নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম

জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।

জিএমফাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনার সময়ে নারীরা নিরাপদ ছিল না; আসুন পরিসংখ্যান দেখি

১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭



হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের নারীরা নিরাপদ ছিল এটা একটা মিথ

২০২৪ সালে বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের রিপোর্ট মতে, জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ এই সময়ের মধ্যে মোট ১ হাজার ৩৫১ জন কন্যা এবং ১ হাজার ৫৮৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়, যার মধ্যে ৬৩৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩১ জন কন্যা ও ২০৮ জন নারী। এ সময় ৬৯ জন কন্যাসহ মোট ১৪০ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২৫ জন কন্যা ও আট জন নারীসহ মোট ৩৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বিগত সরকারের সময় গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই জন ধর্ষণের শিকার হয়। আসাক এর তথ্যঅনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ধর্ষণ হয়েছে ৯৬টা; মানে গড়ে প্রতিদিন ১.৬।

বলাবাহুল্য বিগত সময়ে রিপোর্ট থেকে আসল সংখ্যার একটা বিস্তর পার্থক্য ছিল। বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ও এনজিওগুলো সে সময় পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তাছাড়া অনেক অলিপিবদ্ধ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা আছে যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতাশীলরা জড়িত ছিল। অনেককিছুই সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে আসেনি।

এখন প্রশ্ন যদি হাসিনার আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তুলনা হয় সেটা করা যায়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের এখনো সক্রিয় করতে পারছে না দেখেই এই ঘটনাগুলো সারাদেশে হচ্ছে আর বর্তমান সরকার সে জায়গায় অবশ্যই ব্যর্থ। আর এখানে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার বিশাল তফাৎ তৈরি হয়েছে।

কিন্তু আমরা যেন বর্তমানকে শুধরাতে গিয়ে অতীতের পিশাচদের ভুলে না যাই। তনুদের যেন ভুলে না যাই আমরা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যে ধর্ষনগুলো হচ্ছে এগুলো আম্লিগের নরপশুরা করছে। সব ধর্ষকই কোনো না কোনো ভাবে আম্লিগের সংগে যুক্ত।

১০ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯

জিএমফাহিম বলেছেন: ধর্ষণ একটা সামাজিক সমস্যা। আওয়ামী লিগের শাসনামলে নারীরা নিরাপদ ছিল না; এটা যেমন সত্য। ঠিক তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নিয়ন্ত্রণ দুর্বল থাকায় ধর্ষণের প্রবণতা বেড়ে যাচ্ছে এটাও সত্য। এখানে ধর্ষকরা শুধু আওয়ামী লীগ থেকেই আসছে এই দাবিটাও ভিক্তিহীন; বরং সমাজে নিরাপত্তার অভাব ধর্ষকদের প্রবনতাকে কমপ্লিমেন্ট করছে। ধর্ষকদের ব্যাকগ্রাউন্ড কিন্তু এক রকম না; এর মধ্যে অপরাধপ্রবণ নিম্নবিত্তের মানুষ যেমন আছে আবার মসজিদের ইমামও আছে । আমাদের এই সমস্যাকে আরও বুদ্ধিদীপ্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে আর সমাধানের জন্যে একাবদ্ধ হতে হবে।

২| ১০ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

অগ্নিবাবা বলেছেন: আপনাগো দেশে হাসিনা কেনো, হাসিনার অন্তর্বাসও সুরক্ষিত নহে। আবার ক্থা কয়।!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.