![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ই আগস্টে সেফ এক্সিট, পিলখানা ম্যাসাকারের দায় সম্পূর্ণ জাওয়ানদের উপর চাপিয়ে খু নী হাচিনা-নানক-তাপসকে পরোক্ষভাবে অব্যাহতি দানের চেষ্টা, আর সবশেষ হাসনাত আবদুল্লাহকে দেয়া ফোর্টি ইয়ারস-ল্যাক অফ এক্সপেরিয়েন্স এর ফাঁপড় - হাচিনার আত্মীয় এই ওয়াকার যে হাচিনা-লীগের পুনর্বাসন চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। সমস্যা হলো, আম পাবলিক এদের চিনতে ভুল করেছে। এরা যে "দেশপ্রেমিক" এর বদলে মুনাফিক ট্যাগ ডিজার্ভ করে, এখন তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দল হিসেবে ৩ তিনটি নজিরবিহীন গ-ণ_হ=ত্যা চালানো দল ও এর কুশীলবদের মূলধারার রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার মতো মিরজাফরী এরা করতে পারে, তাতে অবাক হবো না। সেদিন পিলখানায় তার বক্তৃতা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ যতই মুখে বলা হোক যে সাবের, শিরিন শারমীন, তাপসদের দ্বারা নতুনভাবে দল গঠন করা হবে, এটা বিশ্বাসযোগ্য না৷ যতই বলুক যে মুজিবের আওয়ামী লীগের আদর্শে দল গঠিত হবে, আমি বলবো, ১৯৪৯ সালের ভাসানী-শামসুলের আওয়ামী লীগ হলেও তাকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। রক্তে রঞ্জিত হাতের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকতে পারে না। মুজিবাদর্শ থাকা মানেই শেখ পরিবারের আওয়ামী লীগের হাল ধরা! জাতির সাথে এই বেঈমানী করার অধিকার ওয়াকার-ইউনুস কারোই নেই। প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি বা জামাত - আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের পক্ষে যে ই মত দিক, তাকে চিনে রাখতে হবে৷ ইনিয়ে বিনিয়ে আওয়ামী রিকভারির পক্ষে কথা বলা বরদাশত করা হবে না। প্রতিবাদ জারি রাখুন৷ এরা দেশ, এর স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নিয়ে বড় ধরণের প্রাণঘাতী খেলায় মেতে ওঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
গত আগস্টেই চুপ্পু-ওয়াকারকে অপসারণ করা সম্ভব হলে আজকে এই দিন দেখা লাগতো না। আমি নিশ্চিত, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার নিয়ত ছিলো বলেই হাছান মাহমুদের গ্রেফতারের নিউজ হবার পরও তাকে বেলজিয়ামে আবিষ্কার করা যায়, ওবায়দুল কাদেরের সিমের লোকেশন উত্তরাঞ্চলে পাওয়া যায়। আমার দেশের রিপোর্টে সংসদের কোনো এক জায়গায় শিরীন শারমিনকেও লুকিয়ে রাখার নিউজ দেখা যায়। সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত হবার সুবাদে ক্যান্টনমেন্টে কোনো আওয়ামী খু নী নিরাপদে লুকিয়ে আছে কিনা এটা জাতির সামনে পরিষ্কার করতে হবে।
ব্যালটে খু ন, ধ*ণ, লুটপাট ও ভাঁড়তের দালালীর প্রতীক নৌকা ফেরত আসতে দেয়া হবে না। ভাঁড়তের তাবেদার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করতে দেয়া হবে না। এখনই দল-মত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের একদফা দাবীতে আন্দোলনের ডাক দিতে হবে৷ ইন্টেরিমকে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে হবে৷
হাসনাত আব্দুল্লাহকে ধন্যবাদ, বেঈমানদের কাছে মাথা না বিকোনোর জন্য। যখন মনে হচ্ছিলো, উপদেষ্টা-সমন্বয়করা আওয়ামী দালালদের সাথে মিশে যাচ্ছে, তখনই তার এমন নির্ভীক বক্তব্য তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এই একজনকেই আমি শেষ পর্যন্ত বিশ্বাস করতে চাই। Salute Hasnat!
#BanBAL #BanAwamiLeague
©somewhere in net ltd.