নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি

ফ এর দৃষ্টিভঙ্গি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ আনন্দ মিছিল নাকি শয়তানের মুক্তির আনন্দ মিছিল?

৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৮

এবারের ঈদ আর দশটা ঈদের মতো না, অনেকটাই আলাদা। এবার ফ্যাসিস্টমুক্ত ঈদ পালিত হয়েছে প্রথমবারের মতো, মানুষ শান্তিতে বাড়ি গিয়ে ঈদ পালন করেছে। দ্বিতীয় স্বাধীনতা ঈদের আনন্দকেও করেছে দ্বিগুণ। সরকারপ্রধানের জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ঈদ শুভেচ্ছাবার্তায় চেতনার বুদবুদ ছিলো না, স্বজন হারানোর বেদনা ছিলো না, ছিলো না কথিত উন্নয়নের মিথ্যা গালগল্প আর প্রতিপক্ষকে নিয়ে নোংরা মিথ্যাচার। কিন্তু -


কথা ছিলো "ঈদ আনন্দ মিছিল" বের হবে, কিন্তু বের হলো "শয়তানের মুক্তির আনন্দ মিছিল"! কথা ছিলো " ঈদ শোভাযাত্রা" বেরুবে, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১৪ দিন আগেই বের হয়ে গেলো "মঙ্গল শোভাযাত্রা"!

ঈদ মিছিলের ঘোষণা শুনেই কিছুটা টেনশনে ছিলাম, অ্যান্টি-ইসলামিক কিছু এখানে ঢুকে যায় কিনা। ধারণা ভুল হয়নি, শাহডগী স্টাইলের মঙ্গল শোভাযাত্রার একটা ঈদী প্রলেপ মারা কপিরই মঞ্চায়ন হয়ে গেলো আজকে সকালে। মুসলমানদের তথা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরের স্বকীয়তাকে ছুঁড়ে ফেলে ইসলামে নিষিদ্ধ মূর্তি-হাতি-ঘোড়া নিয়ে র‍্যালি বের করা হলো, যা মোটেও ইসলামিক তাহযীব-তমুদ্দুনের সাথে যায় না। আলীবাবা হোক বা আলাদীনের দৈত্য, দিনশেষে এগুলো মূর্তিই! বলা চলে, ঈদের ভাবগাম্ভীর্যটুকুও আনন্দের নামে তারা কেড়ে নিয়েছে। যে পৌত্তলিকতার উৎসবকে কবর দিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনাবাসীকে দুই ঈদের সুখবর দিয়েছিলেন, আজ প্রদর্শনী চললো সেই পৌত্তলিকতার প্রতীকের!

এখানেই ঘটনা শেষ হতে পারতো। কিন্তু সফটলি ইনজেক্ট করা হয়েছে আরো কিছু জিনিস। কওমে লুত এর একটি অন্যতম চিহ্ন ইউনিকর্ন র‍্যালিতে দেখা গেছে, অ্যারাবিয়ান নাইটসের পঙ্খীরাজের নামে। এটা কি তবে সেই " ইনক্লুসিভ" সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী চিহ্ন,যার কথা নাহিদরা বলে থাকে? আবার নাসিরুদ্দিন হোজ্জার নামে যাকে অপমানের প্রতীক উল্টো গাধার পিঠে চড়ালো, তাকে হোজ্জার চেয়ে বরং আমীর ডাঃ শফিকই বেশি মনে হচ্ছে। এই ব্যাপারগুলোর কোনটা ঈদের ভাইবের সাথে যায়, ভেবে দেখেন।

ঈদ মানে খুশি, আনন্দ...তবে সেই আনন্দ হতে হবে শরীয়াতের বেঁধে দেয়া সীমারেখার মধ্যে। কিভাবে শরীয়াতের সীমারেখার মধ্যে আনন্দঘন পরিবেশে ও হালাল উপায়ে ঈদ উদযাপন করা যায়, তা জানতে শায়খ আহমাদুল্লাহর পেইজ ভিজিট করুন। আসিফ-ফারুকীর হাতে সংস্কৃতি তো গোল্লায় গেছেই, ঈদের শাহবাগীকরণও হতে চলেছে। এটা হতে দেয়া যায় না।

যাই হোক, প্রথমবার যেহেতু, তাই সমালোচনা একটু রয়েসয়ে করছে সবাই। আশা করি, নেক্সট টাইম থেকে ঈদ মিছিলের এই বেহাল দশা দেখতে হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.