![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাবরী মসজিদের শাহাদাতের ৩২ বছর...
১৯৯২ সালের আজকের দিনে অযোধ্যায় কথিত রামমন্দির ও রামের জন্মস্থান অবস্থিতের হাস্যকর ধুয়া তুলে উ*গ্র, ধর্মান্ধ, কট্টরপন্থী, BJP-RSS-VHP স-ন্ত্রাসীরা বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে।
১৮৫৩ সালে প্রথমবারের মতো মন্দির-মসজিদ বিতর্কের সূত্রপাত হয়। তখন হিন্দু সম্প্রদায় দাবি করে, তা ছিল রামের জন্মস্থান। ব্রিটিশ শাসনকালে মসজিদটির চত্বরে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। ১৯৪৯ সালে হিন্দু সক্রিয়তাবাদীরা হিন্দু মহাসভার সঙ্গে জোট করে গোপনে রামের একটি মূর্তি মসজিদের অভ্যন্তরে রেখে দেয়। এরপরই সরকার দাঙ্গা ঠেকানোর অভিপ্রায়ে পুরো মসজিদকে সিলগালা করে দেয়। পরে হিন্দু-মুসলিম উভয়ই ওই স্থানে প্রবেশাধিকার পেতে আদালতে মামলা করে। এরপর একাধিকবার লালকৃষ্ণ আদভানির দল মসজিদ অভিমুখে রথযাত্রা করে বাকি উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর সাপোর্ট আদায় করে। তারপর ৩২ বছর আগের এই দিনটিতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো ঐ বিতর্কিত স্থানে এক শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শোভাযাত্রায় শামিল হয়েছিল দেড় লাখ বিশ্ব বি-ন্দু পরিষদ (VHP) এবং বিজেপির "কর সেবক"। প্রথমে লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলি মনোহর জোশি ও উমা ভারতীর মত বিজেপি নেতা ভাষণ দিয়ে উস্কানি দেয়। শোভাযাত্রা চলাকালের প্রথম দিকে জনতা ক্লান্তিহীনভাবে স্লোগান দিচ্ছিল। সহিংসতা প্রতিরোধে স্থাপনাটির চারদিকে পুলিশি বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছিল। দুপুরের দিকে এক যুবক বেষ্টনী অতিক্রম করে স্থাপনাটির উপরে চলে যায় এবং গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করে। এই ঘটনা ছিল সহিংসতার আগমনবার্তা। এরপর, উন্মত্ত জনতার সামনে পুলিশি বেষ্টনী বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি। এরপর, উন্মত্ত জনতা কুঠার, হাতুড়ি এবং গাইতি দিয়ে ইমারতটি ভাঙা শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মাঝে কাদা ও চুনাপাথর দ্বারা নির্মিত ইমারতটি মাটির সাথে মিশে যায়। এই ঘটনার পর ভাঁড়-তে হিন্দু ও মুসলমানদের মাঝে সৃষ্ট দা/ঙ্গায় কমপক্ষে ২,০০০ জন মানুষের মৃত্যু হয়; যাদের বেশিরভাগই ছিলো মুসলমান।
মসজিদের ধ্বংসের পর একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ছিল জমির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ২০১০ সালে রায় দেয়, বিতর্কিত জমি তিনভাগে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখাড়া, রামলালার মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হোক। এর ফলে হিন্দুরা পায় জমির তিন ভাগের দুই ভাগ। মুসলিমরা এক ভাগ। এর বিরুদ্ধে সব পক্ষই উচ্চ আদালতে আপিল করে।
সবশেষ ২০২০ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর মামলার শুনানিতে ‘৯২ সালের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত হওয়াকে নাকচ করে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি (পরবর্তীতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী), মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতীসহ মোট ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের রায় দেয়া হয়। অথচ ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদ কোনো মন্দিরের উপর গড়ে উঠেছে কিনা- এই বিষয়ে তিনজন বিচারক একমত হতে পারেনি।
এই উদ্ভট ও হাস্যকর রায় প্রমাণ করে ভাঁড়-ত কোনো অসাম্প্রদায়িক না বরং একটি উ*গ্র, বি-ন্দুত্ববাদী, ধর্মান্ধ ও স-ন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এই না-পা+ক মুশরি=ক শুয়োরেরা নিজেরা মসজিদ ভাঙ্গে, মুসলমান হ&ত্যা করে আর আমাদের অসাম্প্রদায়িকতার সবক দেয় কথিত "সংখ্যালঘু নির্যাতন"(!) এর ফেইক প্রপাগাণ্ডা চালিয়ে! চোরের বড় গলা হলে যায় হয়...
আল্লাহ আমাদের একদিন এই মসজিদের আবাদ আর এখানেই সিজদা দেয়ার তাওফীক দিন ইনশা আল্লাহ,আমীন!
©somewhere in net ltd.