| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
নোয়াখালী পাসপোর্ট অফিসে চলছে সেবার মান বাড়নোর চেষ্টা
গোলাম মহিউদ্দিন নসু, বেগমগঞ্জ(নোয়াখালী)থেকে
বেগমগঞ্জের গাবুয়ায় নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসকে দালাল মুক্ত করে গ্রাহক সেবা সহজি করন করে -সেবার মান বাড়ানোর একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্ব”্ছতার সাথে সকল পর্যায়ে মিডিয়াকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা পেলে সেবার মান বৃদ্ধির উদ্যোগ সফল হবে বলে ভার প্রাপ্ত উপ-পরিচালক আল আমিন মৃধা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
নোয়াখালীর মাইজদিতে ১৯৯৮ সালে ভাড়া বাড়ীতে পাসপোর্ট তৈরীর কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১০ সালে বেগমগঞ্জের গাবুয়ায় এক একর জায়গায় নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম চালু হয়।ঔ বছরের ১১ এপ্রিল থেকে মেশিন রিডবল পাসপোর্ট(এমআরপি) তৈরীর কাজ শুরু হয়।নোয়াখালী ও লক্ষিপুর জেলার পাসপোর্ট এখানেই হয়ে থাকে।
নোয়াখালীতে পাসপোর্ট কার্যক্রম চালুর শুরু থেকেই দালাল দৌরাত্বে অতিরিক্ত টাকা আদায়,ঘুষ দূর্নীতির প্রচুর দুর্নাম ছিল। এমআরপি কার্যক্রম চালু হওয়ার পর এ দুর্নাম কমলেও বন্ধ হয়নি। দালালের মাধ্যমে কাজ না করে সরাসরি আবেদন জমা দিলে নানা ভ’লের অজুহাতে ফেরৎ দেয়া হয়। বিশেষ করে অশিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত এবং দুর থেকে আসা পাসপোর্ট গ্রাহকরা হয়রানি বা একাধিকবার আসার ভয়ে দালালের স্বরনাপন্ন হয়ে থাকে।
সম্প্রতি গ্রাহকদের হয়রানি দুর করে দালাল দৌরাত্ব কমাতে চালু করেছে অনুসন্ধান কেন্দ্র। প্রয়োজনে ০১৭৩৩৩৯৩৩৮১ নাম্বার থেকে মোবাইল সেবা দেয়া চলছে। চালু করা হয়েছে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র। যেখানে গ্রাহকদের বিনা মূল্যে ফরম সরবরাহ করে কলম,গাম.ষ্টাপ্লার থেকে শুরু করে ফরম পূরনসহ কাজটি সুসম্পন্ন করার সকল সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা কর হয়।ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ফরম পূরনের নমুনা কপি। যাতে গ্রাহকরা নিজেইরাই নিয়ম অনুযায়ী ফরম পুরন করতে পারে। চালু করা হয়েছে গ্রাহক অভিযোগ বা মন্তব্য গ্রহনের জন্য উন্মুক্ত রেজিষ্টার। যে কোন গ্রাহক গুরুত্বপূর্ন অভিযোগ জানাতে সরাসরি উপ পরিচালকের সাথে দেখা করতে পারেন। স্থানীয় কয়েকজন লোকের সাথে আলাপে জানা গেছে, গ্রাহকরা পূর্বের তুলনায় এখন বেশীর ভাগ লোকে নিজেরাই পাস পোর্টের কাজ করে থাকে। তবে অশিক্ষিত বা অর্ধ শিক্ষিত লোক জনের কাজ করে দিতে হলে পাস পোর্টের মূল টাকার চেয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ৬শ, পাসপোর্ট অফিসের জন্য ১১শ,নিজেদের জন্য ২/৩শ টাকা সহ হাজার দুয়েক টাকা বেশী নিতে হয়। যে অফিস সহকারীর সাথে যার সম্পর্ক আছে তাকে দিয়ে তারা এ ভাবে কাজ করে থাকে।
কোন কোন-কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, পাসপোর্ট অফিসে চাকরী পেতে বা বদলী নিতে এখনো উচ্চ মহলে মোটা অংকের টাকা দিতে হয়। যে কোন ধরনের দূর্নীতি করে মোটা অংক দিয়ে পার পাওয়া যায়। সে কারনে গ্রাহক সেবায় কর্মরতদের সৎ ও ঘুষ-দূর্নীতি মুক্ত করা কঠিন বা চ্যালেঞ্জ কর। ওপরের দূর্নীতির প্রভাব নীচেও পড়ে।
অতিরিক্ত পরিচালক আল আমিন মৃধা বলেন,কারা ঘুষ দেয়, কারা নেয় বিষয়টি অভিযোগ বইতে লিখে বা তাঁকে সরাসরি জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। তিনি যে কোন সমস্যায় তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ করছেন।
কয়েকজন মোহরার নির্ধারিত করে ফরম পূরন করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,গ্রাহকদের ফরম পূরনে একটি সেল করার জন্য উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। অনুমতি পাওয়া না গেলে নিজস্ব ব্যবস্থায় এ কাজটি করা যায় না ।কারন প্রতিদিন আড়াইশ থেকে তিনশ পাসপোর্টের আবেদন জমা হয়। যা লিখে দিতে কয়েকজন মোহরার দরকার। তাদের নিয়োগ বা ফরম পুরন ফি- কি হবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগবে।

©somewhere in net ltd.