| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
মুক্তি যোদ্ধারা এখন কি করবে।রাজনৈতিক অবস্থার কারনে মুক্তিযোদ্ধারা নানা শিবিরে বিভক্ত। অবার একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধার তালিখা প্রনয়ন। বিভিন্ন সময়ে নানা সরকার এসে মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন নতুন তালিখা করেছে,যোদ্ধা নয় এমন লোকের নামও তালিকায় এসেছে বলে আবার মুক্তিযোদ্ধারাই অভিযোগ করছে । আতœঘাতি মূলক কথাবার্তায় নিজেদের শিবিরে আগুন। সম্প্র্রতি শুরু হয়েছে যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কাজ। এ নিয়ে চলছে দলীয় রেষারেষি। এ ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধাদের ভুমিকা কি হবে বা তারা কি করবে এটি দেশপ্রেমিক সাধারন জনগন দেখার অপেক্ষায়।
কিছুদিন আগে দেখলাম ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধার সংবর্ধনা নামের জমায়েতকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড। নিজে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে অপরাপর মুক্তিযোদ্ধাদের ঘায়েল করার চেষ্টা। আবার যারা পাঞ্জাবী রেজাকারের হাতে অত্যাচারিত- কলঙ্কিত হয়েছে , আজ স্বার্থের প্রয়োজনে সে ব্যাথা ভূলে গেছে বলে মনে হলো। এ কিসের নেশা ?
যারা সহায়তা করে অথবা নিজেরাই মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ী- ঘরে আগুন দিয়েছে, এদেশের মা-বোনদের ইজ্জত লুটেছে। এদেশের মুক্তি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে সর্বপুরী এদেশের বুদ্ধিজীবি হত্যা করে দেশকে মেধাশূন্য করার নেশায় মত্ত ছিল।তারা বা তাদের সহযোগীরা স্বাধীনরাষ্ট্রের পতাকা লাগিয়ে গাড়ী চালাতে দেখেছি। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধিত করার কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। বাংলাাদেশকে স্বাধীন করার চেষ্টার অপরাধে যারা মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, দেশবাসির রক্ত দিয়ে হলি খেলেছে। তাদের বা সহযোগীদের বিচারের নামে যে কান্ড শুরু হয়েছে, সেদিনের মুক্তি যোদ্ধারা আজ কি করবে এখনই দেখার সময়।যুদ্ধাপরাধের কলঙ্ক মাথায় দিয়ে যদি অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করা হয়,তাওকি মুক্তিযোদ্ধারা বসে দেখবে?
গ্রামের চা দোকানে বসে এমন কথা বার্তার মাঝে হঠ্যাৎ শুনা গেল-- মফস্বলে থাকি। ঢাকার কথা বলে লাভ কি। ব্যংচিয়ে বললেন দিন মুজুর শাহাব উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যার বয়স ১৫ কি ১৬। স্বাধীনতা বিরুধী যে সকল রাজনৈতিক দলের কর্মী বা তাদের অনুসারীরা এ যুদ্ধকে আজো গন্ডোগলের বছর বল্লে ক্ষেপে যায়। শাহাবউদ্দিন থাকে শহর তলীর এক গ্রামে। তার গ্রামের কথা অবতারনা করে বল্লেন, যাকে দেখেছি স্বাধীনতা আন্দোলনের সংগঠকের বাড়ীতে/ ঘরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছে ,সে লোকের টাকায় ক্রেষ্ট কিনে মুক্তিযোদ্ধারা ভাগ করে নিয়েছে।অবশ্য টাকা সেই রাজাকার একা দেয়নি। আয়োজনে শরীক ছিল এ যুগের ধর্নাঢ্য সমাজ সেবকরা। যুদ্ধ সময়ে যাদের অনেকের পরিবার রাজনীতি নিয়ে ভাববার সূযোগ ছিল না। যদিও কেউ ভেবেছে তা ছিল স্বাধীনতা পরিপন্থি। যাদের আজকের রাজনীতি ব্যবসামূখী বলে তাদের সমর্থিত দলের নেতা কর্মীরা বলে থাকে। তাদের অনেককে সমাজ সেবাতো দুরের কথা সমাজকর্মেও দেখা যায়নি।বিত্ত বৈভবের মালিক হলেই নিজ খুশিতে সমাজের মানুষরুপী কিছু প্রানীকে ক্ষুধার্থ চার পায়া জীবের মতো পিছনে হাটানো যায়। এমন বিবেচনায় নিজ ভাবনার কাজ গুলি পূরনের জন্য দান দক্ষিনাও দিয়ে যাচ্ছেন।
লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক
০১৭১৪৮৪০৮৯৪
Email:[email protected]
©somewhere in net ltd.