![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের গল্পের বিষয় " ডায়েটিং "। একটা এপিক ডায়েটিং এর গল্প বলবো আজ। যেহেতু ডায়েটিং নিয়ে গল্প তাই চা-কফি কিছুই হচ্ছে না আজ। শুকনা শুকনা শুনেন।
কিছুদিন আগের কথা। একটা বিয়েতে যাই। শহর থেকে একটু দূরে। ঠিক বিয়ে না, বৌভাত ছিলো। অর্থাৎ বিয়ের পর ছেলের বাড়িতে বা ছেলেপক্ষ থেকে মেয়েপক্ষকে যে দাওয়াত খাওয়ানো হয়।
যাইহোক, আয়োজন ছিলো খানদানী টাইপ। বংশের ঐতিহ্য বজায় রাখতে নানান রকমের মুখরোচক খাবারের আয়োজন। রান্না-বান্না থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানস্থল সাজানোয় বাড়ির পুরুষদের বেশ তদারকি দেখলাম। উল্লেখ্য, বাড়ির জোয়ান-বুড়ো সবার সাইজের কাছে আমি নিতান্তই বাচ্চা
যাদের আয়োজন তাদের ফ্যামিলির পুরুষদের সবার উচ্চতা ৫ ফিট ৮ থেকে শুরু। এরপরে তো আছেই। আর তারপর যদি থাকে মোটাসোটা শরীর তাহলে তো আর কথাই নেই। একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম, এদের যাদের বয়স ২০- ৩৫ এর মতো তাদের হাইটের সাথে মোটা শরীর ভালোই মানায়।
কিন্তু যারা ৪০+ তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা বিপরীত। তাদের দেখতেই আপনি হাপিয়ে যাবেন। সিঁড়ি বেয়ে উঠেই চেয়ারে বা সোফায় বসে হাপাতে থাকেন। পানি খাবেন প্রায় এক জগ। ৪০+ দের সবার আবার ডায়াবেটিক। শরীরের যত্নে একদম নাজেহাল অবস্থা। মানে আসলেই খুব অসহায় অবস্থা। বয়স যত বাড়ছে, শরীরের জোর তত কমছে আর বাড়ছে শরীরের মেদ
বাড়বে নাই বা কেন? খাবারের মেন্যুতে কি কি ছিলো শুনুন। মোরগ পোলাও, খাসির রেজালা, মেজবানি গরুর মাংস, ডিম কারি, চিকেন ফ্রাই, ডাল, চিংড়ি মালাইকারি, কি যেন একটা কোপ্তা না কাবাব, চিলি চিকেন, রুই মাছ ফ্রাই, কাতলামাছ ভুনা, আলুবোখারা আচার, রসমালাই, সালাদ, বোরহানি আর গরুর নলা। তাও আবার যে যতো খেতে পারে। টোটাল প্রায় ৪০০ মানুষের জন্যে আয়োজন। ৪০০ মানুষের জন্যে টোটাল ২০০ টা মুরগি :O
হ্যা, ২০০ টা মুরগি ৪০০ জনের আয়োজনে। মোরগ পোলাও, চিলি চিকেন, চিকেন ফ্রাই মিলিয়ে। মেহমানরা যেমন তেমন খেয়ে চলে গেলে বাকি সব খাবার সাবাড় করা এদের পক্ষে কোন ব্যাপারি না।
খেতে বসলে ওদের ওঠার নাম থাকে না। বেয়াড়ারা চিকেন ফ্রাই আনে তো রেজালা খতম। রেজালা আনে তো মোরগ পোলাও খতম। মোরগ পোলাও আনে তো মেজবানি খতম। বেয়াড়াদের দিন খারাপ ছিলো
খাওয়ার পর এবার ডেজার্টের পালা। রসমালাই ওরা এমনভাবে খেয়েছে যেন রসমালাই কেজি ২০ টাকা ২ জন হাফ কেজি করে। একজন উঠে এসে বলে, মিষ্টি বেশি খাইতে পারি না ইদানিং!!!!।
মিষ্টি খাওয়া শেষ। এবারে বোরহানি। ৩/৪ গ্লাস নিমেষেই পেটে চালান দেয়া এদের পক্ষে কিছুই না। কিন্তু যারা ৪০+, তাদের ২ জনকে দেখলাম ১ জগ করে বোরহানি খেতে! হুম, ১ জগ। মোরগ পোলাও কয় প্লেট খেয়েছিলেন তা গুনে দেখার সাহস হয় নি আমার।
যাক, খাওয়া দাওয়া শেষে মেহমানরাও চলে গেলো। এবারে বসলো আড্ডা। আংকেল,মামা, ফুফারা অর্থাৎ যাদের বেশিরিভাগ ৪০+ ওরা বসলেন একদিকে। আর বাকিরা অন্যদিকে। গোল করে চেয়ার বসিয়ে তাতে আড্ডা। ৪০+ আড্ডায় প্রায় ছিলেন ১৩ জন। আমি ওই আড্ডার পাশেই একটা চেয়ারে বসে বসে ফেসবুক গুতোচ্ছিলাম।
৪০+ আড্ডার ওজন অনেক বেশি। প্রায় সবার ওজন ১০০+। কিছুক্ষন পর পর হো! হো! করে উচ্চস্বরে হেসে উঠছিলেন ওনারা। আর আমি কান পেতে ওনাদের কথা শুনছিলাম যদিও চোখ ছিলো ফোনের স্ক্রীনে। কার ব্যাবসার কি খবর, কার ডায়াবেটিস কত, কার ওজন কতো, কোন খাবার বেশি মজা হয়েছে, কে ক'প্লেট খেয়েছে, কার শার্টে ঝোল পড়েছে এসব নিয়ে আলোচনা।
কথায় কথায় হঠাৎ আড্ডার মধ্যমণি হয়ে উঠলেন এক ফুফা। বাড়ির বড় ফুফা। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা, মাথায় চুল কম, হাইট হবে ৫ ফিট ৮ ইঞ্চি। শরীরের কথা নাই বা বললাম, তবে বাকিদের চাইতে ইনি একটু বেশিই হাসেন।
একজন জানতে চাইলো -
" তোমার খানাদানা এতো কমলো ক্যামনে? শরীরও কমাইছো দেহি!!! "
" হ! একটুতো কমছেই। অহন ভালা আছি। "
" ওজন কতো এহন? "
" ৯৭ কেজি! "
" কও কি? এতো কম ক্যামনে? "
পাশ থেকেই আরেকজন পান খেতে খেতে জানতে চাইলেন, " ক্যান? কতো আছিলো আগে? "
ফুফার জবাব, " ১২৭ কেজি "
বাকি ১২ জনের চোখ কপালে। আর আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ওদের বিস্বয় ছিলো ৯৭ কেজি। আমার বিস্বয় ছিলো ১২৭ কেজি।
" ক্যামনে কমাইলা? শইল-স্বাস্থ ভালা তো??? "
" কি আর ভালা! এইকয়দিনে তো খাইয়া সব ডায়েট গেলোগা। আবার কয়দিন ২/৩ মিনিট কইরা বেশি দৌরান লাগবো আর আগামী ২ সপ্তা ডিম, গোসতর নাম ও লমু না। ভাত একটু কমায়া দিমু। ভারী শইল আর ভাল্লাগে না। "
" তো, ভাতও না খাইলে খাইবাডা কি তুমি? "
" সকালে আড়তে যাইতে ফলের আড়তে যাইয়া তাজা আপেল কিন্না খামু, ৩ ডা। "
" ৩ ডায় ওইবো? "
" ওইবো না ক্যা? সবি মনের ব্যাপার। তোমার শইলডা যদি ভালা না থাকে তোমার মন দিল ভালা থাকবো নে? কও দেহি? "
" ওজন কমলো ক্যামনে? "
" আমার মাইয়ার জামাইডা বড্ড ভালা বুঝলা। পোলাডা দেখতে একটু সরল ওইলেও লাখে একখান। আমারে একদিন কয়, আব্বা, আপনের বয়স বাড়ছে, এতোবড় শইল নিয়ে চলতে ফিরতে কষ্ট হয় না? আল্লায় না করুক, কিছু যদি হইয়া যায় তো এতোবড় ব্যাবসা তো জলে যাইবোগা। "
"কও কি? জামাই এইডা কইছে? "
" হ। য্যামনে ব্যাবসার কথা কইলো অমনে আমার কইলজাডা মোচড়া দিয়ে উঠলো। আমার এতো মেহনত এমনে এমনে যাইবোগা? আমার তো পোলাও নাই। জামাইডাও ব্যাংকে চাকরি করে। তার শখ চাকরি করার। "
" তারপর? "
" তারপর গেলাম ডাক্তারের কাছে। ডাক্তার আমার সবকিছু বন্ধ কইরা দিসিলো। ভাত শুধু দুপুরে ১.৫ কাপ। মাছ ছোট এক পিস। মাংস না খাইতে পারলে ভালো। গরুর গোসত হারাম। সকালে ২ পিস পাউরুটি দিয়ে কলা আর সরবত। রাইতে কিছুই নাই, ২ ডা রুটি আর সালাদ। শসা, গাজর, টমেটো। বিকালে চায়ের লগে ২ টা বিস্কিট, আর মুড়ি। "
" কিছুই তো খাইবার পারবানা দেখতাছি"।
" হ। লগে আবার সকালে ১৫ মিনিট হাটা, বিকালে ১৫ মিনিট হাটা। "
এক খিলি পান মুখে পুরে নিলেন ফুফা।
" এমনে কইরা ঠিক ৯ দিনের মাথায় আমি মাথা ঘুরাইয়া পইরা যাই আড়তে। জামাইরে কল দিসিলো ম্যানেজার। জামাই আইতে ডাক্তার নিয়া আইছিলো। ডাক্তার চেক কইরা দেখে আমার পালস নাকি লো। অনেক লো। "
" কও কি? এমন অবস্থা? কবে ঘটলো এইসব? "
" এইতো হইবো দের বছরের বেশি। আরো বেশি। তারপর জামাই এম্বুলেন্স আইনা নিয়া গেলো হস্পিটালে। আমার হুস আইছে ওইহানে। মাথা ঘুইরা ফিট হয়া গেছিলাম তো।"
" আচ্ছা, আচ্ছা। "
" তারপর স্যালাইন দিলো। মনে কেমন জানি বল পাইতাছিলাম না। বার বার মনে হইতাছিলো আমার ব্যাবসাডা ক্যামনে বাচামু। জামাইডা সারাদিন বয়া ছিলো আমার কেবিনে। রাইতে জামাই নিজেই এক ডাক্তার ডাইকা আনছে। হে নাকি বড় ডাক্তার। "
" তয়? "
" ডাক্তারে আমারে জিগাইলো যে কি হইছে। আমি তো দিলাম কাইন্দা। আমি খাইতে পারি না মন ভইরা মেলাদিন। ডাক্তার আমারে বাচান, আমার ব্যাবসা দেখনের কেউ নাই। আমি চোখে মুখে আন্ধার দ্যাখতাছি। "
" আহারে "
" তারপর ডাক্তার জিগাইলো যে ক্যান খাইতে পারি না? আমি কইলাম ডাক্তার মানা করছে। এই সেই সবকিছু খুইলা কইলাম তারে। ডাক্তার আমারে কয়, কোন পাগলে কইছে আপনেরে এমনে কইরা খানা ছাইড়া দিতে? এতো বড় শইলে এইটুক খানা কিছুই তো ওইবো না। এমনে চলতে থাকলে তো আপনে এমনেই মইরা যাইবেন। বাদ বাদ সব বাদ। আরে আগে শইল তারপরে ডায়েট। আগে আমার বাচন লাগবো। এমনে না খায়া তো আরো অসুস্থ হয়া যাবেন। আপনের এতোবড় শইলডা কি এতো কম খাওনে কাজ করবো? দুর্বল হয়া যাবেন। আর শইলে যদি এনার্জি নাই থায়ে তয় আপনে ডায়েটকন্ট্রোল ক্যামনে করবেন দেহি? "
" ও আল্লাহ, হালায় তো উল্ডা কথা কয়। তয় কথা কিন্তু হাসা, শইলে বল না থাকলে হাটাহাটি কইরবা ক্যামনে? "
"হেইডাই তো বুঝাইলো আমারে ওই বড় ডাক্তার। কয় আপনের যা মন চায় খান। কোন সমস্যা নাই। এই বয়সে তো আর আরেকটা বিয়া করবার দিবো না আমার ভাবী আপনেরে। নাকি? তো, এতো স্লিম হওনের দরকার নাই। যা হইবো আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে। তারপর ডাক্তার আমারে উঠায়া বসাইলো। হেও বইলো। কথা কয় আর কমলার চামড়া ছোলে। একটা আমারে দেয় একটা হ্যায় খায়। জিগাইলাম ডায়াবেটিস আছে কিনা। কয়, আছে মানে। তুমুল আছে। ডায়াবেটিস ছাড়া দুইন্নাত আর আছে কি আমার? "
" কয় কি? হ্যারো ডায়াবেটিস? হেও কি আমগো মতো নি গায় গতরে? "
" নাহ। ওজন ওইবো ৭০ কি ৭৫। এর বেশি না। "
" ও! "
" কয় খাওয়া দাওয়ার কোন লিমিট নাই। তয় বয়স তো এখন কম হয় নাই। শইলের জোর কমতাছে, চর্বি বাড়তাছে। এমনে চললে তো কষ্ট হইয়া যাইবো। অঘটন ঘটতেই পারে। তয় একটু চিন্তা কইরা হিসাব কইরা খাইলে আস্তে আস্তে শইলডা হাল্কা হইবো। জিগাইলাম ক্যামনে কি। "
" কি কইলো ডাক্তার? "
" কইলো যাই খাই একটু কইরা কম খাওয়া স্টার্ট করতে। যেমন এমনে খাইতাম গিয়া....... ৩ প্লেট -৪ প্লেট। গোস্ত থাকলে ৫ প্লেট। কয় অহন থেইকা গোস্ত থাকলে ৪ প্লেট আর অন্যান্য সময় ৩ প্লেট। আর কইছে ভাতের আগে ২-১ গ্লাস পানি আর বেশি কইরা শসা খাইতে। ভাতের লগেও খাইতে। গোস্ত যেইহানে ৩ পিস খাই সেইহানে কইলো ২ পিস কইরা খাইতে। আর কইলো তরকারী খাইতে বেশি কইরা। মানে গরু একটু কম খাইতে কইলো। কয় গরুর চর্বি নাকি বেশি খারাপ হার্টের লাইগা। তবুও যদি মনে চায় তয় সপ্তাহে এক দিন খাওন যায়। কিন্তু যেদিন যেদিন গরু-মুরগি খামু, সেদিন থেইকা ২/৩ দিন সকাল আর বিকালের হাটা ৫ মিনিট কইরা বার্তি। "
" ডাক্তারে সকালে হাটতেও কইছে? "
" হ, সকালে ১০ মিনিট। বিকালে ১০ মিনিট। "
" তারপর? "
" কইলো সকালের নাস্তা পেট ভইরা করতে। রুটি কিন্তু বেশি না। ৩ ডা। লগে সবজি পেট ভরে মতন। আর দিনে হোক, রাইতে হোক বা বিকালে ১ টা কইরা আপেল অবশ্যই খাওন লাগবো। আমি তো সকালে ২ ডা খাইতাম। ১১ টার দিক কইরা আরো ২ ডা খাইতাম। আর সইন্ধায় আরো দুইডা খাইতাম। "
" খাওন কই কমাইলো? "
" খাওন কমে নাই কি? বহুৎ কমছে। তয় ডাক্তার কিন্তু খুব চালাক। হেয় যে কইলো ভাতের আগে পানি আর সালাদ খাইতে "
" হ, কইলো তো "
" এইডা হের চালাকি আছিলো। পানি আর সালাদ খাইলে আমি আরাই- তিন প্লেটের বেশি ভাত খাইতেই পারি না। "
" কও কি? "
" হ! জবানে কইতাছি কইলাম। "
" ডাক্তার তো হাসাই চালাক দেখতাছি "
" হ। ২ প্লেট খাওনের পর দেখি ভাত আর ঢুকে না পেটে। মাছ- গোসত আমার দিক চায়া থায়। কিন্তু খাওন আর ঢুকে না। মুরগি তিন পিসের জায়গায় যেইহানে দুই পিস খাইতাম, হেইডাও পরে ১ পিসে আয়া পরলো। গরুর গোসত ২/৩ পিসের বেশি খাইতে মন চাইতো না। আর এইদিক আস্তে আস্তে সকাল-বিকাল হাইটা কোমরেও আরাম লাগতেছে। পা দুইডাত শক্তিও পাইতাছি। এরমাঝে আবার আমার জামাই আমারে ২ জোড়া কেডস দিসে। কয়, আব্বা, আপনে সকালে এইডা পইড়া হাটতে যাইবেন। আর দুপুরে খাওনের পর আড়তে যাইতে এইডা পইড়া যাইবেন যাতে বিকালে হাটতে পারেন। কয় কেডস পইড়া হাটলে নাকি এনার্জি লস কম হয়। ডায়েটিং আমার কাজের মতো হয়া গেলো। মনে ওইতো আড়ত ছাড়াও আমার আরেকটা কাম আছে। "
" জামাইডা বেশি ভালা পরছে তোমার। "
" হ! আমার মাইয়াডার কপাল বেশি ভালারে ভাই। জামাই নিজেও মাঝে মাঝে বাসাত আইলে আমার লগে সকাল সকাল হাটতে যায়। কয়, আব্বা আরেকটু হাটেন, আরেকটু হাটেন। জামাইডা আইলে আমার ৩/৪ মিনিট বারতি হাটন লাগে। কিন্তু একখান আজব জিনিস কি জানো? "
" কি? " প্রায় ৩-৪ জন একসাথে বলে উঠলেন।
" সকালে হাইটা গায়ে বল পাই। কেমন জানি ফ্রেশ ফ্রেশ একটা ফিল লাগে। মানুষজন কম থায়ে, হাইটা আরাম। ঠান্ডাও লাগে একটু কিন্তু হাইটা যে এতো আরাম। মনে অয় যেন সারাদিনের শক্তি এই সকালে হাইটাই কামাই। হাইটা যাই। আর আইতে সময়ে দুইডা আপেল আর একডজন কলা নিয়া আই। আপেল ২ ডা খাইতে খাইতে বাসাত ঢুইকা গোসলডা কইরা নাস্তা খাইয়া আড়তের দিক হাটা দি। এমনে চললো ২ মাস। "
" দুই মাসে তোমার ওজন কদ্দুর কমছে? "
" ২ কেজি ১ গ্রাম।"
" মাত্র?? এতো কষ্ট কইরা মাত্র ২ কে জি? "
" হ, আমিও তাই কইছিলাম ডাক্তাররে। দুইমাস পর হের কাছেই গেছিলাম। জামাই নিয়া গেছিলো আমারে। আমি কই এতো কষ্টের পর মাত্র ২ কেজির মতো কমলো? "
" ডাক্তার কি কইলো? "
" ডাক্তার কইলো যে, আমি নাকি রেকর্ড করছি!! "
" ক্যান? "
" কয় দুই মাসে ২ কেজি ১০০ গ্রাম মানে ৬০ দিনে ২১০০ গ্রাম কমাইছি। "
পকেট থেকে ফোনটা বের করে মুহুর্তেই কি যেন হিসেব করলেন।
" মানে দৈনিক প্রায় ৩৫ গ্রাম কইরা ওজন আমি কমাইছি। "
চেহারায় ফুফার যুদ্ধজয়ের হাসি
এইফাকে উঠে গিয়ে দুই গ্লাস পানি খেয়ে এলেন। এসে বসলেন। আবার শুরু তার ডায়েটযাত্রার কালজয়ী কাহিনী।
" এরপর ডাক্তার কইলো যে, আপনে যদি দিনে ৩৫ গ্রাম কমায়া রেকর্ড করতে পারেন তাইলে তো ৫০ গ্রাম কইরা কমান কোন ব্যাপারই না। ৫০ গ্রাম কইরা যদি কমাই তাইলে আমার ওজন কমবো দুই মাসে আরো ৩ কেজি। "
( আমি সিউর এটাও ফুফাকে মোটিভেট করার একটা ট্রিক ছিলো ডাক্তারের)
" খাইছে? খাওন কি আরো কমান লাগবো? "
" হ। কয় অহন থেইকা ভাতের আগে সালাদ আগের চেয়ে অর্ধেক কইরা বার্তি। সকালের নাস্তায় যা ছিলো তাই থাকবো। চায়ে তো চিনি এমনেই খাই না। সব্জি-সালাদ আগের চেয়ে অর্ধেক কইরা বারতি খাওন লাগবো। তয় আলু বাদে যে কোন সবজি। ১ সপ্তাহ গোসত খাইলে পরের সপ্তাহ কোন গোসত চলবো না। লগে সকালে হাটাও ৫ মিনিট কইরা বার্তি। মানে ১৫ মিনিট কইরা। বিকালেও একি। আমি কইলাম যে, সকালে একটা ডিম হইলে নাস্তাডা ভালো হয়। "
" কি কইলো ডাক্তারে? "
" কয়, খান। অসুবিধা কি? তয়, ডিমের লালিডা খাইবেন না। ওইডাত বেশি চর্বি। আমি কই, লালি ছাড়া ডিম খায় ক্যামনে? "
" কি কইলো? "
" কয়, ভাবীরে কইয়েন যে একটু পোড়া পোড়া কইরা পিয়াজ-মরিচ দিয়া ভাইজা দিতে। খাইতে থাকেন। মজা ছাড়তে পারবেন না। "
" হাসাই মজা? "
" মজা মানে? আমার জীবনে ডিম এতো মজা কইরা খাই নাই আমি। তয় ডাক্তাররে আরেকখান কথা জিগাইছিলাম। "
" কি? "
" যে, বিয়া সাদির দাওয়াত আইয়ে বহুৎ। না গেলে মন কালা করে। গেলে তো খাওন লাগবো। কি করুম? "
" কি কয়? "
" কয়, যাইবেন। খাইবেন। তয় ভাত খাইবেন ১ মুঠা বরাবর। বাকি সব গোসত, মাছ, লালি ছাড়া ডিম আর সবার আগে ২ গ্লাস পানি আর সালাদ যা পারি। আর যেদিন বিয়া খাইবেন হের পরের দিন খালি দুপুরবেলা বেশি কইরা সালাদ সবজি ভাত। কিন্তু রাইতে ভাত নাই। শুধু সবজি আর সালাদ। আমি কই ক্যামনে সম্ভব রাইতে না খাইয়া? কয় ১টা রাইত কষ্ট আপনের কাছে কোন ব্যাপার? মাঝে মাঝে রাইতেও ক্ষিদা লাগতো জানো? তোমার ভাবী মুড়ি দিয়া চানাচুর মাইখা দিতো। খাইয়া আবার ঘুম দিতাম। তয় ডাক্তারে কিন্তু এইবার একখান নতুন জিনিস জিগাইলো। যে আমি ঘুমাই কিনা ঠিক মতো। কয়, মিনিমাম ৬ ঘন্টা ঘুম নাকি আবশ্যক। তাও আবার ভালো ঘুম। কয়, মাঝে মাঝে যদি শরীর সারাদিন ঝিমায় তাইলে রাইতে ১ ঘন্টা আগে ঘুমায়া যাইতে সকালে ঠিক টাইমে উইঠা হাটতে যাইতে। আর দুপুরে খাওনের পর ১/২ ঘন্টা -১ ঘন্টা চুপচাপ চোখ বন্ধ কইরা শুইয়া থাকতে। "
" দুপুরবেলা শইলডা জিমায়। "
" হ, এমনে চললো আরো ২ মাস। মাঝে মাঝে প্রেশার লো মারতো। ১টা লালিসহ সিদ্ধ ডিম খাইতাম। ঠিক হয়া যাইতো। এই দুইমাসে আমার ওজন কতো কমছে জানো? "
" কতো? "
" ৩ কেজি ২০০ গ্রাম। মানে ৪ মাসে টোটাল ৫ কেজি ৩০০ গ্রাম। আমার ডাক্তার তো আমারে দেইখা তালি দিলো। কয়, এমনে যদি চলতে থায়ে তাইলে রেকর্ড আরেকটা হইবার পারে। "
( ফুফা ইতোমধ্যে বেশ ভাবে চলে গেলেন)
" পরের দুই মাসে কমলো আরো ৪ কেজি। "
" শুধু ৪ কেজি? "
" ৪ কেজি কম লাগে তোমার? ২০০/১০০ গ্রাম অয় নাই আরকি। হেইবারে ৬ ডা বিয়া খাইছিলাম। হেইবারের রুটিন ছিলো সালাদ আরো অর্ধেক বার্তি মানে একদম প্রথমের ডাবল। ভাত কমায় নাই কিন্তু সবজি, সালাদ, ফল-ফ্রুট বার্তি। সালাদ আর সবজি খাইকে ভাত এমনেই খাওন যায় না বার্তি। সকালে হাটাহাটির টাইম বারায় নাই কিন্তু কইছে ১৫ মিনিটে আগে যেটুক যাইতাম? ১৫ মিনিটেই তার চাইতে বেশি দূরে যাওনের ট্রাই করতে। প্রথম কয়দিন একটু একটু কইরা যাইতে যাইতে শেষ মেশ দেহি আমি স্কুলের মাঠ ফালায়া মেইন রোড পর্যন্ত হাটতে পারি। "
" কি কও? ১৫ মিনিটে ওইটুক যাও তুমি? "
" হ, হেইবার মিলা ২ মাস। ২ মাস। ২ মাস। ৬ মাসে আমার কমছে টোটাল ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম। ডাক্তার তো আমারে কফি খাওয়াইলো। কয়, আমার এমন রুগি মনে হয়না আর কোন ডাক্তারের আছে। " ( ফুফা পার্টে চলে গেলেন)
" তারপর? "
" কিন্তু হেইবার ডাক্তার আমার হার্ট চেক কইরা দেখছে। ই সি জি করাইলো। ব্লাড টেষ্ট নিলো।প্রেশার নিলো। কয় সবকিছু ফিট আপনে আবার দুই মাস পর আসেন। খানা যেমন চলতাছে চলুক। কিন্তু যেন না বারে। আর পারলে রাইতে আরত থেইকা বাসাত আইতে যেন হাইটা আই। "
" মানে রাইতেও হাটা লাগবো? "
" হ, বেশি না ২০ মিনিট আধা ঘন্টা লাগে বাসাত যাইতে হাইট্টা। কিন্তু হাইট্টা বাসাত গেলে তো ক্ষিদা বেশি লাগে। খাওন লাগে বেশি। কয়দিন বেশিই হইছিলো খাওন। আবার নিজেরে বুঝাইলাম যে রেকর্ড করন লাগবো। "
" তয়? "
" রাইতে বাসাত আইতে আইতে আরো ২ ডা আপেল লগে ১ লিটার পানি খাইতাম। বাসাত আইয়া ভাতের আগে সালাদ, সবজি, পানি। আবার আগের মতো। "
এবার কিন্তু ফুফা পায়ের ওপর পা তুলে দু'হাত মাথার ওপর টান টান করে রীতিমতো পা নাচাতে লাগলেন।
" তয়, হেইবার আমার ওজন কমলো ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম। "
" রেকর্ড তো ওইলো না তোমার? "
" ২ মাসেরডা অয়নাই কিন্তু ৮ মাসের তো ওইছে। ৮ মাসে কমাইলাম টোটাল ১৩ কেজি ১০০ গ্রাম। মানে আমার ওজন তহন ১২৭ কেজি বিয়োগ ১৩ কেজি ১০০ গ্রাম। ১১৩ কেজি ৯০০ গ্রাম। "
" ভালাই। বহুৎ কমছে। রেকর্ডতো ওইবোই। "
" আইলো রমযান মাস। ডাক্তারে কইলো, সারাদিন রোজা রাইখা তো আর ইফতারি কম করা যায় না। তয় ইফতারিতে সালাদ আরো বেশি। চনা একটু কম কইরা খাইবেন। মাঝে মাঝে বাড়ায়া খাইয়েন সমস্যা নাই। ভাজা পোড়া একটা কইরা। পানি যতবার মনে পড়ে ততবার। তয় যত কিছুই হোক তারাবী মিস দিবেন না। সকালে সেহেরি খাইয়া নামাজ পইড়া ৫টা মিনিট হাটবেন। জোরে হাটবেন। ইফিতারির পর নামাজ পইড়া ১০ টা মিনিট হাটবেন। রাইতে বাসাত আইতে হাইটা আইবেন। একটু ভালো মন্দ খাওন যাইবো। তেল জাতীয় কিছু কম খাইবেন। ইফতারির পর থেইকা সেহেরি অব্দি যতবার মনে পরে পানি খাইবেন, ফল খাইবেন, মুরি খাইবেন, ক্ষিরা-গাজর খাইবেন কামড়ায়া কামড়ায়া,সুক্রোল দিয়া সরবত খাইবেন,ভাতের আগে সালাদ পানি চলবো। সেহেরীত একটু ভালো মন্ধ খাইলেন কিন্তু অতিরিক্ত কিছু না। নাইলে সব কষ্ট বিফলে। "
" রমযান তো তাইলে তোমার খাওন ছিলো মোটামুটি "
" হ, রমযান গেলো। গেলো আরেকমাস। এই ২ মাসে কমলো ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম। মানে টোটাল ১০ মাসে কমাইছি ১৬ কেজি ৪০০ গ্রাম। তয় লাস্টের এক মাস আড়ৎ থেইকা বাসাত আইতে আমি ৫ মিনিট আগে আইছি জোরে হাইট্টা। রমজানে খাওন হইছিল ভালো।"
" আমার ডাক্তার আমারে নিয়া বেজায় খুশি। কয় আমি যদি জোয়ানকালে আইতাম তাইলে আমারে নায়ক বানায়া ছাড়তো হেয়। "
সবাই হঠাৎ একসাথে হো! হো! করে হেসে উঠলেন।
" এই। এমনে কইরাই অহন ৯৭ কেজি। সকালে ১৫ মিনিটে হাইট্টা আমি রাস্তা পার হইয়া কলেজগেট যাই। বিকালে হাইটা হাইটা আমি আমার আড়ত থেইকা উত্তরপাড়ার কলিমের আড়তে গিয়া ২ডা ডাইলপুরি খাই। আইতে ২ ডা আপেল ১ লিটার পানি। "
" আহারে। শইলডা তাইলে ভালাই আছে? "
" হ। ভালাই আছি অহন। গত চার মাস একটু একটু কইরা দৌড়নের ট্রাই করি। সকালে ৫ মিনিট দৌড়ান দি, আর ১০ মিনিট হাটি। বিকালেও। খালি রাইতে বাসাত যাইতে ৫ মিনিট দৌড়ান দি, আর বাকিডা হাইট্টাই যাইগা। আড়ত থেইকা বাসাত আইতে আমার অহন সময় লাগে ২০ মিনিট, মাঝে মাঝে ১৮ মিনিট। তয় ডাক্তরে কইছে সকাল- বিকালের হাটা-দোড়ানি নট মোর দেন ফিফটিন মিনিটস। নাইলে নাকি আমগো হার্টে প্রেশার পরবো। শইল ভারি তো। বয়স ও ওইছে। "
" কয়দিন তাইলে তোমার ডায়েটিং বেশি ওইবো? "
" একটু। আগামী দুই সপ্তা গোশত খামুই না। সকালে দুই মিনিট কইরা বারতি দৌরাম আর দুইমিনিট কম হাডুম। ১৫ এর বেশি হইতে পারবো না। একটু ফল ফ্রুট বেশি কইরা খামু। সালাদ বেশি খামু, দুই দিন বাদে বাদে একদিন কইরা রাইতে ভাত খামু না। এরপর আবার ঠিক হয়া যাইবো। তয় আইজকাও কিন্তু মেলা সালাদ খাইছি তোমরা কিন্তু দেহনাই। "
" কই খাইলা? ভাতের আগে? "
" নাহ। সকাল থেইকাই তো আমি ঘুইরা শসা-গাজর খাইতাছি। পাকের ঘরে গিয়া সালাদের ঝুড়িত্তে লইয়া হাইটা হাইটা খাইছি একটু পর পর। মেহমানদারি করতে সময়ও খানার টেবিলেত্তে খাইছি। তয় গরুডা বেশি খাইয়ালাইছি। যাক, কোন ব্যাপার না। কত বড় ব্যাবসা সামলাইতাছি সেই জোয়ানকাল থেইকা, এইডাতো মোটে একটা শইল মাত্র। "
" ডাক্তরের চেম্বার কোনায়? "
" যাইবা নি? কালকে বিকাল কইরা আড়তে আয়া পরো। তোমারে নিয়া যামু। আইজ আমার খাওন বারতি ওইছে। ডাক্তররে কওন লাগবো। "
এভাবেই আড্ডা চলতে লাগলো এপিক ডায়েটের। আমার শহরে ফিরতে হবে তাই উঠে পড়লাম। আর শোনা হলো না ফুফার গল্প। তবে যতদূর শুনলাম সত্যিই ইন্সপায়ারিং।
ধৈর্য। সবকিছু ধৈর্যের ফল। কোটিপতি ফুফা একাই আড়ত সামলান গত ৩৫ বছরের ও বেশি। বুঝতেই পারছেন, আর কিছু থাকুক বা না থাকুক, ওনার ধৈর্য প্রচুর। না হয় একা এতোবড় ব্যাবসা সামলানো যেন তেন ব্যাপার না।
আমার ধারনা ডাক্তার ফুফার ধৈর্য আর ওজনকেই কাজে লাগিয়েছিলেন ওনার ডায়েটে। প্রথমে ১০ মিনিট করে ১২৭ কেজি ওজন নিয়া হাটার ক্যাপেবলিটি এনেছেন আর সাথে একটু একটু করে খাবার কমিয়েছেন যাতে তিনি হঠাৎ অতিমাত্রায় ক্যালরির ঘাটতিতে দুর্বল হয়ে না যান।
কিন্তু ৩৫ বছর যাবৎ যিনি আড়তে সকাল বিকাল রাত বসে বসে শুধু হিসেব কষেছেন তাকে হঠাৎ ১২৭ কেজি ওজন জর নিয়ে তো আর ম্যারাথনে নামানো যায় না। ১০ মিনিট করে ২ মাস হাটার পর যার ১০ মিনিট করে হাটার অভ্যাস আছে তিনি নিশ্চই চাইলে আর ৫ টা মিনিট বার্তি হাটতে পারবেন। যিনি ৮ মাস টানা ১৫ মিনিট করে সকাল বিকাল ঘাম ঝড়িয়ে হাটেন তিনি নিশ্চই চাইলে ৫ মিনিট দৌড়ে ১০ মিনিট হাটতেই পারবেন। হ্যা। ১০০+ ওজনধারীদের জন্যে এটা ইজি না কিন্তু ২ মিনিট দৌড়ে ১৩ মিনিট হাটা,৩ মিনিট দৌড়ে ১২ মিনিট হেটে আস্তে আস্তে শরীরকে অভ্যস্ত করিয়ে নিয়ে পারেন। ডাক্তারও তাই করিয়েছেন ফুফাকে দিয়ে। আর দেখা হলেই রেকর্ডের কথা বলে বলে ইন্সপায়ার করেছেন। হয়তো ডাক্তার জানতেন যে আড়তের ব্যবসায়ী বিনোদন জগৎ-ফিটনেস এসবের খোজ-খবর রাখেন না। তাই ডাক্তারের পক্ষে ফুফাকে রেকর্ডের কথা বিলিভ করানো খুব সহজ হয়ে গেলো। এখানে জিমনেশিয়ামে আমরা যেমন ব্যায়ামে অনেক ভার ব্যাবহার করি, তেমনি ফুফার ডায়েটে ভার ছিলো ফুফার শরীরের ওজন।
এবার আমাদের কথায় আসি। আমাদের ডায়েট ফেল হয় ধৈর্যের অভাবে। অনেকের কাছে ডায়েট মানে না খেয়ে মরে যাওয়া। ২ মাসে বিদ্যাবালান থেকে আনুস্কা শর্মা বা রনবির সিং। ভূল ব্যাপারটা।
Everything needs perfect timing with perfect steps.
শরীরের ব্যাপারে একটু ধৈর্যশীল হোন। সময় নিন। রুটিনে আসুন। আর অবশ্যই সময় থাকতেই উদ্যোগ নিন। ৩ মাসে আনুস্কা বা রনবির সিং না হয়ে ১০ মাসে নিজেকে সুস্থ করে তুলুন। এরপর দেখুন দুই বছরে কি রেজাল্ট আসে।
মনে রাখবেন, ডায়েটের মুল উদ্দেশ্য শরীরকে সুস্থ রাখা। শুধু দরকার ধৈর্য আর সময়। সফল অবশ্যই হবেন।
Happy life to everyone.
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৭
নীল গাংচিল বলেছেন: আমারে ডাইকেন আইসক্রিম খাইতে
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭
বর্ষন হোমস বলেছেন:
তো ভাই এই ঘুষ্ঠির সাথে আপনের পরিচয় হইলো কিভাবে?
নাকি আপনি এদেরই বংশের।তাহলেতো আপনার ওজনও তাদের মতই।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯
নীল গাংচিল বলেছেন: নাহ। বন্ধুর বংশ।
আর আমার ওজন ৩০/০৪/২০১৭ এ ছিলো ৭০ কেজি।
এখন ৬৮।
ডায়েট করি না। তবে ঘুম কন্ট্রলে রেখে কাজ করি। বাহিরের ভাজা পোরা এভয়েড করি।
হয়ে যায়।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমি চেষ্টা করি দুই বেলা কম খাওয়ার! এমনিতে এক বেলা খাইনা
১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১১
নীল গাংচিল বলেছেন: কোম খা্বার টেকনিকটা ফলো করুন। সত্যিই ফল পাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খামুটাই বা কি কানতে মুঞ্চায়..... সব কিছুতেই ফ্যাট আর ফ্যাট
যে জিনিস মজা সেটাই বাতিল ......। কত কষ্ট করি তাও ওজন জায়গামত থাকে আজিব
ভাল্লাগে না -চকলেট আর আইসক্রিম খামুই খামু
যা হওয়েনের হোক গ্গা
সুন্দর পোস্ট