নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম উম্মাহর প্রথম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও মুবারাকবাদ!

১৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪৭

২য় হিজরী সনের ১৭ই রামাদ্বানের ঐতিহাসিক বদর যু*দ্ধ ছিলো মুসলমানদের সাথে কাফির-মুশরিকদের সর্বপ্রথম মুখোমুখি স*শস্ত্র সংঘ*র্ষ। বদর যু*দ্ধে মুসলমান ছিলো মাত্র ৩১৩ জন। অপর পক্ষে কা-ফিরদের সংখ্যা ১০০০-এর বেশি। মুসলমানদের মধ্যে ৮৫ জন ছিলেন মুহাজির সাহাবি। বাকি সবাই মদিনার আনসার। ৩১৩ জনের দলে মাত্র ৮টি তরবারির পাশাপাশি উট ছিলো ৭০টি। আর ঘোড়া মাত্র ২টি। অপরদিকে কা*ফিরদের এক হাজারের দলের ৬০০ জনের কাছেই ছিলো বর্ম এবং ঘোড়া ছিলো ২০০টি। এ দিনটিকে পবিত্র কোরআনে ‘ইয়াওমুল ফুরক্বান’ বা কু*ফর ও ইসলামের মধ্যে ‘ফায়সালাকারী দিন’ (সুরা আনফাল, আয়াত ৪১) বলে অভিহিত করা হয়েছে।

বদরের যু*দ্ধ ছিলো মূলতঃ আত্মরক্ষামূলক। আবূ জাহলকে বদরে মুকাবিলা না করলে সে সরাসরি মদীনায় হামলা করার দুঃসাহস দেখাতো। যা ইতিপূর্বে তাদের একজন নেতা কূরয বিন জাবের ফিহরী সরাসরি মদীনার উপকণ্ঠে হামলা করে গবাদিপশু লুটে নেবার মাধ্যমে জানিয়ে গিয়েছিলো।

বদরের বিজয় আমাদের কিছু দিক শিক্ষা দিয়েছে -

⚔️ সংখ্যা ও যু*দ্ধ সরঞ্জামের কমবেশী বিজয়ের মাপকাঠি নয়। বরং আল্লাহর উপরে দৃঢ় ঈমান ও তাওয়াক্কুল হলো বিজয়ের মূল হাতিয়ার। পরামর্শ সভায় কয়েকজন সাহাবী বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে যুদ্ধ না করে ফিরে যাবার পরামর্শ দিলে আল্লাহ ধমক দিয়ে আয়াত নাযিল করেন (সুরা আনফাল, আয়াত ৫-৬)। এতে বুঝা যায়, আল্লাহর গায়েবী মদদ লাভই হলো বড় বিষয়।

⚔️ যু*দ্ধের উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যেটা যু-দ্ধ শুরুর প্রথম নির্দেশেই আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সাহাবীগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন। অতএব চিন্তাক্ষেত্রের যু/দ্ধ হোক কিংবা সশস্ত্র মোকাবিলা হোক। ইসলামের সৈনিকদের একমাত্র লক্ষ্য থাকতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। কোন অবস্থাতেই দুনিয়া হাসিলের জন্য মুসলমানের চিন্তাশক্তি বা অ*স্ত্র শক্তি ব্যয়িত হবে না।

⚔️ শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যু*দ্ধে নামলে আল্লাহ স্বীয় ফেরেশতা মন্ডলী পাঠিয়ে সরাসরি সাহায্য করে থাকেন। যেমন বদর যু-দ্ধের শুরুতে রাসূলের বালু নিক্ষেপের মাধ্যমে (আনফাল,১৭), অতঃপর ফেরেশতাদের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে (আনফাল, ৯)।

⚔️ কা*ফিররা মুসলমানদের সংখ্যা ও অ*স্ত্র শক্তিকে ভয় পায় না। বরং তারা ভয় পায় মুসলমানের ঈমানী শক্তিকে। বদরের যু/দ্ধের পরে সে ভয় সমস্ত কু*ফরী শক্তিকে গ্রাস করেছিল।

⚔️ বদর যু-দ্ধের বড় শিক্ষা এই যে, কু-ফর ও ইসলামের মুকাবিলায় মুসলমান নিজের সীমিত শক্তি নিয়ে আল্লাহর উপরে তাওয়াক্কুল করে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর এভাবেই চিরকাল ঈমানদার সংখ্যালঘু শক্তি বেঈমান সংখ্যাগুরু শক্তির উপরে বিজয়ী হয়ে থাকে (সুরা বাক্বারাহ, আয়াত ২৪৯)। এই ধারাবাহিকতা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।

এটি ছিল একটি মহা অলৌকিক বিজয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "(যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছে) তাদের তোমরা কেউই হ*ত্যা করোনি; বরং আল্লাহ তায়ালাই তাদের হ*ত্যা করেছেন। আর তুমি যখন (তাদের প্রতি) তীর নিক্ষেপ করেছিলে, মূলত তুমি নিক্ষেপ করোনি, বরং করেছেন আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং।" (সূরা আনফাল : ১৭)

বদরের বিজয়ের ফলে মুসলমানদের শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পায়। দলে দলে লোকেরা ইসলামে প্রবেশ করতে থাকে। এ বিজয় ছিল মক্কা বিজয়ের সোপান স্বরূপ। এই সময় শা‘বান মাস থেকে কা‘বার দিকে কিবলা পরিবর্তিত হয় এবং বদর যুদ্ধের মাত্র ছয় বছর পরেই ৮ম হিজরীর ২০ রামাদ্বানে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে যা পূর্ণতা লাভ করে।

আজ ১৭ই রামাদান, বদর দিবস! কা*ফি/রদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ের দিন। সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে প্রথম বিজয় দিবসের মুবারাকবাদ! ❤️

"নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যু-দ্ধে। অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। অতএব আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.