নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু বিদেশী মানুষ এবং দেশী আমি

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১২

বাংলাদেশের বাইরে পড়তে আসার অন্যতম বড় উদ্দেশ্য ছিল ভিন্নরকমের মানুষ ভজন করা। আমরা গানে শুনেছি মানুষ ধর , মানুষ ভজ। একেকটা মানুষ একেকটা রহস্য। ভাজের পর ভাজ খুলতেই থাকে তবু কোন মানুষ পুরোপুরি উন্মোচিত হয় না। তবে ধারনা পাওয়া যায়। ঢাকার পোলাপান অনেক আগে থেকেই ক শুনলেই কলকাতা বুঝতো, তসলিমা নাসরিনের ক বের হবার পরেও চেঞ্জ হয় নাই বরং এখন ক্যালিফোর্নিয়া বুঝি। সব মানুষেরই একটা "আউট লাইন" থাকে। দেশ, শহর, ভাষা এবং বয়স এরকম তথ্যের উপর ভিত্তি করে মানুষ সম্পর্কে আইডিয়া করা যায়।



যাইহোক, মানুষের কথা বলি।



বিদেশীদের সম্পর্কে আমার ধারনা ছিল যে ওরা আমাদের ধারনার বাইরের চরিত্র। এত চমক থাকবে যে বুঝতে হয়তো সময় লেগে যাবে।



তবে আজ পর্যন্ত বিদেশীদের অস্বাভাবিক আচরনে চমকিত কমই হইছি বরং দুনিয়ার সব মানুষই যে খুব কাছাকাছি টিউন করা এটা দেখে বেশী অবাক হই।

--------------------------------------------------------------------







যাই হোক, কিছু চমকের কথা বলি, প্রথমে চমক পাই চাইনিজ ছাত্র সু এর কাছ থেকে



একদিন কিচেনে শুনতেছি, কি য্যান প্যানপ্যান করতেছে, "ইশু কুয়েছু আনায়,কিনিটু ছননআ" কিন্তু সুর পুরা মাইলসের "ফিরিয়ে দাও" গানটার। কান খাড়া করে শুনি সে আসলেই মাইলসের গান গাইতেছে!!! সুরটা এত ভাল ছিল যা অনেক বন্ধুর গলায়ও পাই নাই।

পরে জানলাম বাঙ্গালিদের সাথে বন্ধুত্বের কারনে বেশ কিছু গানই সে জানে।এটাই প্রথম তব্দা খাই বিদেশী'র আচরনে!



প্রথম সেমিস্টারে পরিক্ষা দিতে গেলাম।হলে আমি ডানে-বামে, জানালা দিয়া বাইরে তকিয়ে দেখতেছি, হঠাৎ সু আমার পাশে এসে ঘাড় নিচু করে বলে, ছিন্না খওও, ছিন্না খওও! আমি বুঝতেছি না।

আবার বলে, ছিন্তা খরোও।

এবার বুঝলাম "চিন্তা করতে" বলতেছে!!!!



আজ পর্যন্ত বিদেশী মানেই বাংলা জানে, আমে তোমাকে ভালাবাশি অথবা ক্যাওন আছো। কিন্তু চিন্তা করো!!!! চাইনিজের মুখে এরকম একটা কথা শুনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না একদমই।



সু ই আমাকে সবচেয়ে বেশী সারপ্রাইজড করেছে বিদেশীদের মাঝে।

===================================









সাধারন মানুষই বেশী-





--এক ব্রিটিশ কেন যেন আমাকে গোয়ান্দা নিয়োগ দিতে চাইছিল। ওর বউ পরকীয়া করে কি না ? এটা বের করার জন্য সাহায্য চেয়েছিল। আমি বিরাট নৈতিকতার লেকচার দিয়েছিলাম ওকে।



--অস্ট্রিয়ায় এক বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত অবস্থায় বাসস্ট্যান্ডে লাগানো এ্যাডটা খুটিয়ে দেখছিলাম। ১ মিনিট পরই ঐ ছবি'র মডেল সেখানে এসে হাজির। তাকে জানাইলাম যে আমার কাছে এ্যাডটা ভাল লাগছে, পরে একটা বাস মিস করে সে আমাকে কফি খাওয়ায় এবং জোরপূর্বক আমার বিলও পরিশোধ করেছিল।



--আরেক ব্রিটিশ মেয়ে একবার ২০ টাকা ধার চাইছিল। কিন্তু দেই নাই কারন সুন্দরী যদি ফেরৎ না দেয় তাহলে আমি চাইতে পারতাম না! আর আমার সন্দেহ ছিল সে ফেরৎ দিবে না।



--আর এক আরব আমার কাছ থেকে ৫ ইউরো ধার নিয়ে পালায়ে গেছে। ওরে দেখতেছিনা কোথাও ইদানিং। ভাবতেছি নাইজেরিয়ানটার মত ওরে দেখা মাত্রই মোবাইল সিজ করমু।



--এক জার্মান কনভার্ট মুসলিম লোক প্লেনে বলছিল, বাংলাদেশ পাপীস্থান থেকে আলাদা হলো কেন? মুসলিম দেশ হিসেবে একসাথে থাকলে ভালো হইতো -সাড়ে ৩ ঘন্টা'র ফ্লাইটের অর্ধেকটা সময় ধরে তারে বিষয়টা বুঝিয়ে বলার পর সে বললো, আমি দুঃখিত এবং জীবনে কোনদিন পাপীস্তানের পক্ষে কিছু বলবো না।



-- কুর্দিশ কিছু গান শুনার অভিজ্ঞতা এবং কুর্দিদের প্রতি আমার ও সাবেক বিচারপরতি হাবিবুর রহমানের সমর্থনের কথা জানার পর এক কুর্দি ওয়াদা করছে যে, কুর্দিস্থান হলে আমারে অনারারি সিটিজেন করবে।

=====================================











এখন আমার পূর্ণ বিশ্বাস যে পৃথিবী'র সব মানুষের চিন্তা চেতনা আসলে একই রকম, শুধু ভাষাগত কারনেই বুঝতে সমস্যা হয় নইলে সবাই একই অনুভুতি সম্পন্ন মানুষ। তবে, এটা স্বীকার করতেই হয় বাঙ্গালিদের বুঝার মত ক্ষমতা এখনো হয় নাই আমার :|

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩১

মোঃ জাকির হোসেন খান বলেছেন: আমি যেখানে গিয়েছি সেখানেই ভিক্ষুক দেখেছি। এমনকি লন্ডন এবং এডিনবরার রাস্তায়ও, যদিও সব জায়গার সব ভিক্ষুকদের Needs হয়ত: এক না। আমাদের দেশে যেমন করে ঠিক তেমনভাবে লন্ডনে এক মিশরীয় রাস্তায় আমাকে থামিয়ে আল্লাহ্ খোদার নাম নিয়ে অর্থ সাহায্য চেয়েছিল। অনেক কিছুতেই মিল আছে। তবে সবচেয়ে বড় অমিলটা হল আমরা আমাদের নিজেদের ভালটা ওদের মত করে বুঝিনা।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: বিদেশী ভিক্ষুকদের আমি সবসময় দান করার চেষ্টা করি। ২ তুর্কি সাহায্য চাইছিল একবার। জিজ্ঞেস করলে বললো, ক্ষুদার্থ। আমি পরে দোকান থেকে ওদের রুটি আর জুস কিনে দেই। ভাল লাগে যখন জানতে চায়, তুমি কোন দেশী? খুব গর্ব নিয়ে বলি , বাংলাদেশ!

২| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৪

একলা চাঁদ বলেছেন: ভাল হয়েছে :) মাইলসের গানের জায়গাটা সুন্দর । আর চিন্তা কর তো একদম হাসতে হাসতে শেষ । প্লাস দিলাম । পাকিস্তানের কহা শুনে কি লোকটা আসলেই ওই কথা বলেছিল নাকি মজা করেছিল ?

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সু নিজেই একটা চমৎকার চরিত্র।

ঐ জার্মান সিরিয়াস হয়েই বলেছিল ও জীবনে পাপীস্তানকে সমর্থন করবে না। কারন মুসলমান হয়ে মুসলমানের উপর গণহত্যাকে সে খুবই খারাপ চোখে দেখেছে। আর আমার সাথে একটা বই ছিল এবং আমি তাকে বলছি যে তুমি আমার কথা বিশ্বাস না করে নিজেও চেক কইরো। সব মিলিয়েই ওকে কনভিন্স করতে সফল হয়েছিলাম।

ও একা না কয়েকজন তুর্কিকেও ৭১ সম্পর্কে ধারনা দেবার পর ওদের ভাবনাও বদলে গেছে।

৩| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৩৮

টেকনো বলেছেন: ভালো লাগার মত একটি লেখা..
আপনাকে ধণ্যবাদ...

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৪| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৯

শাহরিয়ার রিয়াদ বলেছেন:
সবার বোধ মোটামুটি একই

যাক, আপনার লেখা পড়ে এইটা অন্তত জেনে গেলাম,
অনেক ধন্যবাদ

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৫৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আসলেই ভাই, মানুষের সাথে সন্দেহমুক্ত হয়ে কথা বললে এবং পার্থক্য না খুজে মিল খুজলে মিলই বেশী। সবার বোধ মোটামুটি একই।

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০০

মনে নাই বলেছেন: বিদেশী ভিক্ষুকরা সাহায্য চাইলে দেইনা, ওরা টাকাটা হাতে পেলেই বিয়ার কিনে শেষ, দেখলেই বুঝা যায় টাল হয়ে আছে।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আমি বয়স্ক বা শিশু হলে দেই বা ক্ষুদার্থ হলে খাবার কিনে দেই। তবে যদি ফিটিং কেস মনে হয় তাহলে অবশ্যই দেই না ।

৬| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২২

হাসিনুল ইসলাম বলেছেন: তবে, এটা স্বীকার করতেই হয় বাঙ্গালিদের বুঝার মত ক্ষমতা এখনো হয় নাই আমার- শেষ এই কথাতে এসেই তো থেমে গেলাম। আসলে আমার মনে হয়েছে, আমরা সব নিয়ম অন্যের জন্য রেডি করে রাখি, আর নিজে ম্যানেজ করে লাইনে আগে যেতে চায়। এটি এক সামাজিক রোগে পরিণত হয়েছে। শুধু যদি এই একটা জিনিস না থাকত, আমার মনে আমাদের জন্য ১৫-২০ বছরই যথেষ্ট ছিল, সামগ্রিক উন্নতির জন্য।

ইংল্যান্ডে ফকিরকে পয়সা দেয়ার সুযোগ হয়েছিল, চাইছিলই কিছু খুচরা চেইন্জ। সেখানে হাইস্কুলের বাচ্চাদের এসেম্বলিতে তাদের সংগে কথা বলার সুযোগ হলে তাদের মূল প্রশ্নটি ছিল: বাংলাদেশে খ্রিস্টানদের অবস্থান কেমন? একটু অবাক হয়েছিলাম প্রশ্ন শুনে। বলেছিলাম আমার জন্ম শাঁওতালপাড়ায়।

অন্য চিত্রও ছিল। মার্কেটের মধ্যে দোকান সারির পাশ দিয়ে পেভমেন্টে হাঁটতে হাঁটতে উইন্ডোতে লোভনীয় ল্যাপটপের দিক তাকাতে তাকাতে নিজের অজান্তে যখন জেব্রা ক্রসিং এর কাছে থেমেছি, কানে এসেছে গাড়ীর চাকার ক্যা..চ শব্দ। তাকিয়ে দেখি রাস্তার গাড়ী দাঁড়িয়ে গেছে। লজ্জায় রাস্তা পার হয়েছি। একই সময় বাঙালী যুবক পরামর্শক পরামর্শ দিয়েছে মানিব্যাক গ্যারান্টির কে্রাকারিজ কিনে এনে পুরনোটা প্যাকেটে ঢুকিয়ে ৭দিন পর ফেরত দিয়ে আসতে।

মানুষ সর্বত্র এক। পার্থক্য সেখানেই : নিজ ভৌগোলিক সীমার মধ্যে কে কতটা আইন মানে। আর কে কতটা ম্যানেজ করে চলে।
সরি, অনেক বড় কথা হয়ে গেল। আসলে লেখাটা পড়ে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি অনেক ভাল লেগেছে ভাই। যত ইচ্ছা ততবড় মন্তব্য করুন। মানুষের কথা জানতেই তো ব্লগে আসা।

আসলে আমরা কেমন যেন নিজেদের সবচেয়ে বেশী সন্দেহ করি তবে এটা সত্য আমাদের (পুরো দক্ষিন এশিয়া) মত অকারন ও ফালতু অভ্যাস বা চর্চা অন্যরা কমই করে। কিন্তু আসলে আমরা তো এত পতিত না।

বিদেশে পড়তে আসা ছেলে কেন দোকানে চুরি করতে যেয়ে ধরা খায়? নিজে টাকা সড়িয়ে রেখে পুলিশের কাছে কম্প্লেইন করে অন্যদের হেনস্তা করে। এমনকি অন্য বাঙ্গালিদের ডিস্টার্ব করার জন্য টয়লেটে কমোডের ভেতর না বরং উপরে পায়খানা করে আসে!!!!!!!
এরা সবাই ছাত্র!!!

এর কোন হিসাব খুজে পেলাম না :( এরাই কিন্তু আবার বিদেশীদের সাথে ব্যাবহারে অন্য মানুষ! কিন্তু বাঙ্গালি দেখলেই বদলে যায়!

খুব ভাল বলেছেন, মানুষ সর্বত্র এক। পার্থক্য সেখানেই : নিজ ভৌগোলিক সীমার মধ্যে কে কতটা আইন মানে। আর কে কতটা ম্যানেজ করে চলে।

৭| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫৫

আদ্রিতা বলেছেন: শেষের লাইনটা পড়ে হাসি পেয়ে গ্যালো। আপনি-তো দেশ বিদেশের অনেক মানুষ দেখে ফেলছেন দেখছি। আমার কিছুই দ্যাখা হয় নাই। খুব শখ দ্যাখার। আশা রাখি নিশ্চই একদিন দেখবো। লেখা ভালো লাগলো

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ২:০৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ৬ সিজনের দেশে'র মানুষদের বুঝা আসলেই কঠিন।

মানুষ দেখতে ও বুঝার চেষ্টা করতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া গত ৩ বছর ধরে টিভি নাই আমার,তাই বাস্তবতায় "মানুষ" নামের মেগা সিরিয়ালেই মজে আছি। আমি নিশ্চিত মানুষ দেখার শখ আপনার পূরন হবে এবং আপনি খুবই উপভোগ করবেন।

পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৩৬

মনে নাই বলেছেন: আমরা যখন কোন বিদেশিকে কথা দেই, তখন কথার কোন নড়চড় হয়না। আবার এই আমরাই যখন বাংলাদেশীদের কথা দেই, তখন আর কথা রাখিনা। প্রথমদিকে খুব বিপদ হতো, কারোর বাসায় দুপুর একটায় দাওয়াত থাকলে একটায় গিয়ে হাজির হতাম, দেখি কোনকিছুই রেডী নয়, ৩টায় খাওয়া-দাওয়া শুরু হয়, এদিকে আমার পেটের দহরম-মহরম অবস্থা। আমরা কয়েকজন টাইমটেবিলটাকে ঠিক করার চেষ্টা করে খুব বিপদে পড়েছি, টাইম বেধে দিলে নাকি অতিথিকে অসম্মান করা হয় :( , সেজন্য এখন আর আমাদের টাইম নিয়ে কিছু মনে করিনা।

১০ ই জুন, ২০১১ রাত ২:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: হা হা হা, একদম খাঁটি কথা। আমিও দেখছি বাঙালি অতিথিকে নিয়া বাঙালি রান্না করতে চায়। পিত্তরস বের হয়ে পেটেই ক্ষুধা মরে যেত!

আমার মনে হয় কি, আমাদের দেশে জনসংখ্যা অতিরিক্ত তো তাই সারাজীবন দেশে এদের সাথে প্রতিযোগী মনোভাব ও সন্দেহপূর্ণ মানসিকতা দায়ী।তাই নিজ দেশী লোক দেখামাত্রই নিজ দেশী চরিত্র জেগে উঠে।

৯| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৪৩

নিভৃত নয়ন বলেছেন: বিদেশে যাওয়ার অভিজতা না থাকলে ও আমার নিজের কাছে তো মনে হয়,মানুষ যে দেশের বা যে সমাজের ই হোক না কেন টা বুঝা আসলেই কঠিন না।আমরা হয়ত অন্য সমাজের মানুষের সাথে মেশার সময় কিছু ক্ষেত্রে খুব সহজেই অসম্ভব রকমের মিল খুজে পাই অনুভুতির কেন্দ্রস্থল আর উপলব্ধির তারনা একি বলে।পার্থক্য শুধু থাকে বহিঃপ্রকাশে,যা বহু বছর ধরে চলে আসা বিভিন্ন সমাজ ব্যবস্থার ফসল।

আমরা হয়ত কোন ক্ষেত্রে খুব খুশি হলে পরিবারের সাথে সময় কাতান তাকেই সবচেয়ে উত্তম মনে করি।অন্য সমাজে হয়ত তারা বন্ধুদের সাথে বিয়ার পারতি করাকেই সবচেয়ে উত্তম মনে করে এমনটা।

মাইলসের গানের অংশটুকু পরে খুব ভালো লাগল।

লেখার শেষের অংশতুকুতে এসে কিছুটা হাসি পেল।মনে হল আসলেই তাই।তারপর ই মনে হল টা না।

আপনি যেমন আপনার জাপানি বন্ধুর ছোট ছোট কিছু আবেগ বুঝতে পেরেই ধারনা করতেছে অনেক্তা বুঝে গেছেন,আমরা কিন্তু আমাদের বন্ধুদের খেত্রেও এরকম অনেক বুঝতে পারি।আসলে নিজেরা বলে আরও অনেক বেশি বুঝতে চাই।

আপনার জাপানি বন্ধুর কাছে কিছু কারনে হয়ত মনে হউয়া সাভাবিক যে,সে জেপানিদের কেই থিক্মত বঝে না।


পুরো বিষয়টা নিরভর করে আপনার আশার উপর।আপনি অপর মানুস্তা র কাছ থেকে কতটা আশা করতেছেন তার উপর।
ভালো থাকবেন।:)

১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এটা ঠিক যে, বিদেশীদের কাছে আশা কম তাই ভুল বোঝাবুঝিও কম। বিদেশীদের এ পর্যন্ত দেখে মনে হয় কিছু ফর্মেটের ভেতরই ওদের দেখা যায় তাই বুঝতে সহজ কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে এমন না।

তবে মানুষকে বুঝে ফেলেছি বলা অন্যায় এবং অবাস্তব কারন মানুষ বোঝা কঠিন সাধনার বিষয়।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৪৬

নিভৃত নয়ন বলেছেন: আর পাপীস্থান লেখার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ। আমি নিজে কখনও ফাকিস্থান ছাড়া আর কিছু বলি না।জার্মান লোকটিকে তিন ঘণ্টায় বুঝাতে পেরেছেন অথচ আমাদের মাঝে কিছু হারামির বাচ্চা বছরের পর বছর সবকিছু জেনেও কিছু বঝে না।

১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৭

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: পাপীস্থান লেখি ঘৃণা থেকে এবং এটা চলবে যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রিয়ভাবে ক্ষমার আবেদন করবে না।

ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৬

মনপবন বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটা।আমিও মজে আছি মানুষ নামক মেগা সিরিয়ালে....সত্যিই এরা মানে বাংগালী আজব চিড়িয়া।বিশ্বাস না হয় দেখেন কীভাবে এরা নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মাড়ে।

Click This Link

১০ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:২১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: মজে থাকুন মানুষের মাঝে, এর আনন্দ অপরিসীম।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ২৩ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নাঈফা চৌধুরী (অনামিকা) বলেছেন: লেখা পুরোটা পড়লাম। আপাতত সোজা প্রিয়তে নিচ্ছি। পরে সময় নিয়ে লিখব, ইনশাল্লাহ। :)

২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৩

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ নাঈফা চৌধুরী। আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় থাকবো।

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০৮

চশমখোর বলেছেন: বিদেশে যাওয়া হয়নি কখনও কিন্তু ভার্সিটিতে আমার প্রথম বন্ধু হলো শুয়ো। চায়নিজ। বেচারার ইংলিশের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। বেচারা কোন লেকচার বুঝতো না। কারো সাথে কথাও বলতো না। আমর সাথে ওর সবগুলো ক্লাস মিলসিলো তাই মাঝে মাঝে আমাকে ধরতো ওকে বুঝিয়ে দেবার জন্য। ওকে বুঝাইতে গিয়ে আমার হালুয়া টাইট হয়ে গেছিলো।

আপনি ঠিক বলেছেন। চিন্তা চেতনা প্রায় একই রকম শুধু পার্থক্য হলো ভাষার দিক থেকে।

২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: চাইনিজ লোকজনের সাথে কম্যুনিকেশনটা মজার আর আজব। তবুও মিল পাওয়া যায়, কি অসাধারন ব্যাপার!

ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.