নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিক যখন অন্ধ হয়

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

সাংবাদিক জাতীর বিবেক। সাংবাদিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিক দুর্বলের শক্তি। সাংবাদিক বোবা কান্নার প্রতিধ্বনি। সাংবাদিক উন্নয়নের দিক নির্দেশনা।এমন অনেক কথা শুনেছি। পড়েছি। কিছু কিছু দেখেছিও বটে। কিন্ত কষ্ট হয় তখন; যখন কোন সাংবাদিক নাম ধারী বা কার্ড বহনকারীর কলম বা ক্যামেরা কারো দালালি করে শুধুই পয়সা কামানোর উদ্যেশ্যে। আবার ধনী ব্যাক্তিরা অন্যায় পথে তাদের ধন বাড়াতে গিয়ে সাংবাদিক বা সাংবাদিক সংগঠনের উন্নয়ন বা সহায়তার নামে টাকা দান করে তাদের অন্ধ করে দেয়। অর্থ কষ্টের কথা ভেবে অনেকে মেনেও যায়। কেউ আবার গুপ্ত হত্যা,সন্ত্রাসী আক্রমন, মামলার হয়রানি, নিজেদের ছেলে মেয়ে পরিবার পরিজনের কথা ভেবে আর কোন ঝুকি নিতে চায় না।তা ছাড়া রাষ্ট্র যন্ত্র সাংবাদিকের নিরাপত্তার কথা বল্লেও কার্যত সময় মতো তারাও ছেপে ধরতে ভুল করে না। এসব ভেবে সাংবাদিকের কলম হয় নিথর। চর্ম চক্ষু খোলা থাকলেও অন্তর চক্ষু হয় অন্ধ। যে চোখ তখন ভাষা হারায়। তখন কষ্ট হয়।

মফস্বল সাংবাদিকদের ঐক্য, পারস্পারিক সহযোগীতা বা সহমর্মিতার অভাবে তারা বরাবরেই সব ক্ষেত্রে নির্যতিত।

নিজে একা ভাল থাকতে চায় । কিন্তু বাস্তবতায় তা কখনো হয় না। এমন কি যে পত্রিকায় কাজ করে তারাও প্রাপ্যটা দেয় না। বিবেচনায় নেয় না একজন মানুষ সৎভাবে বাঁচতে তার কি প্রয়োজন। অবশ্য এরই ধারা বাহিকতা দীর্ঘযুগ ধরে। নতুন করে যারা এ পেশায় আসছেন তারা কেন এ পেশার পাশা পাশি সম্ভাব্য অন্য কাজ করে না। অথবা এ পেশায় প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে না। জীবন জীবিকার প্রয়োজনে আপশ করছে অনেক অনিয়মের সাথে। অন্ধ পাহারাদার হয়ে বাড়ীর সামনে শুধুই বসে থাকা। এ অবস্থা আর কত দিন?

ছাত্র জীবনে বেশ কয়েক বন্ধু মিলে অভিজ্ঞ এক রাজনৈতিকের বাসায় বসে দিক নির্দেশনা নিচ্ছিলাম। এক সময় ছাত্র বয়সী নেতার এক নিকটআতœীয় এসে তাঁকে ছালাম দিয়ে আগমনী সংবাদ দিলেন। নেতা কৌশল বিনিময় শেষে জিজ্ঞাসা করলেন,‘ এখন কি কর? উত্তর আসলো রাজনীতি করি। নেতা রশিকতা করে বললেন‘শালার পুত রাজনীতি মূল কাজ নয়। জানতে চেয়েছি-পড়ালেখা কর না, চাকরী বাকরী কর।’ শেষে আবার আমাদের উদ্যেশে বললেন ‘এমন রাজনৈতিক কর্মীদের কারনে দেশের এ করুন দশা। যারা রাজনীতি করেই জীবিকা নির্বাহের পথ খুজে।’

যে কথা বলছিলাম-

বাংলাদেশে গনতন্ত্রের বাতি নিভু নিভু করছে। যে টুকু এখনো ঠিকে আছে সাংবাদিকদের দুবল চাহনির ফসল। অবশ্য কোন কোন রাজনৈতিকগন এ কথা নিজে বলেন; আবার নিজে গনতান্ত্রিক ঝান্ডাকে আগলে রাখার আপ্রান চেষ্টা করেন। কিন্তু বাস্তবতার কারনে সাংবাদিক অন্ধ দারোয়ানের মতো দাঁড়িয়ে মজুদদারের সংবাদপত্র নামক কাগজের পাহারাদারের ভুমিকা পালন করতে দেখা যায় ।কোন কোন বিজ্ঞজন রাষ্ট্র স্বীকৃত বুদ্ধিজীবি হয়ে দলের বা অর্থ ভৈববের মালিকের চাহিদার পত্রিকার কান্ডারী হয়ে নিজে ভাল আছেন বলে ভাব দেখান। আসলে কি ! অবশ্য এ কথা সত্য- তারা নিজেরা একা কিছু করার ক্ষমতা নাই। তাই বলে একই মনের কিছু লোককে এক করে যদি কিছু তৈরী করতে পারতেন তবে একটা উদাহরন তৈরী করা যেত।কারো কারো থেকে আপানার সাধুবাদ বেশী; কারন আপনিতো কিছু লেখার জায়গা তৈরী করতে পেরেছেন। এখান থেকেই আপনাকে দায়িত্ব নিতে হবে।

আসুন না।

ভাবুন না। আপনার নীরবতা । আপনার অন্ধত্ব। প্রচেষ্টার অভাবে বিভাজন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে মোশাহেবী লোকের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তির হাতে প্রকৃত দায়িত্ব না পড়ে প্রত্যাশিত ফলাফল থেকে আমরা বঞ্চিত হয়ে চলেছি। জাতিকে বাঁচান্ দেশকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখেন। তবেই আপনি সার্থক পাহারাদার।আপনি অন্ধ হতে পারেন না।



লেখকঃ সাংবাদিক ও কলাম লেখক

নোয়াখালী

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.