![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া শাহবাগ আন্দোলন কোন ব্লগার একাই জন্ম দেয়নি । একটি শিশু যেভাবে মায়ের গর্ভে ১০ মাস ১০ দিন থাকার পর ভূমিষ্ট হয় তেমনি শাহবাগ আন্দোলন লাখ লাখ ব্লগারের গর্ভে থাকা একটি সন্তান যেটি ভূমিষ্ট হয়ছিল ৫ ফেব্রুয়ারিতে । বছরের পর বছর গর্ভে থাকা এই সন্তানটির জন্ম হয়ছিল প্রচণ্ড প্রসব বেদনার মাধ্যমে কাদের মোলার রায়ের ঠিক পরেই । শাহবাগ আন্দোলন অমিপিয়াল বা আরিফ জেবতিক রা অথবা আসিফ মহীঊদ্দিন জন্ম দেয় নাই জন্ম দিয়েছে লাখ লাখ ব্লগার ।
শাহবাগের প্রথম মহাশমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন অনেক বুদ্িজীবী ,ছিলেন নামে বেনামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এবং অনেক বাম নেতারা । ওই মঞ্চ থেকে যেমন ভালো ঘোষণা এসেছিল তেমনি বিভিন্ন বাম ছাত্র নেতাদের মুখ থেকে উচ্চারিত হয়ছিল বিভিন্ন অশ্লীষ বাক্য । আবার সেই মঞ্চ থেকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকিকে দেওয়া হয়ছিল "নব্য রাজাকার" উপাধি ।
তখন এই আন্দোলনের সাথে জড়িতরা এটি বাহবা দিয়েছিল আবার অনেকই এর বিরোধীতা করেছিল কিন্তু কে শুনে কার কথা , অনেকই আবেগে অনেক কথা বলেছিল কিন্তু সেই আবেগ এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে । শাহবাগ আন্দোলন যখন তুঙ্গে ঠিক তখনি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট খেলার মত উইকেটের পতন, থাবা বাবার হত্যা । পরদিনই আমারদেশ পত্রিকা থাবা বাবা(রাজীব হায়দার) কে অনেকটা পেটেন্ট করার মত নাস্তিকের সিল দেয় । এরপই অনেকেই আস্তে আস্তে নাস্তিকের সিল দেওয়া হয় এর মধ্যে অনেকই ছিলেন স্ব-ঘোষিত নাস্ত্বিক ।
এরপর আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বামদের হাতে ,যেমন খুশি তেমন ভাবে আন্দোলন চালাতে থাকে তারা গণজাগরণ মঞ্চ কে পরিণীত করে উপাধি দেওয়ার মঞ্চ । এমনিতেই আমাদের দেশে মানুষ বামদের কথা শুনলে নাক সিটকায় আবার তার মধ্যে আন্দোলনে নেতৃত্ব? এটা সাধারণ মানুষের মনে দ্বিধার সৃষ্টি করে এবং ব্লগারদের কে আমারদেশের পক্ষ হতে দেওয়া নাস্তিকের সীল মানুষের মনে জেকে বসে ।
এরই মধ্যে হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন নামে আরেকটি সংগঠনের জন্ম নেয় যা নিউটনের তৃতীয় সূত্র কে প্রমান করেছে “প্র্যতেক আন্দোলনের সমান ও বিপরীত আন্দোলন আছে”।
এদিকে আমাদের গণমাধ্যমে বুদ্ধিজীবী নামধারী বিভিন্ন জ্ঞানপাপী বলতে থাকেন এই আন্দোলন সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে । এই বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে সরকার শাহবাগ আন্দোলন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে ছাত্র লীগকে ব্যাবহার করে ।
ছাত্রলীগ শাহবাগ আন্দোলনে ফেইসবুক পেইজ দখলে নেয় ফলে আন্দোলনকারীদের অনেকই সেখান থেকে চলে আসে ,আস্তে আস্তে এই আন্দোলন জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে ।
এদিকে সরকার এই জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে এবং বেশি লোকের সমাগম দেখাতে বিভিন্ন স্কুল থেকে ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে আসে যদিও এই আন্দোলনে আগেই অনেক ছাত্র ছাত্রীর সমাগম হয়ছিল সেটি ছিল স্বঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ। শুধু ছাত্রছাত্রীদের নয় এই আন্দোলনে বিভিন্ন গার্মেটস ফ্যাক্টরি থেকে অনেক শ্রমিক দের ধরে এনেছিল । এই মঞ্চে বিভিন্ন সময় আওয়মিলিগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের ভাষণ দেওয়া এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে । যখন এই লিখা লিখছি তখন শুনতে পেলাম শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করা হয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে। এ মঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মঞ্চ গুটিয়ে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে । আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের এটা বন্ধ করে দেওয়া উচিত । এ মঞ্চ দীর্ঘায়িত হলে মূল চেতনা বিনষ্ট হয়ে যাবে । এভাবেই একটি ভুমিষ্ট হওয়া শিশুর মৃত্যুর সময় এসেছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
মদন বলেছেন: +
বিরিআনী আর বোতলের পানি খাওয়া মুক্তিযোদ্ধারা যখন কাদের সিদ্দিকীরে রাজাকার বলে তখন তাদের জ্ঞানের দৈন্যতার জন্য স্রেফ করুনা ছাড়া আর কিছু হয় নি।
সাহস থাকলে মাঠে নামুক সরকারের বর্তমান কাজের বিরুদ্ধে। শিবির তাদের দাবী আদায়ে ১ মিনিট দেরী করছে না জীবন দিতে আর আমাদের নব্য মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের সাপোর্ট হটে যাওয়াতেই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে।