| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী(
নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত প্রার্থী রয়েছে ৪ জন। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক,মুক্তিযোদ্ধা সেন্ট্রাল কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এবিএম জাফর উল্যা।তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি।
দলীয় সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট চ্যালেঞ্জে রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের ক্যাশিয়ার দাবীদার ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম মন্টু,জেলা সহ সভাপতি দাবীদার ডাঃ একেএম জাফর উল্যাহ। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি(মঞ্জু) সমর্থক এডঃ মীর মোশাররফ হোসেন মিরন।
সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে ১৫ জন এবং সাধারন মেম্বার পদে ৭৩ জন নির্বাচন করছেন ।
প্রার্থীরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ভোটারদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে। তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নিয়ে ভোটারগন বিপাকে রয়েছে।বিএনপি ভোট করছে না বিধায় আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর নিশ্চিত বিজয়কে চ্যালেঞ্জ করতে চাইছেন আওয়ামীলীগের অন্য নেতারা। ফলে দলীয় বিশৃঙ্খলা তৈরী হয়েছে। নিজেদের কাদাছোঁড়াছুড়িতে প্রকাশ হচ্ছে নানা কথা।
এবিএম জাফর সমর্থরা বলছে, ফখরুল ইসলাম নব্য আওয়ামীলীগার-যাকে হাইব্রিডও বলেন অনেকে। যাঁর কোন রাজনৈতিক অতীত নাই। একেএম জাফর উল্যা নাম সর্বস্ব আওয়ামীলীগার,জেলা ব্যাপী তাঁর কোন কর্মকান্ড নেই। আবার অন্যরা ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাকে বলছেন, তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থেকে ১৩ বছর যাবত সম্মেলন করছেন না। মূল দলের সম্মেলন না হলে যুবলীগ,ছাত্রলীগের বিভিন্ন শাখার সম্মেলন হয় না। ফলে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয় না। এ জন্য দলের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র নেতারাই দায়ী। এসব কারনকে উছিলা করে বেগমগঞ্জে উপজেলা ,পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় নেতাদের গ্রুপিং দেখা গেছে। অবশ্য মেয়র-এমপির অনুসারী ছাত্রলীগ- যুবলীগের কর্মীদের কমিটির দ্বন্ধ চোখে পড়লেও ডাঃ জাফরের নাম শুনা যায়নি।
জেলায় আওয়ামীলীগের আভ্যান্তরিন দ্বন্ধের কারনে উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ভোটে কয়েকটি আসন হারাতে হয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন।
ইতোমধ্যে বিভিন্ন ধরনের কর্মী সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আ.ন.ম খায়রুল আনম সেলিমসহ জেলা পর্যায়ের অনেককেই ডাঃ এবিএম জাফর উল্যার গন সংযোগ কর্মকান্ডে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলমি সমকালকে বলেন, আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী ডাঃ এবিএম জাফরউল্যাহ। দলের নেতাকর্মীরা তাঁর জন্য কাজ করছেন।একেএম জাফর উল্যাহ সম্পর্কে তিনি বলেন,‘(তাঁর ভাষায়)সে আওয়ামীলীগের কেউ নয়। সে মূলত জাসদ করতো। সম্প্রতি নিজেকে আওয়ামীলীগ পরিচয় দেয় বলে শুনেছেন। এবং ফখরুল ইসলাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,সে তো রাজনৈতিক ব্যক্তিই নয়। টেনে এনে তাকে ট্রেজারার(ক্যাশিয়ার) করা হয়েছিল। তবে সে পদ থেকে রিজাইন(পদত্যাগ) দিয়েছে। তিনি নিশ্চিত ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাহ বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে একাধিক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বলেন, প্রার্থীদের অভিজ্ঞতা-দক্ষতা ও দলীয় পরিচয় বিবেচনায়, তাছাড়া বেগমগঞ্জসহ উত্তর অঞ্চলের একক প্রার্থী হিসাবে ডাঃ এবিএম জাফর উল্যা নিবার্চিত হবেন বলে তারা মনে করে।#
©somewhere in net ltd.