![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিরিয়াস কয়েকটি কথা বা প্রশ্ন :
- সজল দত্ত ইনভাইট করেছে পূজায়, তাই বলে যেতে হবে? জামাত-শিবিরের কর্মীদের একজন হিন্দু অন্য প্রোগ্রাম বাদ দেন, একটা ধর্মীয় প্রোগ্রামে কিভাবে ইনভাইট করতে পারে? শিবিরের লোকজন না মেধাবী? তো কি খেয়ে পড়াশোনা করেছে এই মেধাবীরা, এই সামান্য বোধ যাদের নেই? এই তাদের মেধার নমুনা? তাদের বিরুদ্ধে ১৫ বছর যে পরিমাণ চক্রান্ত হয়েছে, তা এয় জলদি বন্ধ হয়ে যেতে পারে কিভাবে, একজন মুশরিককে তারা এতটা বিশ্বাসই বা করলো কিভাবে - এসবের উত্তর কে দেবে?
- এ তো গেলো কমনসেন্সের অভাব বা পলিটিক্যাল ভুল। এবার ইসলামিক দৃষ্টিকোণে আসেন৷ মুশরিকদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া মুসলমানদের জন্য নিষেধ। এসব কি ইসলামের ধ্বজাধারী জামাত-শিবিরের নেতাকর্মীদের জানা নেই? যদি না থেকে, তাহলে তারা কোন ইসলাম পালন করে? এটা কি মওদুদির ইসলাম? মূর্তিপূজার মতো নিকৃষ্টতম শিরকের আচারে তারা পা দুখানা বাড়ালেনই বা কিভাবে? একটুও কি বুক কেঁপে উঠলো না? এরপর থেকে ইসলামের কথা মানুষের সামনে কোন মুখে এরা বলতে আসে, এটা দেখতে চাই।
- সরকারের সাথে এদের আমীরসহ একেকজন নিজেদের আওয়ামী লীগের চেয়েও বড় সেক্যুলার হিসেবে প্রমাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এতদিন আমরা এসব কর্মকান্ড করতে শুধু আওয়ামীদেরই দেখতাম। জাসদ ব্যাকগ্রাউন্ডওয়ালা জামাত আমীরের দলের এই করুণ হাল দেখতে বিশ্রী লাগছে খুবই। শিবিরের হিন্দু শাখা আর কতদূর?
- তারা সেখানে গিয়েছে, বুঝলাম। গান গাওয়ার কথা উঠলে একটা দেশাত্মবোধক গান গাইতে পারতো। ইসলামের সামান্যতম ছায়া আছে - এমন গানই কেনো গাইলো? আর সেখানে উপস্থিত হিন্দুরা করছিলোটা কি? তৎক্ষণাৎ কেনো প্রতিবাদ করেনি?
- অনেকেই বলছেন, তারা খুশি যে পূজার অনুষ্ঠানে ইসলামী বানী প্রচার করা গেছে। না ভাই, ব্যাপারটা এতটাও সরল না। বরং মুশরিকদের নিকৃষ্টতম শিরকে তাওহীদের বাণী প্রচারটাই দৃষ্টিকটূ। যেখানে হিদায়াতের সম্ভাবনা নেই, সেখানে কেনো?
- আশা করি এরপর থেকে "ধর্ম যার যার, উৎসব সবার " এই জাতীয় সস্তা, পলিটিক্যাল ডায়লগ দেবার আগে সবাই ভেবে নেবে। পূজার লাড্ডু, প্রসাদ খাওয়াত আগেও সবাই ভেবে নেবে। যে ধর্মনিরপেক্ষতার ঠুনকো পিলারে এই ডায়লগ দাঁড়িয়ে, তা যে কত দুর্বল, হিন্দুদের এই গানের পর রিয়্যাকশনেই তা পরিষ্কার। সুতরাং ধর্ম যার, উৎসবও তার।
©somewhere in net ltd.