![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রান্না ও খাওয়ার আলাদা প্লেস, আলাদা থালাবাটি, আলাদা মেন্যুর প্রস্তাবের পরও শামসুন্নাহার হলে গরুভোজ অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা। শেষতক সম্ভবত হয় মুরগিতে ট্রান্সফার নতুবা প্রোগ্রামটাই ক্যান্সেল হতে চলেছে।
আমি বুঝি না, বিতাড়িত অপশক্তি বা ভাঁড়-তীয় স*ন্ত্রা-সী সংগঠন বি/জে/পির প্রেতাত্মা এখনও ভার্সিটির হলগুলোতে কিভাবে বহাল তবিয়তে আছে? যদি এদের অস্তিত্ব না থাকে, তাহলে সংখ্যায় অল্পকিছু হয়েও এরা এত প্রভাব বিস্তার, বাধাদান এসব কিভাবে করতে পারে? তাদের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে বিকল্প অনেক প্রস্তাব দেয়া হয়েছিলো, কিন্তু তারা সবকিছুতেই অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ছাগল নাচে খুঁটির জোরে, তো এই ছাগলগুলোর খুঁটির জোরটা আসলে কোথায়? এটা কি ভাঁড়+ত? এখানেও কেনো গরুর গোস্ত খেতে বাধার সম্মুখীন হতে হবে? মুসলমানদের শিক্ষাদীক্ষায় অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠিত ঢাবিতেই খোদ মুসলমানরা ব্যাকফুটে কেনো আজ? হলে পূজা মন্ডপ হয়, কারণ হলে হিন্দু আছে। আবার হলে গরু খাওয়া যাবে না কারণ হলে হিন্দু আছে! মানে কম্প্রোমাইজটা কেনো সবসময় মুসলমানকেই করতে হবে? শুধু এখানেই না, ভাড়তীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠানকে কেনো মুসলিম পরিচয় ভুলে গিয়ে নিজেকে ভারতীয় পরিচয় দিতে পাকিস্তানকে সবসময় সস্তা, লেইম ট্রল করতে হয়? কেনো মুশফিকুর রহিমদের কুরবানীর ছবি দিয়েও ডিলিট করে ফেলতে হয়? আমাদের ছাড় দেয়ার, সহনশীলতার মানসিকতাকে কে ওরা আমাদের দুর্বলতা বা নিজেদের শক্তিমত্তা ভাবছে? যদি ভাবেও, দোষটা আসলে এখানে আমাদেরই।
আর হাতে গোণা কয়েকটার সামনে সংখ্যায় বিশাল হয়েও এরা কেনো আওয়াজ তুলতে, কঠোর হতে পারছে না? তারা বয়কট করতে চাচ্ছে করুক, তাদের ছাড়াই আয়োজন হবে - এই মিনিমাম স্ট্যান্ডটাও তারা নিতে পারছে না। বেশি সুশীলতা দেখাতে গিয়ে স্পেস বেশি দিয়ে ফেললে এটাই হয় আর আরো খারাপ কিছু হয়তো সামনে অপেক্ষা করছে। অলরেডি প্রতি বছরই কুরবানীর সময় একটা না একটা ঝামেলা এরা লাগিয়েই থাকে, এসবও আমাদের অজানা নয়। এসব কারণেই আমরা মুহাম্মাদ আলী জিন্নাহকে ধন্যবাদ দিই, তাকে এখনও প্রাসঙ্গিক মনে করি অথচ পলিটিক্যাল মূর্খ কিছু গেঞ্জি পোলাপাইনের এই জ্ঞানটাই নাই৷
আমরা সবাই এতদিনে এটা মোটামুটি বুঝে গেছি সবাই যে উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে গরু শুধুই একটা প্রানী বা খাবার না, এটা একটা রাজনৈতিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। সেই গৌড় গোবিন্দ কর্তৃক বুরহানউদ্দিনের শহীদ হওয়া থেকে অধুনা ভাঁড়-তে পি/টি/য়ে মুসলমান হ_ত্যা পর্যন্ত, প্রতিটা ক্ষেত্রে গরু একটা ফ্যাক্টর হয়ে কাজ করেছে। তাই আমি গরুখোর, বিফওয়ালা টাইপের রেস্টুরেন্ট আরো চালু করার পক্ষে, আর পাশাপাশি নো-বিফ রেস্টুরেন্ট আরো বেশি করে বয়কটেরও পক্ষে মত দিই সবসময়। আর আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যেহেতু শামসুন্নাহার হলের মুসলিম শিক্ষার্থীরা সংখ্যায় বেশি, তারা শক্ত হয়ে রুখে দাঁড়ালেই এই সমস্যার সমাধান হবেই, ইনশা আল্লাহ!
(নিচে রিলেটেড কিছু পোস্ট ও রেফারেন্স সংযুক্ত করলাম)
১. Click This Link
২. Click This Link
৩. Click This Link
©somewhere in net ltd.