নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্সেলোনা ক্লাবের ইতিহাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১



বার্সেলোনার ইতিহাসে আছে বিদ্রোহ, কাছে সংগ্রাম, আছে বিশ্বাসঘাতকতা , আছে ত্যাগ । অনেক বাধা পেরিয়েই বার্সা আজ পৃথিবীর সেরা ক্লাবগুলোর একটি। পৃথিবীর সেরা প্লেয়ারদের স্বপ্নের ক্লাব।


১৮৯৯ / ২৯ নভেম্বরঃ হেন্স গেম্পার প্রতিষ্ঠা করেন এফ,সি বার্সেলোনা।

১৯০৮ঃ আর্থিক সমস্যার কারনে বার্সেলোনার দেউলিয়া হওয়ার মত অবস্থা চলে আসে। জোয়ান গেম্পার প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হওয়ার পর সে এই বার্সেলোনাকে এই সমস্যা রক্ষা করেন।

১৯১০ঃ বার্সেলোনার নতুন লোগো তৈরি করা হয়। যেটা আজও আমরা দেখি ( একটু পরিবর্তিত)

১৯২৩ঃ স্পেনের একনায়ক প্রিমো দে রিভেরা এফসি বার্সেলোনায় কেটেলান ভাষা ব্যবহার ও স্টেডিয়ামে কেটেলান পতাকা ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন

১৯২৫ ঃ জোয়ান গেম্পারকে কেটেলান জাতীয়তাবাদকে প্রচার করায় অভিযুক্ত করা হয়। মুল কারন ছিল আসলে স্পেনের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময় সাপোর্টাররা বাশি বাজাচ্ছিল। লেস কোর্টস ৬ মাসের জন্য বন্ধ করা হয়। জোয়ানকে বাধ্য করা হয় প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার জন্য। পরে তাকে স্পেনে ব্যান্ড করা হয়। পরে সে সুইজারল্যান্ড চলে যান।

১৯২৬ঃ জোয়ান গেম্পার আত্মহত্যা করেন

১৯৩৬ঃ জোসেপ সানিওল ( ক্লাব প্রেসিডেন্ট) "লা রাম্বলা" নামের একটা পত্রিকা ছাপানো শুরু করেন। সেখানে একনায়ক সরকারের সমালোচনা করা হত। জোসেপ সানিওলকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৩৬ ঃ এঙ্গেল আরোচা ( ২০৭ ম্যাচে ২১৪ গোল) স্পেনের গৃহযুদ্ধে মারা যান।

১৯৩৭ ঃ গৃহযুদ্ধের কারনে স্পেনে ফুটবল খেলা অসম্ভব হয়ে পরে। সেই সময় এফ,সি, বার্সেলোনা মেক্সিকো ট্যুর এ যায় এর মেক্সিকান লীগের দলদের সাথে ফ্রেন্ডলি খেলে। বার্সেলোনার ১৬ জন প্লেয়ার থেকে ৪ জন স্পেনে ফিরে আসে। বাকিরা মেক্সিকোতেই থেকে যায়। তাদের সবাইকে এক বছরের জন্য স্পেন এ আসা নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৩৯ঃ স্পেনের গৃহযুদ্ধ শেষ হয়।

১৯৪৩ঃ বার্সেলোনা স্প্যানিশ কাপের সেমিফাইনালে রিয়েল মাদ্রিদকে ৩ -০ তে হারায়, প্রথম লেগে। দ্বিতীয় লেগ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে জোস ফিনাট এ এসক্রিভা দে রোমানি ( স্পেনের নিরাপত্তা প্রধান) বার্সার ড্রেসিং রুমে যান আর প্লেয়ারদের বলেন " ভুলে যেও না তোমারা শুধু এ জন্যই খেলতে পেরেছ কারন বর্তমান সরকার তোমাদের দেশদ্রোহিতাকে ক্ষমা করেছে" । রেফারি প্লেয়ারদের বলেছে কোন রকম হেরফের করলেই তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। রিয়েলের সাপোর্টাররা বার্সার গোলরক্ষককে পাথর মারে। সেই ম্যাচে রিয়েল জিতে ১১- ১ তে।


বার্সেলোনার ইতিহাসে আছে বিদ্রোহ, কাছে সংগ্রাম, আছে বিশ্বাসঘাতকতা , আছে ত্যাগ । অনেক বাধা পেরিয়েই বার্সা আজ পৃথিবীর সেরা ক্লাবগুলোর একটি। পৃথিবীর সেরা প্লেয়ারদের স্বপ্নের ক্লাব।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

রাতুল_শাহ বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

জিএমফাহিম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: কেটেলিনিয়া স্বাধীন হয়ে গেলে তো বার্সা আর স্প্যানিশ লীগে খেলতে পারবে না......। তার পরেও স্বাধীনতার পক্ষে কেটেলিনিয়ানরা ভোট দিল গত মাসে

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৫

জিএমফাহিম বলেছেন: কথা ঠিক, তাদের স্বাধীনতার পর বার্সেলোনার কি হবে সেটা নিয়ে অনেক চিন্তা আছে। স্প্যানিশ ক্লাব থেকে চলেই যেতে হয় তাহলে এর চেয়ে গৌরবময় বিদায় আর হতে পারে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.