নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাংবাদিকের প্রতি প্রশাসনের অমর্যাদাকর আচরন

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

দেশের নানা পেশার পাশাপাশি সাংবাদিক পেশায় অনেককে আসতে দেখে সূখ বোধ করি। কিন্তু কষ্ট পাই যখন দেখি সাংবাদিক পরিচয়ের কোন ব্যক্তি কারো কাছে অবমূল্যয়িত হয়। আরো বেশী কষ্ট পাই যখন দেখি অন্য সাংবাদিক বন্ধুরা তা দেখে বা শুনে নির্বাক থাকে। সিনিয়রা থাকেন ভাবে গম্ভীর। আর জুনিয়রা দাঁত বের করে হাসে।কেউ বুঝতে চেষ্টা করে না এ অমর্যাদা কার। যাঁরা জাতীকে দিশা দেয়ার মতো সৌভাগ্যবান পেশায় জড়িত। তারা নিজেরাই পদলোভে আত্বসার্থে বিভোর হলে এমন হাল বাড়বে বৈ কমবে না।

গত ১৩ডিসেম্বর দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকায়‘ বসে বসে বেতন নিচ্ছেন বোয়িংয়ের ইনস্ট্রাক্টাররা’ শিরোনামের সংবাদে উঠে আসে ২ বছরে ২ কোটি টাকা গচ্ছা গেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদক বিমানের পরিচালকের সাথে কথা বলতে চাইলে, বিমানের পরিচালক সফিকুর রহমান বলেন- বোয়িংয় কোম্পানীর ইনস্ট্রাক্টররা বসে বসে বেতন নিলে দৈনিক ডেসটিনিরতো কোন ক্ষতি করছে না।

১১ ডিসেম্বর দৈনিক নিশান পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম‘ সংবাদকর্মীর সাথে ম্যাজিষ্টেট্রের অশোভন আচরন, ডিসি শুনেও না শুনার ভান। বেসরকারী রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা’ অনুযায়ী জানা যায় ৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী গার্লস স্কুলে অুনষ্ঠিত সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা বিষয় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ম্যাজিষ্টেট প্রদীপ শিংহ অসহযোগীতা এবং দুরব্যবহার করে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানোর পর তিনি বল্লেন অন্য কোন সাংবাদিকের তো দেখি না পরীক্ষা নিয়ে মাথা ঘামাতে।নোয়াখালীতে মন্ত্রী আছে । মন্ত্রীর পোগ্রাম কাভারেজ না করে কেবল পরীক্ষা নিয়ে আছেন?

নোয়াখালীতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলক থেকে খসে পড়েছে ৬৬ জন শহীদের নাম, দেখার কেউ নাই--- এমন শিরোনামে চলমান নোয়াখালী ওসমকাল পত্রিকায় সংবাদ লিখেছিলেন সাংবাদিক,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রুদ্র মাসুদ।প্রতিবেদক সংবাদ টি লিখার আগে জেলা গর্নপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাসিমূল আলমের সাথে কথা বলতে চাইলে, তিনি বিষয়টি জানেন না বলেকৌশলে এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলার পরামর্শ দেন বলে প্রতিবেদক উল্লেখ করেন।

সংবাদ লিখতে গিয়ে এমন পীড়া দায়ক আচরন আর সংবাদ পড়ে বিচিত্র মানবের সন্ধান জানতে পারাকে কি ধরনের জ্ঞান অর্জন বলবো বুঝে উঠছি না। এর বাহিরে আছে ভাগে ফেলে পুলিশের কান্ড। দলীয় রেষা রেষিতে পুলিশের বিতর্ক ভুমিকার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রায়শই সাংবাদিক আহত হয়ে হাসপাতালে দিন গুনে।তার পরিবার পরিজন দেখার দায়ীত্ব একবারেই আল্লার উপর ন্যাস্ত হয়ে যায়।

এমন কষ্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে এ লেখাটা শেষ করার আগে সংবাদ শীরোনাম হলো, সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনী।

কি অপরাধ শিশু বাচ্চা মেঘের। অবশ্য প্রথম প্রথম বেঁচে থাকা সাংবাদিকগনের লেখার খোরাক হয়েছে বটে। কিন্ত প্রাপ্তীটা কি !গভীর ভাবে কে ভাববে ? সাংবাদিকদের জনকের দাবীদার বা একাধিক সংবাদপত্রের জনক খ্যাত পন্ডিত জনেরা কে কাকে ছাড় দিচ্ছেন। পেশাগত অবস্থান থেকেই তো বিচ্ছিন্ন।শুধু মাত্র ক্ষমতা বা পদের লোভে দেথতে ফেরেস্তার মতো মানুষটি কায়া পালটায়। যা ভাবতে লজ্জা হয়। ছোট বেলায় পড়েছিলাম দশটা লাঠি এক সাথে রাখলে ভাঙ্গা যায় না। যে গুলি একলা রাখলে ভাঙ্গা সহজ। আজকে বিজ্ঞজনদের কান্ড দেখে মনে হয় সে দিনের শিখা ভুল ছিলো বোধ হয়। না হয় কেন আমাদের অগ্রজ বা জ্যেষ্ঠদের টনক নড়ছে না।



গোলাম মহিউদ্দিন নসু

সাংবাদিক ও কলাম লেখক

নোয়াখালী

Email- [email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.