নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসার যৌথখামার

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই

প্রজন্ম৮৬

প্রয়োজনে মেইল করুন [email protected] । অথবা ফেসবুকে আসুন https://www.facebook.com/projonmo.chiyashi আমি একজন দর্শক মাত্র।কিছু দেখলে বাকি সবাই কে দেখাতে ইচ্ছে জাগে তাই ব্লগ লেখার ইচ্ছা

প্রজন্ম৮৬ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহজ ইতিহাস : অটোমান সাম্রাজ্যের পতন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

অটোমান সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল উত্তর আফ্রিকার তিউনিসিয়া থেকে ইউরোপের হাঙ্গেরী, রাশিয়ার ক্রিমিয়া থেকে পূর্বে জর্জিয়া পর্যন্ত।আর আরবের ইয়েমেন পর্যন্ত। তাহলে এভাবে বলা যায়, ইউরোপের অস্ট্রিয়ান বর্ডার ও এশিয়ায় রাশিয়া ও ইরান বর্ডার পর্যন্ত।



নিচের ম্যাপ দেখতে পারি,





(রঙ্গিন অংশটুকু অটোমান সাম্রাজ্য)





অটোমান সাম্রাজ্য ছিল বহু ধর্ম, বর্ণ এবং বহু ভাষার। এই দিকে থেকে ইউরোপীয়ান স্কলাররাও একমত যে অটোমান জোড় পূর্বক কাউকে ধর্মান্তরিত করে নাই। কিন্তু বিধর্মীরা রাজনৈতিক ক্ষমতার জন্য বিবেচিত হতো না এবং তাদের নিদৃষ্ট হারে ট্যাক্স প্রদান করতে হতো। ইউরোপীয়ান স্কলাররা এই দিকটাকে উল্লেখ করে থাকে ধর্মান্তরিত না করার কারন হিসেবে!



শিল্পবিপ্লব ও ফরাসী বিপ্লবের পর থেকেই অটোমানের দুর্দিন শুরু হয়।



নব্য সংগঠিত ও সমৃদ্ধের পথযাত্রী খ্রিস্টান ইউরোপীয়ানদের জন্য অটোমান ছিল চ্যালেঞ্জ। অটোমান সাম্রাজ্যে বসবাসকারী খ্রিস্টানরা খুব দ্রুত রেঁনেসা পরবর্তী ইউরোপের শিল্প ও জ্ঞান সমৃদ্ধির পথে নিজেদের যুক্ত করে ফেলে। অটোমান সাম্রাজ্যের বাসিন্দা হলেও পশ্চিমের সাহায্যে একটি নিজস্ব শিক্ষা ও অর্থনৈতিক ব্যাবস্থা সমৃদ্ধ করে ফেলে।



কিন্তু অটোমান সাম্রাজ্যের শরিয়া আইন, বিধর্মী ট্যাক্স এবং রাজনৈতিক আইসোলেশন তাদের স্বাধীনতার প্রতিবন্ধক রূপে দেখা দেয়।



ফরাসী বিপ্লবের দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে এবং ভিন্ন ধর্ম এবং ভিন্ন এলাকার সুলতানী শাষনে বসবাসরত এসব এলাকায় খুবই দ্রুত জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটে। জাতীয়তাবাদের প্রথম প্রসার এবং প্রথম টার্গেটই হয় অটোমান সাম্রাজ্য!



আর এদিকে প্রাচীন টেকনোলজী এবং ট্যাক্স নির্ভর অর্থনীতির ধারক অটোমান তুলনামূলকভাবে দিন দিন শক্তি হারাতে থাকে।



আর দুর্বল হতে থাকা অটোমান সাম্রাজ্যের উপর সংস্কারের জন্য বহিঃশক্তি মানে, ফ্রান্স , ব্রিটেন, অস্ট্রিয়া, রাশিয়ার চাপ দিন দিন বৃদ্ধি পায়। এবং নিজ বর্ডারের ভেতরের ভিন্ন ধর্ম ও ভাষার জনগণও সংস্কারের জন্য চাপ দিতে থাকে।



কিন্তু ইসলামীক খেলাফতের ভেতর সেক্যুলার সংস্কার করার কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিল না তৎকালীন অটোমান সুলতান!



এসবের ফলাফলে দীর্ঘ সময় ও শক্তি হারিয়ে ১৮৩৯ থেকে অটোমানরা বাধ্য হয়ে সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। "তাঞ্জিমাত" ও এর ধারাবাহিকতায় "ইসলাহাত" নামে দিন বদল শুরু হয়।



বিধর্মী ও মুসলিমদের সামাজিক অবস্থান সমান করা হয়, বিধর্মী ও মুসলিমদের ট্যাক্স সমান করা হয়।



কিন্তু স্বাধীনতার ডাক শুনতে পাওয়া জনগণ এসবে সন্তুষ্ট না! তার উপর সুলতানের আমলাদের দুর্নীতি এবং প্রাচীন সামরিক সরঞ্জামও শাষনের কঠোরতা ধরে রাখার পথে বাধা ছিল।



আর ইউরোপ থেকে মুসলিম অটোমান বিতাড়িত করার ৫০০ বছরের লালিত স্বপ্নতো তৎকালীন পরাশক্তিদের ছিলই!



সংস্কারের প্রথম ধাপে রিভার্স এফেক্ট হলো, দুর্বল অটোমান আরো দুর্বল হয়ে পড়লো।



এরপর ক্ষমতায় আসে সুলতান আব্দুল হামিত, যিনি শরিয়া ও খেলাফতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অটোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান দেশগুলোতে বাস্তবায়িত সেক্যুলারিজমে মুগ্ধ সংস্কার বন্ধ করে আবার ইসলামিক পুনরুত্থানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়।



এবারের ফলাফল হয় আরো খারাপ, অটোমান শাষকগোষ্ঠি থেকেই প্রতিরোধ তৈরী হয়।



গঠিত হয় তরুন তুর্কী গুপ্ত সংগঠন। যারা ১৯০৮ সালে সফল বিদ্রোহের মাধ্যমে সুলতানকে একপ্রকার পুতুলে পরিনত করে। এবং অটোমান সাম্রাজ্যে সুলতানী শাষনের ইতি ঘটায়! এবং সংসদ কার্যকর করে নিজেরা আড়ালে থেকে সাম্রাজ্যের পতনের আগ পর্যন্ত ক্ষমতার নিয়ন্ত্রন করে।



তরুন তুর্কীদের নিয়ন্ত্রনে দুর্বল অটোমান ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করলেও ততদিনে বিশ্ব পরিস্থিতি বদলে গেছে। দিকে দিকে বিদ্রোহ এবং রাশিয়া ও ইউরোপিয়ান শক্তির সাথে যুদ্ধ হচ্ছে এবং অটমান হারছে!



এদিকে সাম্রাজ্যের প্রতিপক্ষ রুপে তুর্কী'র নিজস্ব জাতীয়তাবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে সাম্রাজ্যের আনাতোলিয়া ( আনাদোলু ) অংশটুকু কেন্দ্র করে।



এমন সময়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠে, অটোমান সাম্রাজ্য জার্মানির সাথে চুক্তি করে। এবং নিদৃষ্ট সময়ে যুদ্ধে যোগদিয়ে পরাজিত হয়।



যুদ্ধের মাঝেই অটোমানের আরব অঞ্চলগুলো বিদ্রোহ করে বসে। এবং সবশেষে পরাজিত অটোমান তাদের সাম্রাজ্য সম্পুর্ণভাবে হারায়।



এবং ১৯১৯ থেকে ১৯২২ পর্যন্ত মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে কঠিন যুদ্ধে জয়ী হয়ে শেষপর্যন্ত অটোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্র আনাতোলিয়া বাঁচাতে সক্ষম হয়!



এবং বর্তমানে এই এলাকাটুকুই টিকে আছে তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের নামে!



উপরের ম্যাপটার দিকে একবার তাকিয়ে আনাতোলিয়া অঞ্চলটা দেখে নিচের বর্তমান তুরস্কের ম্যাপটা দেখুন,









৩ বছরের যুদ্ধ শেষে ২৯ এ অক্টোবর তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের জন্ম হয়।





****** এটা সাধারন ব্লগ পাঠকদের জন্য শুধুমাত্র ব্যাসিক ফ্যাক্টস সম্বলিত লেখা। কোন ডিটেইলসে না যেয়ে অটোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে আমার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষন। ৬০০ বছরের একটা সাম্রাজ্য সম্পর্কে ১টা পোস্টে নিখুত বিশ্লেষন সম্ভব না! তাই, পাঠকসকল বিষয়টা মাথায় রাখবেন।



কোন তথ্য বিভ্রান্তি হলে বা ব্যাখ্যা প্রয়োজন মনে করলে দয়া করে মন্তব্যের মাধ্যমে সেটা জানান





---------------------



কয়েকদিন পরেই তুর্কীর স্বাধীনতা দিবস। তাই ভাবলাম, তুর্কী নিয়ে কিছু লেখি। বাংলার মানুষের অনেক আগ্রহ রয়েছে বলেই ধারনা করি।



এছাড়াও তরুন তুর্কী শব্দটার ব্যাপক ব্যাবহার দেখি। তাই ভাবলাম এই শব্দের অর্থটা জানা এবং জানানো দরকার। কি ছিল আসলে তরুন তুর্কী!



আর আর্মেনিয়ান গণহত্যাও অবশ্যই প্রাণীধানযোগ্য ঘটনা।



এছাড়াও অটোমান সাম্রাজ্যের ও তুর্কী প্রজাতন্ত্রের আরো অনেক উল্লেখযোগ্য বিষয় নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লেখার ইচ্ছা রাখি!

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: +++++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন জুবায়ের ভাই, আপনার দেয়া + অত্যন্ত আনন্দের সাথে গ্রহন করলাম।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৯

আমি মাতাল বলেছেন: তুর্কিতে এখনও দুই মতের মানুষ সমান ভাগে বসবাস করতেছে! তবে তলে তলে দুই গ্রুপ!!


প্লাস

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সুলতান আব্দুল হামিত আর তরুন তুর্কী মতবাদ আজো পরিষ্কার পার্থক্য সহকারে টিকে আছে। কিন্তু রিপাবলিক অফ তুর্কী'র বিষয়ে সবার একই মত!

ধন্যবাদ মাতাল!

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮

পারভেজ আলম বলেছেন: বাহ, সহজ কথায় বেশ ভাল লিখেছো। ++++

আমার কাছে অবশ্য মনে হয়েছে ইউরোপিয় শিল্প বিপ্লব এবং ফরাসি বিপ্লবের অনেক আগে থেকেই ওসমানলার(অটোমান) সাম্রাজ্য ক্ষয়িষ্ণূ ছিল। খেয়াল করলে দেখবে শিল্প বিপ্লবএর আগেই ইউরোপে অস্ত্র প্রযুক্তি এবং অন্যান্যক্ষেত্রে যেই সেমি শিল্প বিপ্লব হইছিল তুর্কিশরা তাতে ভালোই এগিয়েছিল। কিন্তু তুর্কিশ সমাজ ব্যবস্থায় প্রাক ইসলামী দুনিয়ার মুক্তবুদ্ধির দর্শন এবং শিল্পচর্চার অবশিষ্টটুকু ছিলনা বললেই চলে, এমন কোন দার্শনিক প্রেরণা এই সাম্রাজ্যের অধিন মানুষদের ছিলনা যাতে এই বিরাট ক্ষমতাবান সাম্রাজ্যে নতুন নতুন চিন্তা, জ্ঞান, শিল্পের বিকাশ ঘটতে পারে। ফলস্বরূপ অপেক্ষাকৃত পশ্চাৎপদ জাতিগুলো খুব দ্রুতই তাদের পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে গেছে। পুরো উনবিংশ শতকে তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ব্রিটিশ আর ফরাশিরা, ক্রমেই শক্তিশালী হওয়া রুশ সাম্রাজ্যকে ঠেকানোর স্বার্থেই এই দুই নয়া সাম্রাজ্য তুর্কিশদের পুরাপুরি খতম করে দেয়নাই বলে মনে করি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ পারভেজ ভাই,

আপনার পর্যবেক্ষনের সাথে সহমত! আমি আরেকটু ব্যাখ্যা করি।

শিল্প বিপ্লবের আগেই অটোমান ইতিমধ্যে প্রায় ৪০০ বছর অতিক্রম করে ফেলছে। তারা এই পুরা সময়টা কর প্রধান ন্যাশনালস্টিক ইকোনমি ফলো করছে। বাণিজ্যেই উন্নতি বিষয়টা ওদের মাথার উপর দিয়া গেছে। তাই নৌ পথ নির্ভর এবং আধুনিক বাজার অর্থনৈতিক ব্যাবস্থার যুগে ইকনোমিক মাইর খায়।

আর শরিয়া নির্ভর এই খেলাফত ব্যাবস্থাটা পরিবর্তনের পথে আরো পিছায় যায় আধুনিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে মেধা চর্চার যেই নতুন সেক্যুলার ধারা বিকাশ হয় ফরাসী বিপ্লব সময়টার আশেপাশে তা থেকে নিজেদের সম্পুর্ণ দুরে রেখে!

তারপর আপনে যেটা বললেন সেই ইউরোপীয়ান ব্যালেন্স অফ পাওয়ারের খেলা আর প্রাচিন ফেসভ্যালু দিয়াই শেষ ১৫০ বছর পার করে দিছে!

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

পারভেজ আলম বলেছেন: অটোমান সাম্রাজ্য আর মার্কিন সাম্রাজ্যকে আমার কাছে মাঝে মাঝে অনেকটা ঐতিহাসিক ভুমিকায় কাছাকাছিরকম মনে হয়। দুইটাই প্রাক্তন দুই উন্নত সভ্যতার অংশ থেকে শেষে সেই সভ্যতার সর্বশেষ প্রতিনিধী হিসাবে দুই সভ্যতার দার্শনিক প্রেড়নাটুকু বাদ রেখে শুধুমাত্র প্রযুক্তি, অস্ত্র উৎকর্ষ আর ভোগবাদী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এই জায়গায় উত্তরাধুনিক তত্ত্ব প্রয়োগই সবচেয়ে উত্তম মনে হয়।

বিকাশের প্রধান শর্তই হলো, বাধা!
পথনের প্রধান শর্তই হলো, উত্তান!

:)

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৫

অাতিক বলেছেন: ইসলাম কোন দিনই পরাজিত হয় নাই। হয়েছে কত গুলো ইসলামের নামে অনৈসলামিক কর্মকান্ড। লিবিয়া বলেন আর ইরাক বলেন কোন খানেই ইসলাম পরাজয় হয় নাই। হয়েছে কতগুলো নাম মাত্র মুসলমানের।
যারা কিতাবের কিছু অংশ মানে আর কিছু অংশ মানে না তাদের জন্য আল্লাহ তাআলার ওয়াদার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে বিগত দিন গুলোতে।
যারা সত্যিকারে ইসলাম মেনেছে (জাতীয় ভাবে) তারা কোন দিন পরাজিত হবে না। আপনি আফগানিস্তানের কথা বলতে পারেন। রাশিয়ার সাথে ১৪ বছর লড়াই করার পর আফগানিস্তান স্বাধীন হয়। আর আমেরিকার সাথে ১৪ বছরত এখনও হয় নাই।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আতিক ভাই, ইসলাম আর অটোমান এক করছেন কেন?

ইসলাম একটা দর্শন। এর ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রয়োগ আছে। কিন্তু এটা সম্পুর্ণ নির্ভর করে প্রয়োগকারীর উপর। সুতরাং ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির পতনের সাথে সাথে দর্শনের পতনের কোন সম্ভাবনাই নাই। অটোমান উঠছিল সামরিক শক্তি দিয়া পূর্ব বাইজেন্টাইনের পতন ঘটাইয়া, নিজেরা পড়ছে সামরিক শক্তিতে দুর্বল হৈয়া। উত্থান পতনের সাথে ইসলামের কি সম্পর্ক?

আপনি মনে হয় মুসলমান তাই বলি, কি হবে বা কি হবে না সে বিষয়টা মহান সৃষ্টিকর্তার উপরেই ছাইরা দেন, তিনিই সর্বজ্ঞানী, তিনিই সবকিছুর নিয়ন্ত্রন করেন। আমি আপনে খালি খালি "দিলে চোট" পাইয়া লাভ আছে

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

রাজ মো, আশরাফুল হক বারামদী বলেছেন: অটোমানরা বহুত খতরনাক। এজ অব এম্পায়ারসে ব্যাটারা খালি ট্রেডিং পোষ্ট বানাইয়া জিতা যায়। তবে আমি অটোমানদের কামানগুলা পছন্দ করি। গ্রেট বোম্বার্ড আমার প্রিয় অস্ত্র। কনসুলেট বানাইয়া গ্রেট বোম্বার্ড আনি।

তুর্কীরা ঐতিহ্যবাহী জাতী। "বাবা" শব্দটা তুর্কী। আমি উহাদের পছন্দ করি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: তুর্কিরাও দাদাও বলে ;) উচ্চারন অবশ্য "দেদে"।

আরো শব্দ আছে, যেমন, মোম, আয়না, জমিন, নজর , এমন অনেক অনেক!

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২১

অাতিক বলেছেন: খালি খালি চোট পাই নাই।
আপনে আতিক নামে শুধু শুধু যদি আমার নামে কোন খারাপ মন্তব্য করেন আমার মনে যেমন কষ্ট লাগবে তেমনি ইসলামকে জড়িয়ে কোন অহেতুক মন্তব্য করলেও মুসলমানের মনে কষ্ট লাগে। ]

আর আপনি শুধু শুধু কষ্ট করে তুরষ্কের স্বাধীনতা নিয়া এত মাতলেন কেন? আর এর সাথে ইসলামকে জড়াইছেন কেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: :)

টঙ্গি আর ঘোড়াশাল চিনেন তো?

পুরান ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা ঘোড়াশালগামী অনেক যাত্রীই টঙ্গী'কে ঘোড়াশাল ভেবে ভুল করে।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: অসাধারণ লেখা। আপনার কাছ থেকে ইতিহাস বিষয়ক আরো পোষ্ট চাই।

+++++++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ রুমান। ইনশাল্লাহ , আমারও লেখার ইচ্ছা আছে। ভাল থাকবেন।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

ওঙ্কার বলেছেন: যুগের পরিবর্তনের সাথে জ্ঞানের ব্যবহার না বাড়ালে এমনটাই ঘটে। হাতি পরিনত হয় মৃত হাতীতে, যাকে নিয়ে ইতিহাস চর্চা বৈ আর কিছু চলে না।

অটোমান সাম্রাজ্য ইসলামিক পলিটিক্যাল আইডিওলজিস্টদের স্বপ্নদোষে সহায়তা করে, বাস্তবে এর কোনো ছায়া আর নেই।

ইসলাম নির্ভর চিন্তার ফসল কতটুকু ধ্বংসাত্মক হতে পারে, আদিতে অটোমান, বর্তমানে সকল ইসলাম-আক্রান্ত দেশগুলি দেখলেই উপলব্ধ হয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: শুধু ইসলামিক ইতিহাস দেখলেন কেন ভ্রাতা?

প্রাগঐতিহাসিক যুগে, গ্রিক- পার্সিদেরও পতন হয়েছে, রোমান-মঙ্গলদেরও পতন হয়েছে, হাবসবুর্গ-জারদেরও পতন হয়েছে।

আধুনিক যুগে নাৎসি- সোশ্যালিস্টদেরও পতন হয়েছে, এবং ক্যাপিটালিজম ঝুঁকির মুখে আছে!

র‌্যাশনাল চিন্তা করেন, যেকোন শক্তিশালী রাষ্ট্র / সাম্রাজ্যই (হেজেমন) তার প্রতিদ্বন্দিদের দ্বারা প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হয় এবং ধীরে ধীরে শত্রুতা হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগী / শত্রুর শক্তি বেড়ে গেলে প্রাক্তন হেজেমনির পতন হয়!

সিম্পল হিসাব। এখানে পার্টিকুলার একটা আদর্শবাহী জনগোষ্ঠিকে দায়ী করার মানেই হচ্ছে আপনি বায়াসড!

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৪

মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন: ভাইয়ে কি ইতিহাসের ছাত্র নি ? আমি কইলাম পড়িয়া খুব ভালা পাইতাসি।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: না ভাইয়ে, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ছাত্র :)

পড়ার জন্য বহুৎ ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:০৩

ওয়াসিম বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেকদিনপর সামুতে মন্তব্য করলাম, পোস্টটা সুন্দর হয়েছে, আরেকটু পরিশ্রম করলে উজ্বলতাটা বৃদ্ধি পেত।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:১২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।

সঠিক ধরেছেন, প্রচন্ড ফাঁকিবাজ আমি। সব লেখাই আসলে একবসাতেই লেখি। এটা অবশ্য একধরনের দুর্নীতি হলেও পাঠকের কাছে সহজে ও অল্প কথায় ব্যাসিক মেজেসটা পৌছানোর ক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্যও করে :)

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৩৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮

নরক হতে বহিষ্কৃত বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ++++++
পোস্টটার কলেবর হয়ত আরেকটু বড় হলে আরো ভাল লাগত।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ।

সামুতে পাঠকরা আকারে বড় পোস্ট চাইছে! বিষয়টা "নতুন" হলেও চমৎকার :)

আগামীতে ইনশাল্লাহ!

১৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ ভোর ৫:১১

সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: পড়ে ভাল লাগল। অটোম্যান নিয়ে আগে থেকেই আগ্রহ ছিল।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৪৫

দূর্যোধন বলেছেন: গুড ওয়ান।
অটোমান সাম্রাজ্য সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা পেলাম,তবে এধরনের ইনফরমেটিভ পোস্ট আমি একটু বড় আশা করি :)
ভালো লাগলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:৫৫

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ দূর্যোধন, পোস্টের সাইজের বিষয়টায় আসলেই আমি প্রস্তুত ছিলাম না :)

বড় লেখা হলে অনেকেই পড়ে না আবার অনেকের মনোযোগ থাকে না ভেবে চিন্তা করলাম , "মাইক্রো সাইজ" করে দেই, তাহলে যারা পড়বে অটোমান পতন সম্পর্কে একটা মোটামুটি ক্লিয়ার কনসেপ্ট পেয়ে যাবে।

আগামীতে ডিটেইলসে ঢুকার চেষ্টা করবো :) ভাল থাকবেন।

১৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:২৪

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: এই পোস্টটি ধারাবাহিকভাবে পুর্নাঙ্গরূপে চাই..........

২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১:০০

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: সাধ্যমত চেষ্টা করবো ভাই। আরেকটা সিরিজও চলছে , সহজ রাজনীতি :) সাথেই থাকুন, উৎসাহ পাই।

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৪

রিয়াযান বলেছেন: গুড গুড !! মুসলিম হিসেবে হয়তো বা নিজেদের পতনে খারাপ লাগে কিন্তু ঐ যে বল্লেন
"র‌্যাশনাল চিন্তা করেন, যেকোন শক্তিশালী রাষ্ট্র / সাম্রাজ্যই (হেজেমন) তার প্রতিদ্বন্দিদের দ্বারা প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হয় এবং ধীরে ধীরে শত্রুতা হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগী / শত্রুর শক্তি বেড়ে গেলে প্রাক্তন হেজেমনির পতন হয়!"
"ইসলাম একটা দর্শন। এর ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রয়োগ আছে। কিন্তু এটা সম্পুর্ণ নির্ভর করে প্রয়োগকারীর উপর। সুতরাং ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির পতনের সাথে সাথে দর্শনের পতনের কোন সম্ভাবনাই নাই।"

আসলে এমন ভাবে চিন্তা করলেই একজন মানুষ খুব ভালো ধার্মিক হতে পারে । অত্যন্ত আমি নিজে এটা বিশ্বাস করি । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৪

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ রিয়াযান ভাই।

১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:১১

মজলুম বলেছেন: পোষ্টা ভালো লাগলাল, প্লাসাইলাম।

আপনি যেহেতু তুর্কিতে আছেন, একটা বিষয় জানতে চাই।

একেপি পার্টিটা কোন ইসলামী লোকের দর্শন নিয়া চলে, ধরুন মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো ওদের কোন ইনস্পায়ারড লিডার আছে কি, যেমন মুহাম্মদ কুতুব, সাইয়েদ কুতুব।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: এ বিষয়ে আমার পরিষ্কার ধারনা নেই ভাই। তবে সাইদ নুর্সি বা ইদানিংয়ের ফেতুল্লাহ গুলেনের ভাবাদর্শের সাথে ওদের কর্মপরিকল্পনার মিল দেখা যায়।

১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:১৩

রাইসুল জুহালা বলেছেন: লেখাটা সংক্ষিপ্ত হলেও ভাল হয়েছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল ভাই।

২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:২৫

হোদল রাজা বলেছেন: চমৎকার !! ভালো লাগছে!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:১৯

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১১

রাতুলবিডি বলেছেন: ব্লগে নিয়মিত থাকা হয় না, তাই লেখটি আগে দেখিনি । সময় মত দেখলে হয়ত আরো ক্যাচাল করা যেতো। চরম ভাবে একমত লেখকের কিছু বিষয়ে : "র‌্যাশনাল চিন্তা করেন, যেকোন শক্তিশালী রাষ্ট্র / সাম্রাজ্যই (হেজেমন) তার প্রতিদ্বন্দিদের দ্বারা প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হয় এবং ধীরে ধীরে শত্রুতা হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগী / শত্রুর শক্তি বেড়ে গেলে প্রাক্তন হেজেমনির পতন হয়!"
"ইসলাম একটা দর্শন। এর ব্যাক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রয়োগ আছে। কিন্তু এটা সম্পুর্ণ নির্ভর করে প্রয়োগকারীর উপর। সুতরাং ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির পতনের সাথে সাথে দর্শনের পতনের কোন সম্ভাবনাই নাই।"


পারভেজ আলম বলেছেন: পুরো উনবিংশ শতকে তুরস্কের ভাগ্য নির্ধারণ করেছে ব্রিটিশ আর ফরাশিরা, ক্রমেই শক্তিশালী হওয়া রুশ সাম্রাজ্যকে ঠেকানোর স্বার্থেই এই দুই নয়া সাম্রাজ্য তুর্কিশদের পুরাপুরি খতম করে দেয়নাই বলে মনে করি। - চরম ভাবে একমত


মজলুম বলেছেন: পোষ্টা ভালো লাগলাল, প্লাসাইলাম। আপনি যেহেতু তুর্কিতে আছেন, .......
লেখক ভাইজান কি তূর্কী থাকেন!!!?????
তূর্কি নিয়ে আরো আরি লিখেন ....
জানতে মন চায়..

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩২

প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ইনশাল্লাহ ভাই লেখবো। দোয়া রাইখেন

২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:২৬

রাতুলবিডি বলেছেন: একটা ব্যাতিক্রমধর্মী ঘটনা উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না!

যেকোন শক্তিশালী রাষ্ট্র / সাম্রাজ্যই (হেজেমন) তার প্রতিদ্বন্দিদের দ্বারা প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হয় এবং ধীরে ধীরে শত্রুতা হয় এবং পরবর্তীতে প্রতিযোগী / শত্রুর শক্তি বেড়ে গেলে প্রাক্তন হেজেমনির পতন হয়!

- সাধারণত সামরিক পরাজয়ের সাথে সাথে বিজয়ীদের দর্শন আর বিশ্বাসও পরাজিতদের মাঝে বিস্তার লাভ করে, কিন্তু তূর্কি খেলাফতের আগের আব্বাসীয় খেলাফতের পতন হয় তাতারীদের হাতে। এই তাতারীরা- ই কিন্তু (অনেকেই ) ধীরে ধীরে পরাজিতদের ধর্মীয় বিশ্বাস গ্রহণ করে মুসলিম হয়ে যায়! "তারিখে দাওয়াত ওয়া আযীমাত" বই - এ এ বিষয়ের বেশ কিছু ঘটনা বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ই. ফা. বা. থেকে এই বইটার অনুবাদও হয়েছে। যদিও শুরুতে এদের শাষণ ব্যবস্হায়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলোতে ইসলামী অনুশাসণের প্রভাব খুব একটা ছিল না। কিছু গোত্রীয়, কিছু ইসলামী, কিছু দেশীয় রীতির মিশ্র ব্যবস্হা ছিল তাদের শাসনে।

সুতরাং ব্যাক্তি বা গোষ্ঠির পতনের সাথে সাথে দর্শনের পতনের কোন সম্ভাবনাই নাই - সামরিক রাজনৈতিক পতনের মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাসের বিস্তার হওয়ার এই ঘটনা - লেখকের উপরের মন্তব্যকে আরো বেশী সমর্থন দেয়।

তাতারীদের এই মিশ্র ব্যাবষ্হাও ইসলাম - বিশ্বাসী সংস্কারকদের চেষ্টায় কালের পরিক্রমায় ধীরে ধীরে কেতবি ইসলামের দিকে ঝুকে পরে।

২৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:










+++++++++++



আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.