| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালী(দক্ষিন) প্রতিনিধি
মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় সাবেক বেগমগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যাকে অন্তভর্’ক্ত করা হয় নাই।সে কারনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাচাই কমিটির বিরুদ্ধে নানা প্রকার অম্লীল,কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দেয়ার অভিযোগ করে এর প্রতিবাদ করেছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
বৃহস্প্রতিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,-যুদ্ধকালীন বেগমগঞ্জ থানা বি.এল.এফ কমান্ডার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির সদস্য,সাবেক পৌর কমিশনার আবদুল মান্নান। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেম বিএ,মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিক উল্যা(নেতা রফিক),মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুর রব।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল মান্নান জানান, দেশ স্বাধীনের ৪৬ বছরে ৪ বার মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রনীত হলেও ভিপি মোহাম্মদ উল্যা কখনো নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করেন নাই। বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে তালিকা ভ’ক্তির আবেদন করে। যাচাই-বাচাই কমিটির ৫ সদস্যের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ভ’ক্ত করা হয় নাই। সে কারনে তিনি সামাজিক যোগাযোগ ফেইস বুকের মাধ্যেমে এবং পোস্টার ব্যানারের মাধ্যমে নানা মিথ্যা ,অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ন বক্তব্য দিতেছেন।
তার এ সব বক্তব্যের প্রতিবাদ করে প্রসঙ্গত তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭০ সালে চৌমুহনী ছালে আহাম্মদ কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগের মনোনীত পরিষদের বিরুদ্ধে ইসলামী ছাত্র সংঘ,এন.এস.এফ ও যৌথ ছাত্র সংস্থার সমর্থন নিয়ে মোহাম্মদ উল্যা ভিপি নির্বাচিত হন। যুদ্ধকালীন সময়ে কিছুদিন আত্বগোপন করে পরবর্তীতে হাজিপুরের মরহুম খালেক মিয়া ও মুসলিমলীগ নেতা মরহুম গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনা বাহীনির নোয়াখালী প্রধান মেজর বোখারীর কাছে আত্বসমর্পন করে। সে সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধ,আওয়ামীলীগ ও নৌকা মার্কার নানা সমালোচনা করেন এবং অনেক আওয়ামীলীগ নেতাকে আত্বসমর্পনের চেষ্টা করেন।৭ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্ত হলে ৭০/৮০জন রাজাকারের সাথে ভিপি মোহাম্মদ উল্যাকে বন্দী করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুর রব আরো বলেন, তিনি নিজেই চৌমুহনী বড় মসজিদ এলাকা থেকে তাকে আটক করে কমিশনার আবদুল মান্নান কমান্ডরের ক্যাম্পে নিয়েছিলেন্। রাতের বেলায় অজ্ঞাত ভাবে তিনি পালিয়ে গেছেন।পরবতী সময়ে তিনি আবারো আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে নিজেকে জড়িত করেন।
মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিপি মোহাম্মদ উল্যা বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে উল্লেখিত সকল বক্তব্য সম্পূর্ন মিথ্যা ,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, কেউ যদি এসব বক্তব্য প্রমান করতে পারে আগামী জীবনে আর কখনো রাজনীতি করবেন না। এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য তিনি সাংবাদিকদের সাথে বসবেন বলেও জানান। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে,এ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তিনি বুধবার চৌমুহনীতে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আহব্বান করে ছিলেন। স্থানীয় এমপি ও বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনুরোধে তিনি তা স্থগিত করেছিলেন।
বৃহম্প্রতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় একাধিকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের ব্ক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

©somewhere in net ltd.