| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালী(দক্ষিন)প্রতিনিধি
নোয়াখালীর পৌরসভার গুপ্তাংকে বিমল দের মালিকীয় ৩০ লাখ টাকার মূল্যের ৫ শতাংশ ভূমি বিশ্বনাথ কর্মকারের ছেলে তনুলাল কর্মকার প্রতারনার মাধ্যমে আত্বসাৎ করত দখলের চেষ্টা করছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিমলের ছেলে গোবিন্দ্র চন্দ্র দে সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, ১৯৮৫ সালের ১৩ মার্চ তার পিতা বিমল দে, সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের ৪৪৫৯ নং দলিলমুলে নোয়াখালী পৌরসভার ১০৯ নং গুপ্তাংক মৌজায় ১০ ডিসিমেল সম্পত্তির মালিক ও ভোগ দখলকার রয়েছে।
গত ২৮ মার্চ ২০১৮ সালে গোবিন্দের পিতার সাথে প্রতরনা করে একই এলাকার বিশ্বনাথের পুত্র তনুলাল কর্মকার ঔ সম্পত্তি হতে ৫শতাংশ সম্পত্তি ১৪৬৬৯ নং এওজবদল দলিলমূলে রেজিষ্ট্রি করেন। এওজকৃত সম্পত্তির পরিবর্তে অশ্বদিয়ার ১৫২ নং শ্যামপুর মৌজার ৩০ ডিসিমেল সম্পত্তি তার পিতার অনুকুলে রেজিষ্ট্রি প্রদান করেন।
এওজ মূলে মালিকীয় সম্পত্তি ভোগ দখলে গেলে জানতে পারেন যে, ওই সম্পত্তিতে তনুুলাল কর্মকারের আদৌ কোন মালিকানা নেই এবং কোনকালেই ছিলো না। ঔ সম্পত্তি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জনৈক আবুল খায়েরের মালিকীয় ও ভোগদখলীয় সম্পত্তি হয়। আবুল খায়ের ওই সম্পত্তি বিগত ১৪ জানুয়ারি ১৯৮২ সালে ৭৮৭ নং রেজিষ্ট্রি কবলামুলে মালিক ও ভোগ-দখলকার হয়েছিলেন এবং আছেন। যাহা তনুলাল কর্মকারের পরিকল্পিত প্রতারনা ও স্পষ্টত প্রবঞ্চনা কর্ম বলে অভিযোগ করেন গোবিন্দ।
গোবিন্দ বলেন, তারা তনুলাল কর্মকারের উপরোক্ত শঠতা, জালিয়াতি, নৈরাজ্য, প্রবঞ্চনা ও প্রতারনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এর সুষ্ঠু সমাধান করে দেবেন, দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করেন। একপর্যায়ে তার পিতার সম্পাদিত দলিল ফেরত না দিয়ে উল্টো তনুলাল কর্মকার গোবিন্দ পরিবারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে উক্ত প্রতারক তনুলাল কর্মকারের বিচার চেয়ে এবং তাদের প্রকৃত মালিকীয় ও ভোগ দখলীয় সম্পক্তিতে যাতে কোন রকমের শান্তি, শৃঙ্খলা বিনষ্ট এবং কোন রুপ জবর দখল করতে না পারে সেজন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, নোয়াখালী আদালতে ১১২/২০১৮ নং পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় আদালত উক্ত ভূমিতে শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে নির্দেশ প্রদান করেন।
গোবিন্দ অভিযোগ করে বলেন, বিত্তশালী তনুলাল কর্মকার প্রত্যক্ষ অবৈধ সুবিধা প্রদানের বিনিময়ে সুধারাম থানা পুলিশ গোবিন্দ ও তার পরিবারের ওপর নানাভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও চড়াও হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় কোন মামলা না থাকার পরেও গত ৫ এপ্রিল তাকে সুধারাম থানার এস আই লিটন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় তাকে থানার বাথরুমের পাশে ৮ ঘণ্টা আটক করে রাখেন। এক জন ক্যান্সার রোগী বিধায় একপর্যায়ে গোবিন্দ থানার লকআপে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
পুলিশের উক্তরুপ বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা ও নির্মমতা দেখে তার পিতা এস আই লিটনের দ্বারস্থ হন। এ সময় তিনি তার পিতা ও তাকে, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলায় আসামী করে শায়েস্তা করবেনসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে চার লাখ টাকা দাবি করেন। তার পিতা পুত্রের জীবন রক্ষার কথা ভেবে এস আই লিটনের দাবি অনুযায়ী মাইজতি ইউসিবিএল শাখার দুটি চেক ও নগদ বিশ হাজার টাকাসহ সর্বমোট চার লাখ টাকা প্রদান করেন।
সর্বশেষ গত ৭ এপ্রিল তাদের মালিকীয় ও ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে তনুলাল কর্মকার ও তার সহযোগি ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে গোবিন্দ পরিবার সুধারাম থানা পুলিশকে জানালেও পুলিশ কোনরুপ সহযোগিতা করেনি।
গোবিন্দ পরিবার দাবি করেন,“ তারা আজ চরম নির্যাতিত। তনুলাল কর্মকার সম্পত্তি গ্রাস করার অপচেষ্টা করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা আমার পরিবারকে সর্বশান্ত করতে বিগত ২০১৭ সালে তার সঙ্গীয় গ্যাংসহ তার স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী শান্তারানী দে নোয়াখালী ও ১নং আমলী আদালতে (২১৯/ ১৭) মামলা দায়ের করেন। যে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন।”
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, একটি মিষ্টি দোকানের জনৈক মালিক থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গোবিন্দকে আনা হলে স্থানীয় কাউন্সিলর রতন কৃষ্ণসহ শালীশ করে ৪ লাখ টাকার মধ্যে মিমাংশা করে দিলে গোবিন্দকে পুলিশ ছেড়ে দেয়। এ ছাড়া তনুলালের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে এডিএম কোর্ট থেকে যে আদেশ এসেছে তার জবাব দেয়া হয়েছে। আইনী কোন সহায়তার নির্দেশ থাকলে তা করা হবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে তনুলাল কর্মকারের মুঠোফোনে কল করা হলে দোকান কর্মচারী রবি বলেন “তিনি দোকানে নেই।বাসায় অসুস্থ,তাছাড়া তিনি মোবাইলে কথা বলতে পারেন না।”

©somewhere in net ltd.