নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীচাটা আইনের আল্টিমেট ভিক্টিম আমরা সবাই

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

ফেসবুকের অ্যান্টি-ফেমিনিজম একটি গ্রুপে আবির হোসেন নামক একজনের লেখা। যার প্রতিটি লাইন, অক্ষর আমাদের দেশের ফালতু, নারীচাটা, থার্ডক্লাস আইনের রক্তচক্ষুকে তুলে ধরে। মুসলমান রাষ্ট্রের পুরুষদের ভীরু, কাপুরুষ বানানোর চক্রান্ত এসব ব্রিটিশ-আমেরিকান আইন। আমাদের উপর এসব আইন, ফেমিনিজম, নারীর ক্ষমতায়ন মার্কা বুলশিট চাপানো পশ্চিমারা কিন্ত ঠিকই তাদের দেশে পুরুষদের ক্ষমতাবান বানিয়ে শাসনভার অর্পণ করেছে। যত তাড়াতাড়ি আমাদের পুরুষদের বুঝ আসবে, ততই মঙ্গল। তবে এটা পড়লে আপনাদের মাঝে বিয়ের প্রতি অনীহা সৃষ্টি হতে পারে। সেটা আমার উদ্দেশ্য না ও বোধ করি এই লেখকেরও উদ্দেশ্য না। বিয়ে অবশ্যই করুন, আপনার চরিত্র ও দৃষ্টি হিফাযাতের জন্য বিয়ে জরুরি। কিন্তু জাস্ট সচেতন থাকুন কাবিনের টাকার অংক সম্পর্কে, কাবিননামার ১৮ নং ধারা সম্পর্কে, মেয়ের চরিত্র,ব্যাকগ্রাউন্ড এসব সম্পর্কে। আর অবশ্যই কুফু মিলিয়ে বিয়ে করুন। আপনার সমান্তরাল লাইফ স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করা মেয়েতেই থিতু হোন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।

(আবারও বলছি, লেখাটি শুধু সচেতনতার জন্য!)



// Marriage (The everlasting trap for men)
বাংলাদেশের আইনগুলো মেয়েদের জন্যই করা। পারিবারিক ও দাম্পত্য সংক্রান্ত সকল আইনগুলো মেয়েদেরকে প্রটেক্ট করে আর ছেলেরা নির্দোষ হলেও ফেসে যায়। কিছু উদাহরণ দেখলে ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন।

১. বিবাহ বিচ্ছেদ হলে কাবিনের পরিমান টাকা স্ত্রী পাবেই পাবে, তালাক স্বামী দেউক অথবা স্ত্রী। এখন স্বামী যদি অত্যন্ত গরিব আর স্ত্রী কোটিপতি হয় তারপরও স্ত্রীই কাবিনের সমপরিমাণ টাকা পাবে।

কিন্তু পশ্চিমা আইন এক্ষেত্রে বলে যার সম্পদ বেশি তার টাকার অর্ধেক অপরজন পাবে। অর্থাৎ স্বামীর টাকা বেশি হলে স্ত্রী অর্ধেক পাবে। আর স্ত্রীর টাকা বেশি হলে স্বামী পাবে।

আর ইসলামী শরিয়া আইন খুব সম্ভবত এক্ষেত্রে বলে যে মোহরানার টাকা স্ত্রী পাবে, যদি স্বামী সহবাসের আগে তালাক দেয় তাহলে স্ত্রী অর্ধেক টাকা পাবে। স্বামী সহবাসের পর তালাক দিলে স্ত্রী সম্পূর্ণ মোহরানা পাবে। কিন্তু স্ত্রী নিজে তালাক দিলে এক্ষেত্রে স্বামীকে মোহরানা ফেরত দেবে অর্থাৎ কিছুই পাবে না।

অর্থাৎ বাংলাদেশের আইন শুধুমাত্র নারীকে লাভবান করার জন্যই বানানো হইছে এবং বাস্তবে এরকম অসংখ্য কাবিন ব্যবসায়ীর উদ্ভবও ঘটেছে।

২. বিবাহের ক্ষেত্রে স্বামীর উপর সকল ধরনের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়, বিশেষ করে ভরনপোষণ।
এখন স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ে যদি আর্থিক স্বাবলম্বী/চাকরিজীবী হয় তারপরও ভরনপোষণ সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব স্বামীর। কিন্তু স্ত্রীর এরকম কোন দায়িত্ব নেই।

সমঅধিকার নামে যা চর্চা হয় সব ভন্ডামি। স্ত্রীরা ফ্যামিলির জন্য খরচ করবে সেটা আইনে নেই।

আর রইল রান্নাবান্না বা ঘরোয়া কাজ। যথেষ্ট সন্দেহ হয় এমন কোন আইন আছে কিনা যেখানে স্পষ্ট করা হইছে যে, মেয়েরা সন্তান লালন পালন, রান্নাবান্না ও ঘর সামলাতে বাধ্য।

অর্থাৎ এক্ষেত্রেও মেয়েদেরকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি স্ত্রীর ভরনপোষণ না করেন তাহলে আপনাকে জেল হাজতেও যেতে হতে পারে।

কিন্তু আপনার স্ত্রী যদি স্বামীর ঘরে উল্টো পালটা চলে, রান্নাবান্না/ঘর সামলানোর ব্যাপারে দায়িত্বহীন হয় আপনি কিচ্ছু বলতেও পারবেন না করতেও পারবেন না।
অর্থাৎ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারেও পুরুষদেরকে আইন খেলে দিয়েছে।

৩. প্রতারণার ব্যাপারে আইন স্ত্রীকে সুরক্ষা দেয় কিন্তু স্বামীকে সুরক্ষা দেয় না বরং তাকে ফাসায়।
যেমন ধরেন আপনার স্ত্রীর সাথে মনমালিন্য হইছে, আপনার স্ত্রী বাপের বাড়ি গিয়েই আপনাকে নারী নির্যাতন ও যৌথুকের মিথ্যা মামলা ঠুকে আপনাকে জেলে ভরে দিবে, আর আপনি বসে বসে আঙুল চো*বেন।
অপরদিকে আপনার স্ত্রীর ফ্যামিলি/স্ত্রী আপনাকে শারীরিক নির্যাতন করলেও আপনি কোন কিছু করতে পারবেন না।

একই ব্যাপার পরকিয়াতেও, আপনার স্ত্রী পরকিয়া করলে তার বিরুদ্ধে আপনি কোন স্টেপ নিতে পারবেন না। কারন বাংলাদেশের আইনে পরকিয়া আসক্ত নারীর কোন শাস্তি হয় না।

আশ্চর্য হবেন যখন দেখবেন আইন অনুযায়ী পরকিয়া বলতে কিচ্ছুই হয় না, অর্থাৎ স্ত্রী পরকিয়া করলে সে আসলে ধর্ষিত হয়েছে। আপনি বড়জোর তার পরকিয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবেন।

সার্বিক বিষয় এটাই যে বর্তমান প্রচলিত আইনে বিয়ে নামক চুক্তিতে (কাবিন নামা) সই করা মাত্রই আপনি এমন একটি ভয়াবহ ফাঁদে পা দিচ্ছেন যা থেকে মুক্তি পেতে আপনার জীবন, যৌবন, সম্মান ও সম্পদ ইত্যাদি বিলীন হয়ে যাবে তবুও সব শেষে মানসিক মুক্তি টুকুও মিলবে না।//

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.