শিবির পরিচয় দিয়ে তিনি মুনাফিক ট্যাগ খেলেন!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৮

শাহেদ আলম নামক ইসলামবিদ্বেষী অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছাগলটার সমস্যাটা কি বুঝলাম না। কি দিন আসলো...এরকম ইসলামবিদ্বেষীও আজকাল মানুষকে মুনাফিক ফতোয়া দেয়!

ক্যাম্পাসে শিবিরকে মূল প্রতিপক্ষ সবসময়ই ভেবে এসেছে ছাত্রলীগ। কারণ এদের সাথে ময়দানে পেরে ওঠা কঠিন। আর সেই কারণে ছাত্রদলের সাথে মিলিত হয়ে হলেও তারা শিবিরের বিরুদ্ধে লড়ে গেছে, এমনটা আমি নিজে সামনে থেকে দেখেছি। আর শিবির সন্দেহে অহরহই হয়রানি, গণপি-টু/নি দিয়ে হ=ত্যার ইতিহাস তো আমাদের সবারই জানা। তো এই শাহেদ আলমেরা কিভাবে আশা করে মানুষ নিজের জানের মায়া না করেই প্রথমেই নিজের রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে হাজির হবে? এটা যে যুদ্ধেরই একটা স্ট্র‍্যাটেজির অংশ, এটুকু সেন্স এই বেকুবের মাথায় নেই। এখানে বেঈমানী, মুনাফেকি টার্মগুলো কিভাবে আসলো, বোধগম্য না। এই লোকের ব্যাকগ্রাউন্ডটা জানি না, তবে কেনো যেন মনে হচ্ছে যে শিবিরের হাতে হয়তো এর বেধড়ক প্যাদানি খাবার অতীত রেকর্ড আছে।

শহীদ মীর মুগ্ধের একটা পোস্ট ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সে দলীয় পরিচয়ে আন্দোলনে শরীক না হয়ে শুধু ছাত্র পরিচয়ে অংশগ্রহণ করার আহবান জানিয়েছিলো। আমি মনে করি, সাদিক কায়িম এটা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। যদিও ঝানু পলিটিশিয়ানে সমৃদ্ধ আওয়ামী লীগ গোয়েন্দা তথ্য অথবা নিজেদের মুখস্ত বুলি - যেভাবেই বলি না কেনো, ব্যাপারটা শুরুতেই বুঝতে পেরে বলছিলো যে আন্দোলনে বিএনপি-জামাত জড়িয়ে গেছে! তাদের কথাগুলোর যে কিছুটা হলেও একটা ভিত্তি ছিলো, এই পর্যায়ে এসে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। তখন দলীয় পরিচয়ে বিএনপি বা জামাত আন্দোলনে শরীক হলে হয়তোবা এর স্পিরিট নষ্ট হতো, উদ্দেশ্য হাসিল হতো না, সুতরাং যা হয়েছে, আল্লাহর ইচ্ছায় বরং ভালোই হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ!

জামাত বা শিবিরের মধ্যে আসলে ইসলাম (তা যতটুকুই থাক)-টা নিয়েই শাহেদ আলমদের জুলুনি, এটা বোঝাটা কোনো রকেট সাইন্স না। আন্দোলনে যতটুকু ক্রেডিট ছাত্রসমাজের, ততটুকুই বিএনপি-জামাতের কর্মীদের, ততটুকুই সাধারণ জনতার। সবার কন্ট্রিবিউশানেই এই বিজয়। বেহুদা ট্যাগাট্যাগির মধ্যে না গিয়ে বরং বিজয় ধরে রাখতে সচেষ্ট হওয়া উচিত।

০ টি +০/-০