নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫০ বছর পর মেজর ডালিমের লাইভ সাক্ষাৎকার ও কয়েকটি কথা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৫

২১শে আগস্টের "বোমা" হা-মলার (হ্যা, আমি বোমাই বলবো, ইলিয়াস হোসেনের ভিডিওতে বোমা আর গ্রেনেডের পার্থক্য তুলে ধরা আছে) ভিডিওটা দিয়ে আওয়ামী লীগ, প্রথম আলো আর ভারতের ধুতি খুলে দেয়ার পর কাল বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম বীর উত্তমের লাইভ সাক্ষাৎকার - সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন একটা স্যালুট ডিজার্ভ করে। ইতিমধ্যেই তিনি আওয়ামী আর চুষীল বাদে বিপ্লবপন্থী সকলের মনেই স্থান করে নিয়েছেন। আশা করি এই ধারাবাহিকতা ইলিয়াস হোসেন অব্যাহত রাখবেন।

দেশ স্বাধীন হবার পর ভারতীয় হস্তক্ষেপ, বাকশাল, মিডিয়ার গলা চেপে ধরা, অব্যাহত লুটপাট, দুর্ভিক্ষ, রক্ষীবাহিনী ইস্যুসহ নানা কারণে মানুষ যখন মুজিব সরকারের উপর নাখোশ, ঠিক তখনই আগস্ট বিপ্লব সংঘটিত হয়। সাধারণ মানুষ এর ফলে যেনো শান্তি ফিরে পায়। সেই বিপ্লবেরই অন্যতম পার্শ্বনায়ক মেজর ডালিম। তার রেডিও ঘোষণাটা শুনলে এখনো লোম দাঁড়িয়ে যায়, বোঝার চেষ্টা করি সেই সময় এটা শোনার পর নিপীড়িত বাংলাদেশীদের মনের অবস্থাটা কেমন ছিলো।

⬛ প্রথমেই একটা ব্যাপার জানানো দরকার, মুজিবকে বা পরিবারকে হ*ত্যার প্ল্যান তাদের ছিলো না, ছিলো বন্দী করার প্ল্যান। দোতলা থেকে বাইরে ট্যাংক ও সৈন্যের বহর দেখে প্রথমেই জামাল ও কামাল গুলি চালায় ও এর ফলে কয়েকজন সৈন্য হতাহত হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়।

⬛ অনেকেই জানে না এই ব্যাপারটাও, আগস্ট বিপ্লবের মূল মাস্টারমাইন্ড কিন্তু মেজর ডালিম না। এর প্রাথমিক প্ল্যান ছিলো মেজর ফারুকুর রহমানের, পরে তার সাথে যোগ দেন ভায়রা মেজর রশীদ। ডালিমের পাশাপাশি এই অপারেশনে আরো ছিলেন নূর চৌধুরী (আমার জানামতে, ব্রাশফায়ার উনিই করেছিলেন, পরে জেলখানায় ৪ নেতা হত্যাকাণ্ডেও ব্রাশফায়ার তারই ছিলো), বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন প্রমুখেরা। ফারুকের প্ল্যান ও তা কিভাবে এক্সিকিউট হয়েছিলো, আর প্রথম পয়েন্টটা সম্পর্কে জানতে হলে কর্নেল হামিদের "তিনটি সেনা অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা" বইটা পড়তে পারেন।

⬛ মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিনা, মুজিব জানতোই না। দেশে ফিরতে সে বারবার সন্দেহ প্রকাশ করেছে আর নিশ্চিত হতে ভারতে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে প্রথমে সাক্ষাৎ করেছে। নিজে পাকিস্তান সরকারের অনুগত ছিলো, আর পরিবারকেও তাদের জিম্মায় রেখেই ফয়সালাবাদ কারাগারে পিকনিকে গেছে। এই ব্যক্তি আসলে স্বাধীনতাই চায়নি, চেয়েছিলো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে।

⬛ ৩ লাখ, মিলিয়ন আর ৩০ লাখের গ্যাঞ্জামটা আর কত প্রমাণ দিলে চুষীলের দল বিশ্বাস করবে, আমার জানা নেই। ২৬৬ দিনের মুক্তিযুদ্ধে কিভাবে এই সংখ্যা রিলেভেন্ট, গর্দভের দল এটা নিয়ে মাথাই খাটাতে চায় না।

⬛ জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক, এটা মেজর ডালিমের বক্তব্যের পর আরো পরিষ্কার। এখানেও আওয়ামীরা ঘাড়তেড়ামি দেখাবে। মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার মতো গাটস রাখতো না। আর "মুজিবের পক্ষে" ব্যাপারটা ভারতের চাপে অ্যাড করা হয়েছে।

⬛ যুদ্ধের একটা পর্যায়ে ডালিমসহ মুক্তিযোদ্ধারা বুঝতে পারে যে বাংলাদেশের উপর ভারতের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশকে তাদের করদরাজ্য ও পরবর্তীতে একটি অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই এই ইন্দো-পাক যুদ্ধের অবতারণা হয়। দুই পার্শ্বে দুই পাকিস্তান ভাঙ্গলে ডেফিনিটলি লাভটা ভারতের, উজবুক ছাড়া এটা সকলেই বুঝবে।

⬛ বহির্বিশ্বের চাপে ভারত একাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশে সেনা প্রত্যাহার করে, মুজিবের অনুরোধে না। একটা স্বাধীন দেশে ভারতের সেনাবাহিনী কেনো থাকবে? টোটালি ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নই ছিলো মুক্তিযুদ্ধ তথা ক্ষমতায় আরোহন করা আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। ভারতীয় বাহিনীকে অব্যাহত লুটপাটের সুযোগ এরাই করে দিয়েছে। কোটি টাকার লুটপাট করেছে ভারতীয় বাহিনী, এই তথ্যগুলো বিস্তারিত মিডিয়ায় আসা দরকার। এতে বাধা দেয়ায় মেজর জলিলকে গ্রেফতারও করা হয়। জহির রায়হানকেও একই কারণে সরিয়ে দেয়া হয়েছে, ভারত সম্পর্কিত নানা তথ্য ও ডকুমেন্টারি তার কাছে ছিলো। মেজর জলিল, সিরাজ শিকদার আসলেই দেশপ্রেমিক ছিলেন।

⬛ মুজিব সপরিবারে জয় বাংলা হয়ে যাবার পর রাস্তায় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উল্লাস, মিষ্টি বিতরণ - এই ব্যাপারগুলো যেসব উজবুক বিশ্বাস করতো না, তাদের জন্য মেজর ডালিম ফ্যাক্টটা আবারও তুলে ধরলেন।

⬛ সন্দেহ নেই, বাপ-বেটির মধ্যে বেটিই বড় ক্রিমিনাল। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম গু*ম, প্রথম ক্র*সফা_য়ার শুরু করেছিলো একজন, আর আরেকজন তা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছে।

⬛ বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানকার জাতীয় সংগীত একজন বিদেশী লেখকের লিখিত এবং সেই বিদেশী লেখক আবার সেই দেশেরও জাতীয় সংগীতের রচয়িতা। পুরো প্রক্রিয়াটি সেই বিদেশী দেশের প্রেসক্রিপশনে করা হয়েছে। বাংলাদেশে এতো এতো প্রতিভাবান লেখক, শিল্পী থাকতে কেনো একজন বিদেশী লেখকের লেখাকে জাতীয় সংগীতে রুপান্তরিত করতে হবে। এই পয়েন্টটা চিরকালই যৌক্তিক থাকবে, মেজর এটা তুলে ধরায় খুবই ভালো লেগেছে।

⬛ প্রতি রাতে প্যাঁদানি খেয়ে হাসিনা বাড়ি চলে আসতো - এটা শুনেও খুব ভালো লাগলো। এইজন্যই হয়তো স্বামীর নামটা তার মুখে আর বাপের নামটা ছেলের মুখে সহজে শোনা যেতো না, আজীবন এরা বাপ-বাপ, নানা-নানা করেই গেছে।

এই জাতীয় বীরদের মৃত্যুর পূর্বেই যথাযথ মূল্যায়ন করা উচিত, অন্তত বীরোচিত সংবর্ধনা না হলেও একটা সম্মাননা উনারা ডিজার্ভ করেন।

বিঃদ্রঃ কিছু চুষীল খু*ন, হ*ত্যা এসব সাপোর্ট করি না হ্যানত্যান মার্কা বয়ান ঝাড়া শুরু করেছে। তাদের জন্য প্রথম পয়েন্টটা, আর তাদের এই লজিকে মুক্তিযোদ্ধারাও পড়ে যায়, এটা তারা বুঝতেই পারছে না। তাদের বলছি, মব সাপোর্ট করেন না ভালো কথা, নিজেকে প্রশ্ন করেন, সেদিন হাসিনাকে কেনো সেইফ এক্সিট দেয়া হয়েছিলো? গণভবনের বাইরে অপেক্ষমাণ জনতা হাসিনা পালানোর আগেই ভেতরে ঢুকতে পারলে কি ঘটতো বলে মনে করেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.