![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভূত, প্রেত, জ্বীনে বিশ্বাস করেন? তবে নিচের টুকু পড়ুন।
কোথায় থেকে শুরু করব সেটা ভালো মত বুঝে উঠতে পারছি না। বছর ছয়েক আগের কথা, তখন আমি মাত্র ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের বাড়ির ওপর তলায় একটা নতুন ভাড়াটিয়া এলো, আমরা থাকতাম নিচ তলায় ওরা উঠেছিলো দোতলায়। নতুন ভাড়াটিয়াদের পরিবারে কেবল মাত্র দুজন মানুষ সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী, কোন প্রকার ঝুট ঝামেলা নেই, একেবারে সাজানো গোছানো ছিমছাম পরিবার।
দোতলায় কিছু ঝামেলার জন্য প্রায়শই ভাড়াটিয়া বদল হতো। এখন ব্যাপার গুলো ভৌতিক কিনা সেটার সঠিক ব্যাখা আমি দিতে পারবো না, তবে যা ঘটতো সেগুলোর একটা হালকা-পাতলা সারসংক্ষেপ বর্ণনা দিতে পারি।
রাতের বেলায় আমাদের বাড়ির ছাদে ওঠা নিষেধ ছিলো, আমরা সেটা অমান্য করতাম না। রাতের বেলা কেউ সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করতাম না ভয়ে। মাঝে মাঝে মনে হতো হয়তো, ছোটদের কে একটু বসে রাখার জন্যই হয়তো বজ্জাত বাড়িওয়ালা আমাদের কে ভূতের ভয় দেখাতো। এই নিয়ে আমিও ব্যাপারটা বিশেষ আমলে নিতাম না। যখনকার কথা বলছি সেটা ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাস, আমার দশম শ্রেনীর টেস্ট পরীক্ষা সবে শেষ হয়েছে, আর কয়দিন বাদেই এস এস সি পরীক্ষা লিখতে বসবো সুতরাং, পড়াশুনার বাড়তি চাপ সব সময়ই থাকতো।
ছোটবেলা থেকেই আমি একটু বেশি আঁতেল, সেই সময়ও একই রকম ছিলাম। অনেক রাত অবধি টেবিল ল্যাম্পের আলো জ্বেলে পড়ালেখা করতাম। এমনি একদিন অনেক রাত পর্যন্ত লগারীদম আর সেট তত্ত্ব এর অংক কষা শেষে ঘুমাতে যাবো এমন সময় শুনতে পেলাম আমারই ওপর তলার ঠিক বরাবর কেউ একজন ঘুঙুর পড়ে নাচছে। আমি শুনে একটু বিষ্মিত হলাম, মোবাইল ফোনের ব্যাকলাইট অন করে সময় দেখলাম রাত তখন পৌনে চারটা।
যদিও একটু আশ্চর্য হলাম কিন্তু কাউকে আর কিছু জিজ্ঞাসা না করে ঘুমিয়ে পড়লাম সেদিনকার মত। পরদিন সকালে নাস্তা খেতে গিয়ে মা কে জিজ্ঞাসা করলাম, “আচ্ছা, গতকাল রাতে তোমরা কেউ ঘুঙুর নাচের শব্দ শুনতে পেয়েছো?”
আমার কথা শুনে মা এবং বাড়ির সবাই হেসে উড়িয়ে দিলো। ওরা আমাকে এই বলে বুঝ দিলো যে, “সারা রাত না ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে তোমার মাথার স্ক্রু ঢিলে হয়ে গিয়েছে, কাল থেকে আর রাত জেগে পড়তে হবে না, যা পড়ার সেটা সকাল সকাল পড়ে নেবে। সন্ধ্যের মধ্যে সবকিছু শেষ করা চাই!”
আমি একটু অবাকই হলাম বটে, প্রথমত আমি অযথাই একটা ঝারি খেলাম তার ওপর আমার কথার কেউ পাত্তাই দিলো না। সেদিন আর রাত জাগলাম না, মায়ের কথা মত সন্ধ্যে ৭টার মধ্যে পড়াশুনা শেষ করে ফেলে মুঠোফোনে সধ্য কেনা নতুন হেডসেটে গান শুনতে লাগলাম। ডিসেম্বর মাস হলেও কোন একটা অযাচিত কারণে সেদিন বৃষ্টি হয়েছিল। রাতের দিকে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল, আমি গান শুনতে শুনতে আমি আমার রুমে বসে হেডসেটের গুণাগুণ বিচার করতে লাগলাম। প্লে লিস্ট থেকে একটার পর একটা সং সিলেক্ট করে প্লে করছি, এমনি একটা সময় সেই ঘুঙুর পড়ে নাচের শব্দ আমার কানে এলো। এবার সত্যিই আঁতকে উঠলাম, কারণ এইবার শব্দটা খোদ আমার ফোন থেকে আসছে আমার হেডসেটে। অন্ধকারের মাঝে আমার হাত থেকে ফোনটা পড়ে গিয়ে ব্যাটারি খুলে গেলো, আমি একবার “মা! মা!” বলে চিৎকার দিয়ে জ্ঞান হারালাম।
পরদিন সকাল বেলার কথা, আমি মায়ের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে দোতলার সেই নতুন ভাড়াটিয়াদের ফ্ল্যাটে ঘুরতে গেলাম। বাসা থেকে আমাকে বলে দেওয়া হলো যেন বেশিক্ষণ সেখানে না থাকি। সুতরাং, আমিও কথা মত বেশি দেরি করবো না বলে ওদের সদর দরজায় দুটো কড়া নাড়লাম, এর প্রায় দশ সেকেন্ডের মাথায় দরজা খুললো, দরজা খুললেন ভদ্রলোকের স্ত্রী। দেখতে অপরূপ সুন্দরী লিকলিকে গরন এবং ফর্সা, বোধ করি গোসল দিয়ে ফিরছিলেন তাই ভেজা চুল গুলো কোমর পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া।
আমি বললাম, “জ্বী, আমি তুষার। আপনাদের নিচের তলায় থাকি, একটু ভেতরে আসতে পারি? কিছু কথা ছিলো!”
ভদ্র মহিলা খুশি হয়ে বললেন, “বেশ তো ভালো! এসো এসো, বল কি হয়েছে বাবু?”
আমি সরাসরি কোন প্রশ্ন করলাম না, প্রথমে বেশ কতক্ষণ কুশল বিনিময়ের পর জিজ্ঞাসা করলাম,
“আচ্ছা দিদি? আপনারা তো এখানে এ মাসেই উঠেছেন তাই না?”
ভদ্র মহিলা হেসে উত্তর দিলেন, “হ্যাঁ! কেন বল তো?”
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আচ্ছা ভোর রাতে কি কখনো ঘুঙুরের শব্দ পেয়েছেন?”
ভদ্র মহিলা আমার দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থেকে কতক্ষণ চুপ করে রইলো; তারপর বলল,
“বল কি? সেই শব্দ তুমিও শুনতে পাও? আমি তো ভাবলাম শব্দটা নিচ তলা থেকে আসে। আমি দুদিন শুনতে পেয়েছি, একবার মনেও করেছিলাম এতো রাতে কে ঘুঙুর পড়ে নাচে? সেটা তোমাদের বাসায় গিয়ে একবার জিজ্ঞাসা করবো। কিন্তু সাহস হচ্ছিলো না, যেহেতু সবে মাত্র নতুন এসেছি আর তাছাড়া আমার বাড়িঘর সব ওলট-পালট হয়ে আছে, এখণো পুরোপুরি সব গুছিয়ে উঠতে পারিনি, ওসব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই আর কেন যেন যাওয়া হয়নি তোমাদের ওখানে।”
বুঝতে পারলাম, ভদ্রমহিলা কোন কারণে ব্যাপারটা চেপে যাচ্ছেন। উনার ধারণা ছিলো, আমাদের ফ্ল্যাটেই কোন একটা গন্ডোগোল আছে, তাই জন্য আর ভয়ে জিজ্ঞাসা করতে যাননি। কারণ, ভোর রাতে অমন একটা জোরালো শব্দ শুনতে পাওয়া কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
আমি ভদ্রমহিলা কে বললাম, আচ্ছা আপনাকে একটা অনুরোধ করতে পারি? ভদ্রমহিলা বললেন, “অনুরোধ? বেশ তো! করো কি করবে?”
“আপনি একটু আমার সাথে আমাদের বাসায় যাবেন নিচের তলায়?”
তিনি একটু অবাক হয়ে গিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “বুঝলাম না, সেখানে গিয়ে আমার কি হবে?”
আমি উনাকে বুঝিয়ে বললাম, “দেখুন, শব্দটা আপনি একাই শোনেননি, আমিও শুনেছি। এবং গত রাতে আমি জ্ঞানও হারিয়েছি। সেটা আমার বাড়ির কেউ বিশ্বাস করতে চাইছে না যে আমি যা বলছি সেটা সত্য। ওদের কথা হলো, এমন একটা আঁওয়াজ কেবল আমিই শুনলাম আর বাড়ির কেউই শুনলো না এমনটা কখনো হতে পারে না! আপনি একটু আমার সাথে আমার বাড়ি চলুন, যা শুনেছেন সবটা আমার মা কে নিজ মুখে বলবেন।”
ভদ্রমহিলা রাজি হয়ে গেলো, আমি উনাকে আমার কথা মত আমার সাথে আমার বাড়ি গেলেন এবং মা কে আমি যা যা বলেছিলাম সবটাই অবিকল একই ভাবে খুলে বললেন, প্রথমে বাড়ির সবাই সেটা মানতে রাজি না হলেও পরে আমাদের দুজনের কথায় বিশ্বাস করলো যে এখানে কোথাও একটা ঝামেলা আছে। বাড়িওয়ালা কে ফোন দেওয়া হলো, তিনি হাঁপাতে হাঁপাতে আসলেন এবং আমাদের কথা শুনে প্রথমে হেসে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। যদিও পরে আমার বাবা-মা এবং ঐ নতুন ভাড়াটিয়ার চাপাচাপিতে বলতে রাজি হলেন। বাড়িওয়ালার ভাষ্য মতে,
উনার সবচেয়ে ছোট মেয়ের নাম অরুণিমা। অরুণিমা কে উনারা অনেক বেশি ভালবাসতেন এবং তার নামেই বাড়ির নামকরণ করা হয় ‘অরুণিমা ভিলা’। অরুণিমা খুব ভাল নাচতে জানতেন এবং প্রতি শুক্রবার বিকেলে এক ওস্তাদ তাঁকে নাচ শেখাতে আসতেন। সেটা এখন থেকে কুড়ি-পঁচিশ বছর আগের ঘটনা, একদিন দুপুরে অরুণিমা ছাদে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে মারা যায়। তখন অরুণিমার বয়স হয়েছিলো ১৪ বছর। তারপর থেকে অনেকেই এই বাড়ির বিভিন্ন ফ্ল্যাটে সেই ভোর রাতে অরুণিমার ঘুঙুরের শব্দ শুনতে পায়। বাড়িওয়ালা সে সময় দোতলায় থাকতেন, এবং অরুণিমা মারা যাবার পর তারা সে বাসাটা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যান এবং পুরো বাড়ি রিনোভেশন করে আবার ভাড়া দেন। বাড়িওয়ালার মতে, অরুণিমা তার স্মৃতি ভুলতে পারেনি বলেই বারবার দোতলার সেই ফ্ল্যাটটাতে ঘুরতে আসে কিন্তু সে কখনো কারো ক্ষতি করে না।
অবাক হলেও সত্য এই বাড়িরই নিচ তলায় আমি আজও বসবাস করি।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৭
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: "ভূতের ভবিষ্যতের" মত কাহিনী।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪
বাঘ মামা বলেছেন: তার মানে ঘটনা সত্য? আপনি মানছেন ভূত মানে মৃত ব্যাক্তির আত্মা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়?
এবার আসুন আজকে আমার ভূত দেখার সত্য ঘটনা বলি আপনাকে,
ঘটনা-১ বিশেষ কাজ থাকায় আমি আজকে খুব ভোরেই বেড়িয়ে যাই বাসা থেকে। কাজ শেষ হয়ে যায় খুব দ্রুত, আমি দোকানে চলে যাই যদিও তখনো দোকান খোলার সময় হয়নি, নিজেই দোকান খুলে অফিস রুমে বসলাম,তখনো কোন মানুষজন নেই পথে ঘাটে, বড়দিন আর নিউ ইয়ারের লম্বা ছুটিতে সারা শহর এক রকম ফাঁকা, ওয়ার্কার যারা আছে তারা এখনো আসেনি, সাধারনত একটা নির্ধারিত সময়ে সবাই আসে, যাই হোক আমি সিসি ক্যামেরার ভিউএর দিকে তাকাতেই দেখি নিচের ফ্লোরে কেউ একজন কালো জামা পড়া খুব দ্রুত হেটে আমার দোকান ঢুকে আবার বেড়িয়ে গেলো, আমি তা দেখে অফিস থেকে নিচে নামলাম,লোকটাকে ধরতে পারিনি, মানে কেন আসছে কি চায় জানতে পারিনি আমার নিচে নামার আগেই সে বেড়িয়ে গেলো, আমার দোকানে তিনটা ফ্লোর, প্রায় দশ হাজার স্কয়ার ফিট। যাইহোক আমি আবার উপরে উঠে আসলাম,অফিসে রুমে বসলাম, সিসি ক্যামেরা মনিটরের দিকে তাকিয়ে দেখি নিচের ফ্লোরে কেউ আসে কিনা, আর নিজের কাজ করছি, সারা দোকানে আমি একা, এরপর আমার আবার চোখ পড়লো মনিটরে দেখি একটা মানুষ আমার দোকানের ভিতরের দিকে যাচ্ছে,একদম পিছনের চলে আসছে,দোকানে শুরু থেকে পিছন পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফিট হবে, আমি আবার দৌড়ে নামলাম নিচে, গিয়ে দেখি কেউ নেই, আমি সারা দোকান খুজলাম লোকটাকে পেলামনা, যাকে আমি ভিতরের দিকে ঢুকতে দেখেছি সে ১০ সেকেন্ডের মধ্যে কোথায় গেলো,বিষয়টা অবাক লাগলো আমার কাছে, এমন হচ্ছে কেনো, আমি আবার উঠলাম উপরে, এবার মনিটরে তাকাতেই দেখলাম সেই লোকটার পিছন দিকটা দেখা যাচ্ছে সে আস্তে আস্তে বেড়িয়ে যাচ্ছে, আমি আবার নিচে নেমে দেখি লোকটা নেই, হয়তো বেড়িয়ে গেছে কিন্তু একটু আগেতো আমি সারা দোকানে হেটে দেখলাম তাকে ফেলামনা, এখন আপনি বলতে পারেন কি হয়েছইলো আসলে? কেন এমন হচ্চে?
ঘটনা-২ এটা অনেক আগের ঘটনা - একদিন রাতে আমাদের বাসার পিছনের জানালায় পাশে বাসার এক ভদ্রলোক নক করে আমাদের বললো আপনাদের বাসার সামনে একটা জ্বিন দাড়ায় আছে আমি কোনভাবেই এই পথ দিয়ে বাসায় যেতে পারছিনা, ঠিক আপনাদের দরজার সামনে দাড়ানো, সে নড়েনা, আমি আর আম্মু আপু সবাই সামনের দিকে এসে জানালা দিয়ে দেখছি সতি লম্বা একটা সাদা আভা দাড়িয়ে আর ঢুলছে, আমরা সবাই তা দেখছি। এরপরের ঘটনা পরে বলি,
ঘটনা-৩ - একদিন খুব রাতে মটর সাইকেল নিয়ে আমি গ্রামের বাড়িতে ঢুকছি, পাশেই বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে থেকে শুধু একটা হাতের কব্জি আমাকে ঢাকছে, হাতে দিয়ে আমরা যেমন মানুষকে ডাকি ঠিক সেই ভাবে, ঐ হাতের কব্জি পর্যন্তই। আর কিছু নেই, এক টানা আমাকে ইশারা দিয়ে ডেকেই যাচ্ছে,আমি তাকিয়ে আছি, এরপর মটর সাইকেল দাড় করিয়ে সেই হাতের কাছে যাই, সেই হাত ধরি,
ঘটনা-৪ আমাদের বাড়ির একজন লোক বর্ষার দিনে খালে বাঁধ দিয়ে একপাশে একটু পানি ছেড়ে জাল বসিয়ে মাছ ধরতো সারা রাত, পাশেই বিশাল বড় একটা কবর স্থান, এক রাতে তার বউ গিয়ে দেখে তার বর নেই, হারিকেন ছিলো সেটা জালের মধ্যে পড়ে আছে, জমির দিকে তাকিয়ে দেখা গেলো ধান গাছে মাঝে দিয়ে কাউকে টেনে নিলে যেমন পথা তৈরী হয় ঠিক তেমনি হয়ে আছে আরেকটা খাল পর্যন্ত,তার মানে ভূত তাকে এই দিক দিয়েই টেনে হিছড়ে নিয়ে খালে ফেলে দিয়েছে, সারা রাত খুজে তাকে পাওয়া গেলোনা, সকালের আলোতে দেখা গেলো তাকে খালের ওপারে আরেকাট ধানি জমিতে উপর করে গলায় গামছা সহ ফেলে রেখে গেছে, তাকে বাসায় আনার পর তার জ্ঞান ফিরে। সে বলতে পারেনা কে বা কারা তার মুখে গামছা পেছিয়ে টেনে হিছড়ে সেখানে নিয়েছে,
উপরের ঘটনা গুলো থেকে আমাদের ভূত বিশ্বাস না করে উপায় নেই, আমাদের ধর্ম গ্রন্হ্য বলে জ্বিন আছে, তাই জ্বিন বিশ্বাস করি কিন্তু মরে যাওয়ার পরে যেই প্রেতাত্না নিয়ে বললেন সেটা আমি বিশ্বাস করিনা, তাহলে আমার উপরের ঘটনা গুলোর ব্যখ্যা কি, ভাবতে থাকুন আমি আবার আসবো।
৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩
সুমন কর বলেছেন: গল্পের মতোই লাগল।
৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
নতুন বলেছেন: অবাক হলেও সত্য এই বাড়িরই নিচ তলায় আমি আজও বসবাস করি।
নতুন ভাড়াটিয়াকে জানানের পরেকি আপনি ঐ শব্দ শুনেছিলেন? মনে হয় আর শুনতে পান নাই।
নতুন ভাড়াটিয়াদের পরিবারে কেবল মাত্র দুজন মানুষ সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী,
বুঝতে পারলাম, ভদ্রমহিলা কোন কারণে ব্যাপারটা চেপে যাচ্ছেন।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০২
আশফাক ওশান বলেছেন: ভুত প্রেতে আপাতত বিশ্বাস করিনা।দেখার অনেক চেষ্টা করেও দেখতে পারিনি।সেই তুলনায় আপনি অনেক ভাগ্যবান বলতে গেলে
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:২০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ভুতের গল্প পড়তে ভয় লাগে
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:৫১
রিফাত হোসেন বলেছেন: জ্বীন অনুভব করেছি ছোটকালে। বড় হবার পর হয়নি। কখনো দেখেনি। অনুভব করা মানে অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা ঘটা যার ব্যাখ্যা সাধারনভাবে সম্ভব না। শেয়ার করলাম না। খুবই সাধারন ঘটনা তাই।
হুম, জ্বীন বললাম কারন যেহেতু ঘটনা অতি-প্রাকৃতিক তার উপর আমি আস্তিক(ইসলাম) তাই ভূত বা এলিয়ান ব্যাপার ব্যাখ্যা হিসেবে না নিয়ে জ্বীন ধরে নিয়েছি।
ছোট ছিলাম তাই সত্যি আসলেই কি জ্বীন নাকি অন্য কিছু তাই প্রমান করা বা চোখের দেখা সম্ভব হয় নাই। ভয় বলেও তো কিছু কথা আছে
তবে এতটুকু সত্যি যে জ্বীন যত ভয়ই সৃষ্টি করুক, তারা সৃষ্টির সেরা নয়, হলে তারা পৃথিবীর অধিপতি হত মানুষ নয়। মানুষই পৃথিবীকে কলুষিত করছে।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৭
সোহানী বলেছেন: আহারে জ্বীন কি শুধু দেশেই থাকে বিদেশে থাকে না... আফসোস দেখা পেলাম না...
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮
বাঘ মামা বলেছেন: মুলত যা ঘটেছিলো
ঘটনা ১- আমি প্রতিদিন বের হবার সময় সিসি ক্যামেরার সারা দিনের রেকর্ড দেখে বের হই, সেদিনের আগের দিন আমি রেকর্ড প্লে করে আর অফ করিনি, পরদিন এসে সকালে আমি বুঝতে পারিনি মনিটরে যা চলছে সেটা লাইভ নয়, আগের রেকর্ড, তাই আমি বার বার ধোকা খেয়েছি,।
ঘটনা ২- আমাদের বাসার সামনে মানে একটা খালি যায়গা ছিলো যেখানে তারের সাহায্য আমরা কাপড় শুকাতাম, সেইদিন বিকেলে বৃষ্টি আসছিলো দেখে আপু খুব তাড়াহুড়ো করে সব কাপর একসাথে ধরে টেনে আনার সময় তার সাদা জর্জেটএর ওড়নাটা তারের গিট্টুর সাথে লেগে থেকে যায়, ওড়না এক মাথা আটকে পড়ায় পুরো ওড়নাটা লম্বা হয়ে ঝুলতে থাকে, যা রাতে চাঁদের আলোয় আরো অদ্ভুদ সাদা আভা হয়ে সবার চোখে লাগে, যা দুর থেকে দেখতে জ্বীনের মত মনে হয়,
ঘটনা ৩ - বাঁশের ছোট্ট ছোট্ট বাকল হয়, যা শুকিয়ে এক সময় নিচে ঝড়ে পড়ে, সেগুলোর উপরের মাথা একটু সুরু হয় নিচের দিকটা উপরের তুলনায় চওড়া থাকে, এই শুকনো বাকলটা খুলে নিচে পড়ার সময় মাকড়সার জালে ফেশে যায়,এটা এমন ভাবে ঝুলেছিলো অনেকটা ঢেঁকির মত করে , এক মাথা ভারি অন্য মাথা হালকা হওয়ায় বাতাসে একবার সুরু মাথা উপোরের দিকে উঠে আবার নিচে নেমে যায়,যা দুর থেকে অন্ধকারে মনে হয়েছিলো কারো হাত আঙ্গুল সহ কব্জি, আঙ্গুল মনে হবার কারণ হলো সুরুর দিকটা চিকন চিকন করে ফেটে ফাঁক হয়ে থাকায় মনে হয়েছিলো সেগুলো হাতের আঙ্গুল, যাইহোক আমি বাকলটা হাতে নিয়ে নিজেই হাসছিলাম যে কিভাবে আমরা সবাই ভূত দেখি নিজের চোখে,এমন ভাবেই প্রকৃতি আমাদের ভূত দেখায়,।
ঘটনা ৪- আমাদের বাড়ির লোকটা যেখানে মাছ ধরতো সেই জমিটা তার, কিন্তু অপর পাশের জমিটা আরেকজনের, খালে বাঁধ দিলে পানি ফুলে উঠে এবং মাটি নরম হয়ে ঐ পাশের জমিটা ভেঙ্গে খালে মাটি পড়ে যায়, সেই পাশের জমিটার মালিক তাকে বহুবার সবাধান করে দিয়েছে যেন এখানে বাঁধ না দেয়, কিন্তু সে শুনেনি, একদিন ঐ জমির মালিক এসে রাতে অন্ধকারে পিছন থেকে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে টেনে নিয়ে দুরে আরেকটা জমিতে ফেলে রাখে, সে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে অন্ধকারে বুঝতে পারেনি এটা মানুষ ছিলো, যে ব্যাক্তি এমন কাজ করেছে মাস তিনেক পরে সে নিজেই সেটা স্বীকার করে যে আমি এমন ভয় না দেখালে সে খালে বাঁধ দেয়া বন্ধ করতোনা,
সুতরাং উপরের ঘটনা গুলোই প্রমাণ করে আমরা ভূত বলে যা দেখি ফিল করি বলি তা শুধুই রাতে অন্ধকারে গোলক ধাঁধাঁ ছাড়া আর কিছুইনা।
আর জ্বিন? সেটা সৃষ্টির সেরা না, এবং আত্ন-প্রকাশের কোন সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি, আর এমন ক্ষমতা তাদের বিধাতা দেয়নি যা দিয়ে তারা মানুষের অপকার অথবা উপকার করতে পারবে।
একটু মাথা খাটান দেখবেন সব কিছু পরিষ্কার হয়ে ধরা দিবে সকল অন্ধকার, শুধু দরকার একটু সাহস আর বিবেচনা, কিছু দেখে দৌড়ে বাসায় এসে দড়জা লাগিয়ে বসে থাকলে সেই বিষয়টা সারা জীবন ভূত হয়েই থাকবে, আপনি হবেন বুড়ো আর নাতি নাতনিরা যখন গলা ধরে ভূতের গল্প শুনতে চাইবে তখন সেই ভূতের কাহীনিই বলবেন যা দেখে আপনি দৌড়ে বাসায় চলে আসছেন পরখ করে দেখেননি আসলে সেটা কি ছিলো ,এইভাবেই ভূতরা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠা লাভ করে,।
এখন তো রীতিমত চ্যানেল গুলোতে হান্টার ড্রামা শুরু হয়েছে ইউরোপ আমেরিকায়, কেনইবা হবেনা বলুন? মুসলিমরা হাতে তবজি নিয়ে বিড় বিড় করে কি পড়ে ছু মারে এমনি ভূত পালায়। হিন্দুরা ত্রিশুল নিয়ে এগুলে ভূত পিছে হাটে, সব ধর্মের এমন ক্ষমতা দেখে খ্রীষ্টান শিশু কিশোরদের মনেতো তাদের ধর্মের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে যে তাদের ধর্মের বাইবেলের কোন ক্ষমতা নেই, তাই এখন তারাও শুরু করেছে তাদের ক্রস এগিয়ে ধরলেই সব ভূত পালাই পালাই করে।
শুভ কামনা সব সময়
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১
রিফাত হোসেন বলেছেন: বাঘ মামা বলেছে::আর জ্বিন? সেটা সৃষ্টির সেরা না, এবং আত্ন-প্রকাশের কোন সুযোগ তাদের দেয়া হয়নি, আর এমন ক্ষমতা তাদের বিধাতা দেয়নি যা দিয়ে তারা মানুষের অপকার অথবা উপকার করতে পারবে।
কথা সত্য তারা সৃষ্টির সেরা অবশ্যই নয়। কিন্তু বাকি লাইনটুকু ইসলাম জীবন বিধান মোতাবেক সঠিক নয়।
ডেমন বলুন আর জ্বীন বলুন যে ভাষাতেই বলুন তাদের ক্ষমতা আছে ক্ষতি করার বা উপকার করার। কিন্তু তাদের ন্যাচার বা অভ্যাস আমাদের থেকে দূরে রাখে তবে কিছু ব্যতী রেখে।
আরও বলেছেন মুসলিমরা হাতে তবজি নিয়ে বিড় বিড় করে কি পড়ে ছু মারে এমনি ভূত পালায়।
এইটা আংশিক সত্য আসলেই যদি জ্বীন করায়ত্ব করে কাউকে তখন যে কোন মুসলিম আল্লাহকে স্মরণ করতে পারে এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে তারঁ পবিত্র বাণী এর মাধ্যমে। হয় জ্বীন বশ স্বীকার করে নয়তো সে জাহান্নাম এর শাস্তিকে ভয় পায় না।
-------------- এই কথাগুলি বিশ্বাস করা বা না করা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার যদি ভিনমত অনুসারী হন। সূত্র: ইসলাম জীবন ধর্ম অনুসারে জ্ঞানলব্ধ
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৬
বাঘ মামা বলেছেন: @রিফাত ভাই আমাকে উদ্দেশ্যে করে লেখায় শুধু ফরমালী জবাব দিতে আসছি, আপনার বলা কথার সাথে বিরোধ করবোনা, ধর্ম বিষয়টা আসলেই আপেক্ষিক , একেক জনের কাছে একেক রকম ব্যখ্যা, আমার কাছে ধর্ম বলতেই কিছু নেই সেটা আমি আমার মন্তব্যে বহুবার বলেছি, অনেকই মনে হয় ভাবে ধর্ম মানে বিশাল একটা হাতুড়া যা শুধু মানবের মাথার উপর ঠুকে কথায় কথায়, আমি ধর্ম টর্ম বুঝিনা, আমি বুঝি মানুষকে ভালো কাজ করতে হবে, ভালো চিন্তা করতে হবে, নিজের জন্য ভালো কাজ করবে অপরের জন্য পৃথিবীর জন্য, ভালো কাজ চিন্তাই এসব কিছু মানুষের অভ্যাসে থাকতে হবে, ধর্ম মানে অভ্যাস যা মানুষের মধ্যে থাকা জরুরী, এর বাইরে আর কিছুইনা, আর বিধাতা আছেন সেই প্রমাণ আমার কাছে আছে, আমি ভাগ্য বিধাতা বিশ্বাস করি, ব্যস।
ভূত বিষয়টা ফানি, জ্বীন আছে দেখিনি কোনদিন, মৃত্যুর আগে দেখার কোন সুযোগ নেই, মরার পরে যদি সুযোগ থাকে সে অন্য কথা,
শুভ কামনা আপনার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৯
আহলান বলেছেন: আজব তো!