নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজ ইতিহাস : ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর সমাজতান্ত্রিক পুর্ব ইউরোপের হারিয়ে যাওয়া

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৫:২৪

২য় বিশ্বযুদ্ব পরবর্তী ইউরোপীয়ান ইতিহাস লিখতে বসে এর আগে যুদ্ধত্তর ইউরোপ এবং পশ্চিম ইউরোপের বিষয়ে লিখেছিলাম।আজকে পুর্ব ইউরোপ নিয়ে লিখে এই ৩ পর্বের এই সিরিজটা শেষ করে ফেলি।



২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীর পরাজয় এবং ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিদ্ধস্ত অবস্থা পূর্ব ইউরোপকে এক অর্থে অভিবাবক শুন্য করে ফেলে।যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্মতিক্রমে ইয়াল্টা কনফারেন্সের মাধ্যমে স্ট্যালিনের রাশিয়া পূর্ব ইউরোপের অভিবাবকত্ব পায় ।কাঁচামালে সমৃদ্ধ পুর্ব ইউরোপ সোভিয়েত রাশিয়ার জন্য খুব গুরুত্বপুর্ন ছিল।এটা একই সাথে রাশিয়ার ভারী শিল্পে কাঁচামালের যোগানদাতা ও পশ্চিম ইউরোপ ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মাঝে বাফার জোন হিসেবেও কাজ করে।



প্রথমে স্ট্যালিন সরাসরি পুর্ব ইউরোপে কম্যুনিস্ট শাষন চাপিয়ে দেয় নাই তবে ধাপে ধাপে প্রতিটা দেশেই (পোল্যান্ড,হাঙ্গেরী,চেকোস্লোভাকিয়া,রোমানিয়া,বুলগেরিয়া) কম্যুনিস্ট দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।



কিন্তু ঝামেলা বাধে অল্পদিনেই কারন পুর্ব ইউরোপীয়ান কম্যুনিস্টদের মাঝে বিভক্তি! এক দল ছিল যারা জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় মস্কোতে কাটিয়েছে ওদের ধারনায় ছিল শতভাগ মস্কোর আনুগত্য।মস্কো যা করে সেটা ফলো করা এবং মস্কোর উপদেশেই ওদের সব।

কিন্তু আরেকদল ছিল,ওরাও কম্যনিস্ট কিন্তু মস্কোর কথাই শেষ বলে না মেনে নিজ দেশের পরিস্থিতি ও সমাজ অনুযায়ী কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে চেয়েছিল।যাদের বলা হতো, জাতীয়তাবাদী সোশ্যালিস্ট।





জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিকদের আদর্শ হয়ে উঠে, মার্শাল টিটো

!



নাৎসি বিরোধী সফল যোদ্ধা টিটোকে অন্যান্যদের মত করে স্ট্যালিন তার নিয়ন্ত্রনে আনতে ব্যার্থ হয়। যুগোস্লাভিয়ার এই নেতাও কম্যুনিস্ট কিন্তু তার আদর্শের সাথে স্ট্যালিনের আদর্শের ছিল পার্থক্য।স্ট্যালিন যেখানে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হিসেবে ভারী শিল্প এবং কেন্দ্রিয় ক্ষমতায় বিশ্বাসী ছিল,টিটো'র মত ছিল ভিন্ন। সত্যিকারের শ্রমিকদের তথা সাধারন মানুষের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে টিটো ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনে ছড়িয়ে দিয়েছিল এবং বাজারে ভোক্তা চাহিদা অনুযায়ী পন্য উৎপাদন শুরু করে।



স্ট্যালিনের বিপক্ষে টিটো ক্রমেই সমৃদ্ধ চরিত্র হয়ে উঠছিল এবং পোল্যান্ড,হাঙ্গেরীর মত দেশে জাতীয়তাবাদী সোশ্যালিস্ট নেতাদের কাছে টিটোর যুগোস্লাভিয়া ক্রমেই একটি সফল বিকল্প ধারা হয়ে উঠছিল।



এই পর্যায়ে সোভিয়েত দেশগুলোর মাঝে একটি অর্থনৈতিক জোট গঠন করা হয় "কমেকন"।এবং স্ট্যালিন শাস্তি স্বরুপ টিটোর যুগোস্লাভিয়াকে এই জোটে নিষিদ্ধ করে এবং অন্যান্য সদস্যদের সাথে যুগোস্লাভিয়ার বানিজ্য বন্ধ করে দেয়।ফলে প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবে যুগোস্লাভিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য শুরু করে এবং বেশ কিছু আর্থিক সাহায্যও পায়।



সমাজতন্ত্রের পথে দুটি ধারার সৃষ্ঠি হয়, স্ট্যালিনিজম এবং টিটোইজম।





পোল্যান্ড,হাঙ্গেরী,চেকোস্লোভাকিয়া,পুর্ব জার্মানী এই দেশগুলোতেও অনেক নেতাই মস্কোকে শতভাগ অনুসরনের বিপক্ষে ছিল।তাদের কথা হলো যে, রাশিয়া আর আমাদের দেশ আলাদা এবং চাহিদাও আলাদা সুতরাং আমাদের নিজস্ব চিন্তা থাকাই স্বাভাবিক।কিন্তু সবাই তো আর টিটো না।তাই এদের অধিকাংশকেই নির্মমভাবে দমন করা হয়।



এরই মাঝে স্ট্যালিন মারা গেলে রাশিয়া তথা পুরো সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পুর্ব ইউরোপে তৈরী হয় ভয়াবহ নেতৃত্বের সংকট।



নতুন নেতৃত্ব নিয়ে অনেক ঝামেলার পর মালেন্কোভ মস্কো'তে ক্ষমতায় আসে,কিন্তু অল্পদিনের মাঝেই কম্যুনিস্ট দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাকে সরিয়ে দিলে নিকিতা ক্রুশ্চেভ সোভিয়েত রাশিয়ার ক্ষমতার বসে এবং কিছু নতুন নীতি গ্রহন করে।যেমন স্ট্যালিনের লৌহ শাষনের চরম ক্রিটিসিজম করে,অনেক কঠোর নীতিমালা শিথিল করে,যুগোস্লাভিয়ার ভিন্নমত মেনে নেয় এই বলে যে, আমাদের পথ আলাদা হলেও লক্ষ্য এক।মানে অতীতের কঠোর অবস্থান অনেকটাই শিথিল করে দেয় ক্রশ্চেভ।





তবুও ঝামেলা বাড়তেই থাকে, পোল্যান্ডের শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে।তখন জেল থেকে বিদ্রোহী জাতীয়তাবাদী নেতা গোমুল্কাকে ফিরিয়ে এনে ক্ষমতায় বসানো হয়।এবং কৃষি'র যৌথ উৎপাদন ব্যাবস্থা উঠিয়ে দেয়া হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের কাছে বিপুল ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়।পোল্যান্ড জাতীয়তাবাদী সমাজতন্ত্র অনুসরন শুরু করে। পোল্যান্ডের সংস্কার মেনে নেয়ার মুল কারন ছিল যে, কম্যুনিজমে বিশ্বাসীদের নিজেদের মাঝে ভিন্নমত থাকতেই পারে তবে সবার উদ্দেশ্য অভিন্ন মানে সমাজতন্ত্র এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিতে সবাই এক জোট।





এরই মাঝে হাঙ্গেরীতে শুরু হয় বিদ্রোহ।বিদ্রোহ দমনে হাঙ্গেরীর সরকার সোভিয়েত আর্মি তলব করলে পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যায় এবং এমরে নাজি'র নেতৃত্বে বিদ্রোহে হাঙ্গেরীয়ান আর্মির একাংশও যোগ দিয়ে বিদ্রোহ সফল করে।কিন্তু পরবর্তীতে নাজি হাঙ্গেরীকে ওয়ার স প্যাক্ট (ন্যাটোর মত সোভিয়েত ও পুর্ব ইউরোপের সামরিক জোট) থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিরপেক্ষ ঘোষনা দিয়ে বসে। এটা একটা অনেক বড় পদক্ষেপ হয়ে যায়।কারন সোভিয়েত ইউনিয়ন ভুক্ত না হলেও পুর্ব ইউরোপীয়ান এই দেশগুলো সোভিয়েত ইউনিয়নেরই স্যাটেলাইট বলে পরিচিত।



এই অবস্থায় চলতে দিলে অন্যান্য দেশে যেমন, চেকোস্লোভাকিয়া,রোমানিয়া,বুলগেরিয়াতেও বিদ্রোহ শুরু হয়ে যাবে তাই সোভিয়েত আর্মি এবার পুরো শক্তিতে বিদ্রোহ দমন করে নাজিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়।পরে হাঙ্গেরী পোল্যান্ডের মত জাতীয়তাবাদি সমাজতন্ত্রের পথ ধরে।





কিন্তু পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরীতে এমন ঝামলা তৈরীর কারন হিসেবে ক্রুশ্চেভের উদারনীতি'র সমালোচনা শুরু হয়।এবং ২ বার বরখাস্ত হতে হয় তাকে।



১৯৬৮ সালে চেকোস্লোভাকিয়া বিদ্রোহ করে বসলে ওয়ার স প্যাক্টের সদস্য দেশগুলোর সামরিক বাহিনী সম্মিলিতভাবে বিদ্রোহ দমনে গেলে এবার রোমানিয়া নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।



এরপর থেকেই পুর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের দুরত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে।এবং পশ্চিমা বিশ্বের সাথে ধীরে ধীরে সম্পর্ক তৈরী হয়। সবশেষে ১৯৮৯এ সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেই ভেঙ্গে পড়ে।





সোভিয়েত ইউনিয়ন পুর্ব ইউরোপকে ধরে রাখতে ব্যার্থ হবার পেছনে একটা মুল ও বড় কারন ছিল,রাশিয়ান আদর্শ মতে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিগুলোকে অতি দ্রুততার সাথে ভারী শিল্প নির্ভর করে ফেলায় শহরগুলোতে মানুষের প্রচন্ড চাঁপ এবং জীবনযাত্রার মান অস্বাভাবিকভাবে নিচে নেমে যাওয়া। ২য় বিশ্বযুদ্ধ জয়ী দলে থেকেও এমন জীবনমান অনেকের মনেই ক্ষোভ সঞ্চার করলেও স্ট্যালিনের সামনে অভিযোগ জানানোর সাহস ছিল না করোই।ফলে মুখ বুজে সহ্য করে যেতে হয়েছে।স্ট্যালিনের মৃত্যুর পর থেকেই আস্তে আস্তে আওয়াজ বের হতে শুরু হয়।



টিটোর দেখানো ভিন্ন পথ শুরুতেই সমাজতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় একতাটা নষ্ট করে ফেলে।পরে মস্কোতেই বিভিন্ন সংস্কারপন্থীদের উত্থান,পুর্ব ইউরোপে জাতীয়তাবাদী সোশ্যালিজম,চায়না ও আলবেনিয়ায় কট্টোর পন্থার উত্থান।এসব মিলিয়েই সমাজতন্ত্রের একতা নষ্ট হয়ে যায়।



আরো একটি মুল কারন ছিল যে পশ্চিম ইউরোপের অত্যন্ত সফল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।ফলে পুর্ব ইউরোপের দেশগুলো ধীরে ধীরে পশ্চিমা আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে যায়।আর পুরো সময়টাতেই যুক্তরাষ্ট্র ,পশ্চিম ইউরোপীয়ান দেশগুলোর ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির চমকানো দুনিয়ার বিজ্ঞাপনী প্ররোচনা তো ছিলই।আর ব্যাক্তিগতভাবে বলকান তথা পুর্ব ইউরোপের ইতিহাস পড়ে আমার বিশ্বাস জন্মেছে যে বলকান দেশগুলোতে শতভাগ সফলতা কোনদিনই সম্ভব নয়।



আর যেকোন আদর্শবাদী জীবনই আদর্শহীন জীবনের তুলনায় কঠোর ও কম আকর্ষনীয়।



তাই এসব মিলেই যেই সময়টাতে পশ্চিম ইউরোপ দিনে দিনে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে ঠিক সেই সময়টাতেই সমাজতান্ত্রিক পুর্ব ইউরোপের পতন দেখি আমরা।



সমাপ্ত।













২য় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী ইউরোপের ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে যাওয়া এবং তাদের পরিনতি নিয়ে লেখা এই সিরিজের এখানেই আপাতত সমাপ্তি।

কষ্ট করে পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।





প্রথম পর্ব :সহজ ইতিহাস: ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরের ইউরোপ

Click This Link



দ্বিতীয় পর্ব : সহজ ইতিহাস : ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর পশ্চিম ইউরোপের ফিরে আসা

Click This Link

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:১৫

অ্যামাটার বলেছেন: আগের দুইটা পর্ব পড়েছিলাম কাল। এখন এইটা শেষ করলাম। বিশ শতকের দ্বিতীয় ভাগ থেকে সোভিয়েৎ পতনের আগ পর্যন্ত পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক টানাপোড়েন খানিক অল্প কথায় সেরে দিয়েছেনঃ)

মার্শাল টিটো সম্ভবত বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে ভাষন দেওয়া প্রথম বিদেশী নেতা।

স্তালিন-ক্রুশ্চেভের তূলনামূলক বিশ্লেষনটা তাৎপর্যপূর্ণ। অন্তত, এইটা প্রমাণ হ্য যে কোনও আইডিওলজি টিকিয়ে রাখতে 'আইরন ম্যান' হওয়ার বিকল্প নাই! তা না হলে মুক্তবাজার অর্থনীতির মর আদর্শও মৌসুমী হাওয়ায় ওঠা-নামা করবে। আসলে নাটবল্টু যতটুকু টাইট দিলে প্যাঁচ কেটে না যায়, সেইটার পরিমাপ করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।

আর সিরিজটা অনেক সমদ্ধ, সহজ ভাষায় লেখা। ধন্যবাদঃ)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ভাল বলেছেন যে,নাটবল্টু কতটুকু টাইট দিলে প্যাঁচ কাটবে সেটা বুঝতে পারাই প্রকৃত নেতার যোগ্যতা।

ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:০৬

সাগ৪২০ বলেছেন: View this link

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩২

লুথা বলেছেন:
জোশ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৪৯

অ্যাডলফ বলেছেন: আপনার পূর্বের দুটি সিরিজ সহ বর্তমান সিরিজটি সত্যিই অসাধারণ। তবে আইডিওলজি টিকিয়ে রাখতে যেমন আয়রণ ম্যানের বিকল্প নেই ঠিক তেমনি নাটবল্টু কতটুকু টাইট দিলে প্যাঁচ কাটবে সেটা বুঝতে পারার উপর নির্ভর করে একজন নেতার প্রকৃত সফলতা।


আর এই তত্ত্বটির সফল বাস্তবায়নকারী মহামতি হিটলার।

০১ লা মে, ২০১১ রাত ১২:২৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ অ্যাডলফ ধৈর্য ধরে পড়ার জন্য।আপনার কমেন্টে অনেক উৎসাহ পেয়েছি।
হিটলার যদি পরাজিত না হতো তাহলে আজকে নেতার সংজ্ঞা জানতে হতো হিটলারের জীবনি পড়ে।

৫| ০১ লা মে, ২০১১ রাত ১:৩৮

অ্যাডলফ বলেছেন: আপনার বক্তব্যটি আমি পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না ভাই। দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন?

০১ লা মে, ২০১১ রাত ১:৫৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনি বলেছিলেন না যে হিটলার সফল বাস্তবায়নকারী,আমি সেটাকেই একটু বিশদ করে বললাম আর কি :)

বলতে চেয়েছিলাম।বিজয়ীরাই ইতিহাস লেখে।
আর পরাজয়ের কারনে বিজয়ীরা নিজেদের ইচ্ছামত হিটলারকে পরিচিত করেছে।

হিটলার একজন সাধারন নাগরিক থেকে জার্মানীর চুড়ান্ত ক্ষমতায় বসে,এবং আর্থিক পঙ্গু জার্মানীকে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলে।প্রতিটা জার্মানকে দেশপ্রেমের দিক্ষা দেয় এবং দেশপ্রেমের জন্য এতটাই নিজেকে উজাড় করেছিল যে বিয়ে পর্যন্ত করে নাই।

ওর অমানবিক চরিত্রের কথা আমরা জানি কিন্তু গুনাবলী নিয়ে কোন কথা যায় না! এমনকি অস্ট্রিয়া বা জার্মানীতে আইনত নিষিদ্ধ!

দোষ ত্রুটি থাকা স্বত্তেও জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে আদর্শ চরিত্র হতে পারতো হিটলার।

৬| ০১ লা মে, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫

অ্যাডলফ বলেছেন: বিনম্র সাধুবাদ জানাই ভাই আপনার প্রকৃত ইতিহাস বিদ্যাকে।

পারলে এই মহান নেতাকে নিয়ে ও কিছু লিখেন -যা সাধারণ মানুষকে প্রকৃত ইতিহাস জানতে সহায়তা করবে।

০১ লা মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।আশাকরি লিখে ফেলবো একদিন।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১৮

সারওয়ার ইবনে কায়সার বলেছেন: এই লেখাগুলি এত আড়ালে পড়ে থাকে কেন??

হিটলারকে নিয়ে আমারো একই ধারনা....ব্যাটা অনেক বড় নেতা ছিল....কয়েকটা ভুলের কারনে!!!

আর পশ্চিম আর পূর্ব ইউরোপের মধ্যে আসলে ঐতিহাসিকভাবেই অনেএএক পার্থক্য......অনেক কাল আগে থেকেই....এইসব দেশের মানুষের মধ্যেই দেখবেন বিরাট পার্থক্য....

সেই জন্যই..

পোস্ট ফাটাফাটি হইসে....

০৯ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:৩০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনি কিভাবে খুঁজে পাইলেন সেটাই অবাক করার ব্যাপার :)

আগামীতে এমন পোস্টে আপনার অংশগ্রহনের অপেক্ষা করবো।

৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৭

ক্রন্দসী বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ।
ফ্যাক্ট গুলো এতো সোজা ভাষায় যা বল্লেন অতুলনীয়, কি ভাবে পারেন?তবে আপনার লেখা পড়ে একটা বিষয় মাথায় আসলো-
কোন দেশ দখল করার আগে ঐ দেশে বাইবেল পাঠানো হয় আগে।সোজা বাংলায় আমরা বলি ইউরোপেরা এ দেশে আসার আগে আমাদের ছিলো ধন সম্পদ ওদের হাতে বাইবেল,যখন যাই তখন এদের হাতে ধন সম্পদ আমাদের হাতে বাইবেল।এ পর্যবেক্ষণ আমেরিকান রা আপন করে নিলো।হাল আমলে বাইবেলের পরিবর্তে ব্যবহার করলো হলিউডি মুভি-সাই-ফাই কিংবা সামাজিক মুভি সব গুলোর বক্তব্য ঘুরে ফিরে এক-পৃথিবীটা শেষ হয়ে যাচ্ছে আমরা আমেরিকান রা উদ্ধার করে থাকি।এমনকি নিজেদের অনেক ছোট করে দেখাবে কিন্তু আসল কথায় নরচর নেই।বাগসবানি বা সিম্পসন কার্টুন গুলো তে বানি কিংবা সিম্পসন টিপিকাল আমেরিকান চরিত্রগুলোকে তলো ধুনো করে,বাগস ভিলেন ক্যারেকটার,কিন্তু ওটাই আসল আমেরিকান শাষকদের রূপ।২য় বিশ্বযুদ্ধে বাগস বানি কার্টুন গুলো সংকেত হিসেবে জেনারেল রা ব্যবহার করতো।মুভি গুলোর সবেয়ে খারাপ দিক হলো সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের পরিবর্তে সাংস্কৃতিক বিকৃতি জন্ম দিলো(হালের ইন্ডিয়ান মুভি দেখলে মনে হয় ভারতীয় রা ওরকম অর্ধ উলংগ )।রংপুরের কৃষক কিংবা আফ্রিকার কোন অধিবাসি বিচিত্র পোশাকে কিংবা সকালে ভাত খেয়ে সুখেই ছিলো।ওদের বোঝানো হলো কফি টোস্ট বাটার আর কোট সুট হলে তুমি মানুষ।বৈচিত্রের মাঝে ঐকতান টা নষ্ট করে সবাইকে এক আইডেনটিটি সন্কটে ফেলেছে-২য় বিশ্ব যুদ্ধে জয়ী আমেরিকানরা ।এভাবেই এগুতে থাকে।টিটো আর সেভিয়েট একই ভাবধারা-টিটো হলো জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের হোতা(সাজা কথায় আমরা সভিয়ট ব্লকের সাথেও বানিজ্য করবো,আমেরিকান ব্লক এর সাথেও করবো),আর নিকিতা ক্রুশ্চেভ নব রূপে সাম্রাজ্যবাদি রূপে সমাজতন্ত্রকে নষ্ট করলো।ষাট দশক থেকে দুনিয়া ব্যাপি কিছু অর্ধ উন্মাদ শাষক দেখা গেল।আমেরিকার উদ্দেশ্য হাসিল।একাধিক বিভেদে আমেরিকা পুরা শাকিবখান নাম্বার ওয়ান।
অনেকটা সিজারিয়ান অপারেশনের মতো,
ডাক্তারের লাভ
ক্লিনিকের লাভ
দেশের লাভ,(হা হা)কারণ জন্ম নিয়ন্ত্রন হয়ে যায়
আখেরে পস্তায় দাম্পত্য জীবনটা(আমরা ৩য় বিশ্ব)


২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনার আন্তর্জাতিক রাজনীতি'র পর্যবেক্ষনে আমি মুগ্ধ। আপনি জানেন সমাজবিজ্ঞানের ভিউপয়েন্টে রাজনৈতিক বিশ্লেষনের জন্য কোথায় ফোকাস করতে হয়। শ্রদ্ধা রইলো আপনার প্রতি।


পশ্চিমারা তখনই সাম্রাজ্য গুটিয়ে নিয়েছে যখন নিশ্চিত হয়েছে পুরো বিশ্বেরই সমাজ নিয়ন্ত্রনের উপাদানগুলো তাদের অধীনস্ত হয়েছে!

ঘুরে দাড়ানোর জন্য এবং দেশের সমৃদ্ধির জন্য কি কি করা যায় তা নিয়ে আমাদের সাথে আপনার চিন্তা-ভাবনার প্রকাশ আশা করছি :)

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৯

ক্রন্দসী বলেছেন: প্রজন্ম৮৬ ভাই। আপনি জানেন না হয়তো,আপনার টপিকস নিয়ে আমরা বন্ধুচক্র রা আড্ডা দেই।আমার অপ্রাসংগিক কথা গুলো স হজ ভাবে নিয়েছেন বলে ধন্যবাদ।আপনার পরবর্তি লেখার অপেক্ষায় আছি

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১

আমি রুবেল বলেছেন: ভাই হিটলার রে আমিও ভালা পাই কিনতু কইতে ডরাই। দোষ আছিলো কিসু কিন্তু ওর জায়গায় অন্য কেউ হইলে আরো খারাপ কিসু হইতে পারতো। সে যদ্দুর জানি তার আরিয়ান গোষ্ঠীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য একটু বেশি গোঁয়ার হয়ে গিয়েছিলো আর তার পরিবারের দেউলিয়াত্বের কারণ হিসেবে ইহুদীদের চিণ্হিত করেছিলো বাল্যকালে? যে কারণে তার ইহূদীদের উপর ক্ষোভটা অনেক বেশি ছিলো। আর এত্ত প্যাঁচ আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে, মাথা হ্যাং করতে চায়। একবার মনে হয় এইটা ঠিক হয় নাই আবার মনে হয় ঠিক আছে, আবার কিছুদিন পর মনে হয় অন্য কিছু................!!!!!!????? (কারণ আর কিছুই না- স্বল্পবুদ্ধি X(( :|| )

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :) সল্পবুদ্ধি না ভাই। আন্তর্জাতিক মানের এ্যানালাইসিস পড়া শুরু করেন। কিছু ব্যাসিক থিওরী জেনে মাস ৬ এর মত পড়াশোনা প্লাস বর্তমান রাজনীতিতে ওগুলার এ্যপ্লিকেশনগুলো খেয়াল করে দেখলেই মুল ফাংশনটা ধরে ফেলতে পারবেন।

সবই হইলো নিজ দেশের স্বার্থ সংরক্ষন আর বৃদ্ধি'র খেলা। পার্সোনাল ইমোশন আর রাজনৈতিক টার্গেট এই ২টারে আলাদা করে বিশ্লেসন শুরু করে দেন দেখবেন জিনিসটা মজার এবং সহজ।

আলোচনার জন্য আমরা তো আছিই ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.