নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাবলিক পালস বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির পতন কি তবে অনিবার্য?

২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৭

স্বাধীনতার ঠিক পরপর বাক*শাল, একদলীয় শাসন, দুর্ভিক্ষ, অব্যাহত লুটপাটতন্ত্রে যখন মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত, তারপরই "বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ" ও "বহুদলীয় গণতন্ত্র" এর ঝান্ডা উড়িয়ে আগমন ঘটেছিলো বিএনপির। ১৯৭৮ সালে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করে মেজর জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করেছিলেন "সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর বিশ্বাস" ও "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" টার্ম দুটো। স্বাধীনতা পরবর্তী কিছু বছর মানুষের মাঝে ভাঁড়-তবিদ্বেষ, আওয়ামীবিদ্বেষ প্রকট থাকার ফলে বেশ অল্প সময়ে বিএনপি ভালো একটা জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। বয়সে আওয়ামী লীগের প্রায় ৩০ বছরের ছোট হলেও জনপ্রিয়তায় ঢের এগিয়ে যায় জিয়াউর রহমানের বিএনপি, যার প্রমাণ ১৯৯১ এর নির্বাচনে জয়, আর জনগণের আরও একবার আওয়ামী লীগকে ভেটো প্রদর্শন! জিয়ার পর বেগম জিয়ার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা আর আপোষহীন নেতৃত্বে এটা দিনকে দিন আরো বাড়তে থাকে, ২০০১ সালে দুইশতাধিক আসনে জয়লাভ করে বিএনপি।

কালক্রমে সেই বিএনপির আজ করুণ দশা! না জিয়ার আইডিওলজি এরা ধারণ করে, না খালেদা জিয়ার আপোষহীন মনোভাব। নতুন প্রজন্ম তাদের সম্পর্কে তো তেমন কিছু জানেই না, বরং যা জানে তাও নেগেটিভ। বর্তমান কর্মকাণ্ডে সেই নেগেটিভ মেন্টালিটি আরো বাড়ছে। একটা রক্তাক্ত বিপ্লবের পর যেখানে উচিত ছিলো বিপ্লবের থিমটা মনেপ্রাণে ধারণ করা, সেখানে তাদের আচরণ চলে যাচ্ছে বিপ্লবের স্পিরিটের বিপরীতে। আসলে সাবেক বাম ও ভিন্ন ফিল্ডের লোকজন বিএনপির ফ্রন্টলাইনে চলে আসায় বিএনপির সেই জিয়ার আইডিওলজি আর আপোষহীন মনোভাব আজ অনুপস্থিত। সেই জায়গা দখল করেছে ভাঁড়-তপ্রীতি, আলগা সুশীলতা আর মধ্যপন্থার নামে তাঁবেদারি। সাথে যোগ করুন জুলাই ম্যাসাকারের পরও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ চাইতে গড়িমসি ও অতি সম্প্রতি ইস্কন ব্যান করার ক্ষেত্রে ভেটো দেয়া! আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন অপচেষ্টা, অমিত শাহর সামনে গোলাম স্টাইলে আমীর খসরুর মোসাহেবি পোজ আর ইস্কনকে মৌন সমর্থন প্রমাণ করে সামনে বিএনপি হয়তো আওয়ামীদের মতোই ভাঁড়-ত তোষণের রাজনীতি করতে যাচ্ছে। বেগম জিয়ার অসুস্থতায় এসব আরো বেশি জেঁকে বসেছে বিএনপিতে।

অথচ ১৯৭৫ সালের সিপাহী বিপ্লব ছিলো এই কনটেক্সটের সম্পূর্ণ বিপরীত থিমে! ভাঁড়-তপন্থী হিসেবে পরিচিত খালেদ মোশাররফকে সরিয়ে সিপাহী-জনতা "আল্লাহু আকবার" ধ্বনীতে ঢাকা প্রকম্পিত করে মুক্ত করেছিলো জিয়াউর রহমানকে, বসিয়েছিলো ক্ষমতায়। জিয়াও এর প্রতিদান দিয়েছিলেন ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে, যেটা উপরে বলেছি। সেই জিয়ার দল বিএনপির আমীর খসরু আজকাল হুম্মাম কাদের চৌধুরীর "আল্লাহু আকবার" শ্লোগানে বিব্রত হয় (২ বছর আগের কথা), অমিত শাহর সামনে নত হয়ে থাকে, মির্জা ফখরুল মধ্যপন্থা অবলম্বনের ধুয়া তুলে জ*ঙ্গী সংগঠন ইস্কনের নামটা নিতে সংকোচ বোধ করে, প্রেসিডেন্টের অপসারণের বিপক্ষে যায়, গণশত্রু দিল্লীরকাল্লু-দিল্লীস্টারদের প্রোগ্রামে যায়! অথচ এই পত্রিকাদুটো তারেক রহমান, বেগম জিয়াকে ব্যঙ্গাত্মক চিত্র দেদারসে চালিয়ে গেছে, মাইনাস-টু ফর্মুলাসহ নানা দুরভিসন্ধিমূলক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। আবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করে মূল্যবান(!) মতামত দিয়ে আসে ইস্কন যেনো ব্যান না হয়! বুঝতে সমস্যা হবার কথা না, যে দিল্লীরকাল্লু, ইস্কন, আওয়ামীপ্রীতি - এসবই ভাঁড়-ত তোষণের অংশ ও তাদের খুশি রাখার প্রক্রিয়া। মির্জা ফখরুলকে এককালে খুব শ্রদ্ধা ও পছন্দ করতাম, যদিও খোদ তাদেরই নেতাকর্মীরা আড়ালে তার অহিংস মনোভাবের জন্য তাকে "গান্ধীবাদী" ডাকতো। সেই ব্যক্তির এহেন চিন্তাধারা প্রশ্নের উদ্রেক করে মনে, তবে কি আগে যারা বলতো "বিএনপির মধ্যেই আওয়ামী লীগ বিদ্যমান", তাদের কথাই কি ঠিক? আওয়ামী লীগের পেইজে মির্জা ফখরুলের পোস্ট শেয়ার কিসের ইঙ্গিত দেয়?

সিপাহী-জনতা যেমন কোলে তুলে নিয়েছিলো ৫০ বছর আগে, তেমনি হয়তো একদিন ছুঁড়েও ফেলে দেবে ভাঁড়-ত তোষণ, আওয়ামী পুনর্বাসনের অপচেষ্টার মতো জঘন্য কার্যকলাপের কারণে। জনগণের পালস, জুলাই বিপ্লবের থিম যত দ্রুত তারা ধারণ করবে, তাদের জন্য ততই মঙ্গল।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

রাসেল বলেছেন: ক্ষমতার জন্য রাজনীতি, জনকল্যাণের জন্য নয়।

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: এই মুহুর্তে এটাই ধ্রুব সত্য।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫০

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি বলেছেন: এই মুহুর্তে এটাই ধ্রুব সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.