![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেয়েছি পথের দেখা !! শেষ জানিনা তার!!
চরম বর্বর এক ঘটনা ঘটে গেল শিক্ষানগরী রাজশাহীতে। লজ্জা আর অবমাননাকর সেই ঘটনা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখল শত শত মানুষ। 'অসম বিয়ের অপরাধে' স্বামী-স্ত্রীকে বেধড়ক পেটানোর পর জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হলো এলাকায়। পরে খোলা ময়দানে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হলো সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া এলাকায় রবিবার। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নির্দেশে এই ঘৃণ্য বর্বর ঘটনা ঘটায় এলাকার কিছু মানুষ। নিগ্রহের শিকার দুজন হলেন রুবেল হোসেন (২৫) ও নিলুফা বেগম (৪০)। তাঁদের মধ্যে রুবেল হোটেল কর্মচারী আর নিলুফা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। থাকেন ভাটাপাড়া এলাকার একটি বস্তিতে।
নির্যাতিতদের বক্তব্যে জানা যায়, প্রায় চার মাস আগে নিলুফার সঙ্গে তাঁর স্বামী ফজলুর রহমানের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
এরপর চার দিন আগে প্রতিবেশী যুবক রুবেল ও নিলুফা বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে তাঁরা বিয়ের বিষয়টি প্রকাশ করলে রুবেলের বাবা মুনসুর আলীসহ তাঁর পরিবারের লোকজন ও এলাকার কিছু অতি উৎসাহী মানুষ গর্জে ওঠে। তারা কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর নির্দেশে রুবেল ও নিলুফাকে ধরে এনে পেটাতে থাকে। এরপর তাঁদের গলায় জুতার মালা পরিয়ে রেললাইনের ধারে মাঠে নিয়ে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই বর্বরতা দেখতে ভিড় করে এলাকার শত শত মানুষ।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবরে পুলিশ গিয়ে রুবেল ও নিলুফাকে উদ্ধার করে। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুও সেখানে হাজির হন।
নির্যাতিত নিলুফা কান্নাজড়িত কণ্ঠে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ২০-২৫ জন লোক মিলে তঁাদের দুজনকে প্রথমে লাঠি ও হাত দিয়ে পেটায়। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে পেটানোর পর গলায় জুতা-স্যান্ডেলের মালা পরিয়ে এলাকায় ঘোরানো হয়। এভাবে ১০ মিনিট ঘুরিয়ে আনার পর মাঠের মধ্যে দুটি পাশাপাশি বাঁশের খুঁটির সঙ্গে তাঁদের বেঁধে রাখা হয়।
নির্যাতনকারী স্থানীয় আজিজুল ইসলামসহ আরো অনেকের দাবি, রুবেল কদিন আগেও ওই নারীকে মা বলে ডাকত। এখন তারা বিয়ে করেছে বলে দাবি করছে। এটি মেনে নিতে না পারায় স্থানীয় কাউন্সিলরের নির্দেশে তাদের দুজনকে পেটানোর পর বেঁধে রাখা হয়। কাউন্সিলর নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের মুক্ত করা যাবে না বলেও দাবি করে তারা।
এদিকে সাংবাদিকদের সামনেই রুবেলের পরিবারের লোকজন উত্তেজিত হয়ে রুবেলকে মারধর করতে দেখা গেছে। এ সময় রুবেল চিত্কার করে বলছিলেন, 'তোরা তো আমার সব শেষ করি দিলি। এবার আমি নিজেকে শেষ করে দিব। আমি আর এ মুখ দেখাতে পারব না।'
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশি্লষ্ট কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকু অবশ্য দাবি করেন, তিনি এ ঘটনা জানতেনই না। পরিবারের নির্দেশেই রুবেল ও নিলুফাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। খবর পেয়ে তিনি বরং তাঁদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন।
নগরীর রাজপাড়া থানার ওসি এ বি এম রেজাউল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এক যুবক ও নারীকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতনের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেছে। তাঁরা অভিযোগ দিলে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
সুত্র
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬
পথহারা নাবিক বলেছেন: সত্য!! বাঙ্গালিদের ক্ষমতা পাওয়ার জন্য আর ক্ষমতা পেলে মাথা ঠিক থাকে না!!
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৯
পেন্সিল চোর বলেছেন: এইটা ঠিক না।
ছিঃ
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৬
পথহারা নাবিক বলেছেন: আপনি তো পুরা শুশিলদের মতো করে বললেন!!
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
নষ্ট ছেলে বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধার চেতনাধারী আওয়ামী লীগের কেউ এই কাজ করতে পারে না! খোজ নিলে দেখা যাবে এর পিছনে কোন হুজুর/মাওলানা/হেফজতি জড়িত!
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৮
পথহারা নাবিক বলেছেন: আমি কিন্তু ঘটনা বুঝতে পারছি!!
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:২৭
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন:
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০
পথহারা নাবিক বলেছেন:
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:২১
এ হেলাল খান বলেছেন: কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকু এবং রুবেল হোসেনের পরিবারের লোকজনকে আইনের আওতায় আনা হোক। এটা আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ না এখানে যে কেউ যে কাউরে ভালবেসে বিয়ে করতে পারে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০
পথহারা নাবিক বলেছেন: সহমত
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
মামুন রশিদ বলেছেন: দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ নিজেদের সম্মতিতে বিয়ে করেছে, এতে অন্যদের সমস্যা কি? এই নির্যাতনকারিদেরও এভাবে বেধে পেটানো উচিত ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩
পথহারা নাবিক বলেছেন: লেংটা কইরা পিটানো উচিৎ!!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৭
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ঘটনার সত্যতা যাচাই প্রয়োজন। যদি সত্যি হয়ে থাকে তবে বলার একটাই আছে বাঙালীর হাতে কখনো ক্ষমতা দেয়া উচিত না! এরা এখনো ক্ষমতার ব্যবহার শিখে নাই