নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবস্থাপনা ও নিরপত্তার অভাবে পর্যটন সম্ভাবনা হারাচ্ছে মুছাপুর ক্লোজার

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০



গোলাম মহিউদ্দিন নস,নোয়াখালী

অব্যবস্থাপনার কারনে দূর্ভোগ আর নিরাপত্তাহীনতায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ মুছাপুর ক্লোজার এলাকা পর্যটন সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলছে। সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে হতে পারে সরকারের রাজস্ব আয়, সৃষ্টি হতে পারে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সূযোগ।

২০০৩ সাল থেকে এ যাবত অন্তত হাজার কোটি টাকা খরচ করে সরকার নির্মান করে মুছাপুর ক্লোজার। লক্ষ্য ছিল, নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে লবনাক্ত পানি প্রবেশ বন্ধ হবে, সামুদ্রিক জলোচ্ছাসে প্রকল্প এলাকার ফসল ও জানমাল এবং বিদ্যমান অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে। বর্ষাকালে বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে। আবার শুষ্ক মৌসুমে নদীর উভয় তীরে প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করা যাবে। ফলে অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হবে ২.৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে, ভূমি পুনরুদ্ধার ও নদী ভাঙ্গন রোধ হবে। ছোট ফেনী নদীতে প্রায় বার মাস মিঠা পানির মাছ চাষ করা যাবে।
মুছাপুর ক্লোজার নির্মানের পর গত কয়েক বছর থেকেই বিভিন্ন এলাকার পর্যটকরা এখানে আসতে শুরু করেছে। বিশেষ করে এ বছর যে হারে মুছাপর এলাকায় মানুষের ঢল নেমেছে তা অভাবনীয়। কিন্ত ক্লোজার এলাকায় কোন ছাউনী, হোটেল- খাওয়ার দোকান এমনকি কোন ধরনে বিশ্রামের জায়গা, টয়লেট বাথরুম না থাকায় দর্শনার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। পর্য়াপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা না থাকায় বিকালেই ফিরতে হয় দর্শনার্থীদের। নোয়াখালী জেলা শহরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসার রাস্তারগুলি চরম ভাবে বিধ্বস্ত ও সরু। যান চলাচলের অনুপোযোগী।
ঢাকা থেকে নোয়াখালীর আত্বীয় বাড়ী বেড়াতে আসা ডাক্তার আহাম্মদ হোসেন হারুনের স্ত্রী পরিবারের সকলকে নিয়ে মুছাপুর এলাকা দেখতে গিয়ে রীতিমত ক্ষেপেই গেছেন। যেখানে বসার জায়গা নেই, রৌদ্রে-বৃষ্টিতে আশ্রয় নেয়ার জায়গা নেই, টয়লেট নেই-এমন জায়গা যতই সুন্দর হোক কোন মানুষ সেখানে যাওয়া উচিত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

গত(১৭ সেপ্টেম্বর) শনিবারে বেড়াতে নিয়ে এসে প্রেমিক দিলীপ ক্লোজার এলাকার পার্শবতী বাগানে নিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষন করে। স্থানীয় বখাটেরা টের পেলে মেয়েটি এক পর্যায়ে গন ধর্ষনের শিকার হয়। রাত ১০টায় পুলিশ সংবাদ পেয়ে স্থানীয় মেম্বারসহ মেয়েটিকে পুলিশ উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় পর্যটকদের দাবী এখানে পুলিশি নজরদারী বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
ঠিকাদার ইসমাইল মিয়া বলেন তিনি অনেকবারই সেখানে গিয়েছেন। সরকার পরিকল্পনা করে যদি থাকা-খাওয়া সহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে তবে এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে॥ রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন ঘটবে। স্থানীয়দের আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পেয়ে জীবন-মানেরউন্নয়ন ঘটবে। এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সামুদ্রিক পর্যটন এলাকা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
মুছাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক চৌধুরী বলেন, এখানের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো দরকার। দর্শনাথীদের নিরাপত্তায় একটি ফাঁড়ি থানা করা খুবই জরুরী।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, এটি একটি পর্যটন সম্ভাবনাময় এলাকা ছিল। এটির উন্নয়নে স্থানীয় সাংসদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদেরের সাথে আলোচনা হয়েছে। কিন্ত এখানের নদী এলাকার কিছু অংশে পলি জমে চর জাগতে শুরু করেছে বিধায় পর্যটনের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মান বিষয়ে আপাততঃ ভাবনা নেই। তবে যেহেতেু এখানে প্রতিদিন প্রচুর দর্শনাথী আসে। তাদের নিরাপত্তায় অস্থায়ী ফাঁড়ি বসানো হয়েছ্ েযা স্থায়ীভাবে করা হবে। এখানে দুটি লেট্রিন ইতোমধ্যে তৈরী করা হয়েছে।#


০১৭১৪৮৪০৮৯৪
তারিখ ১৯.৯.১৬

ব্যবস্থাপনা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.