ে, তার উম্মত হতে পেরে আমরা অবশ্যই সৌভাগ্যবান ও আনন্দিত আলহামদুলিল্লাহ, তবে তার বহিঃপ্রকাশ অবশ্যই করবো তারই প্রদর্শিত সীমারেখা ও নিয়মকানুনের মধ্যে থেকেই। মিলাদ-ক্বিয়াম,জুলুস, শিরনীর মাধ্যমে নয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিদআত থেকে হিফাযাত করুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ফেনা বলেছেন: ভাল লাগা রেখে গেলাম।
সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাইজান!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.