| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোলাম মহিউদ্দিন নসু
মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।
ঈদের আগেই ন্যায্য ভাড়া চুড়ান্ত করতে নোয়াখালীবাসীর দাবী
গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী থেকে-
নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকা যাতায়তকারী গন পরিবহনে সরকার অনুমোদিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায় করছে। সোনাপুর থেকে ১২ কিঃমিঃ কম রাস্তা -বেগমগঞ্জের যাত্রী থেকেও একই ভাড়া আদায় করে। এর প্রতিবাদে নোয়াখালীবাসী বিভিন্ন ব্যানারে মানববন্ধন,প্রতিবাদ সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসকের নিকট ন্যায্য ভাড়া আদায় নিশ্চিত করন সহ ৫ দফা দাবী সম্বলিত স্বারক লিপি পেশ করে। দাবী সমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকাস্থ জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনেও মানব বন্ধন্ করে।
বাস মালিকের এহেন অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা ও রজমান মাসে ঈদের আগে পরে ৬০০-৭০০ টাকা ভাড়া আদায় করার অপরাধে বিআরটিএসহ নোয়াখালী জেলা প্রশাসন কয়েকটি কাউন্টারে একাধিকবার মোবাইল কোর্ট করে প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা জরিমান করেছে। সম্প্রতি প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে নোয়াখালী-ঢাকার ভাড়া বাবদ ৩৮০-৪০০ টাকা আদায় করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড টান্সপোর্ট অথারিটি,নোয়াখালী (বিআরটিএ)র অতিরিক্ত পরিচালক আতিকুর রহমান ও নোয়াখালী ট্রাপিক ইন্সপেক্টর(প্রশাসন) সাখাওয়াত হোসেনের সাথে পৃথকভাবে আলাপ করলে, তারা জানান এবিষয়ে বাস মালিকদের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা ভাড়া বৃদ্বির যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছে। চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত প্রশাসন দেয়নি। দ্রুততম সময়ে জেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের চেষ্টা করছে।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, নোয়াখালীর সোনাপুর জিরো পয়েন্টে সড়ক বিভাগের দেয়া নাম্বার প্লেটে লাকসাম রোড হয়ে ঢাকার দুরত্ব ১৬১ কিঃমিঃ।সরকারের বিআরটিএ বিভাগের সর্বশেষ অনুমোদিত ভাড়া তালিকায় ১.৪২ টাকা প্রতি কিঃমি ভাড়া হিসাবে ১৬১ কিঃমিঃএ মূল্য দাঁড়ায় ২২৮.৬২ টাকা। যে ভাড়ার সাথে মেঘনা-দাউন্দকান্দি ব্রিজ ২৬০ টাকা ও মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ৪৫০ টাকা হিসাবে ৭১০ টাকা ৩৬ জন যাত্রীর মধ্যে ভাগ হলে প্রতিজনে ১৭.৭৫ টাকা যোগ হয়ে মোট ভাড়া দাঁড়ায় (২২৮.৬২+১৭.৭৫) ২৪৬.৩৭ টাকা। কিন্ত নোয়াখালী বিআরটিএ ও ট্রাপিক অফিসে সংরক্ষিত ২০১৬ সালের মে মাসে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরিত সর্ব শেষ চিঠিতে ঢাকার দুরত্ব ১৯৫ কিঃমিঃ উল্লেখ করা হয়েছে এবং প্রতি কিঃমিঃ ১.৪২ টাকা উল্লেখ থাকলেও ১.৮১ টাকা হিসাবে ৩৫৩ টাকার সাথে ব্রিজ ও ফ্লাইওভারের ভাড়া যোগ করে ৩৭২ টাকার স্থলে ৩৮০ টাকা আদায় করছে। এ হিসাবে ১৯৫ কিঃমিঃ ভ’ল এবং কিঃমিঃ প্রতি ১.৮১ টাকাও অনুমোদিত নয়।ইতিপূর্বেও সরকারী অনুমোদনের বাহিরে ৩৫০ টাকা করে আদায় করেছে। বাস মালিকদের এ হযবরল হিসাবে কেন প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এমন প্রশ্নে, বিআরটিএ-র অতিরিক্ত পরিচালক আতিকুর রহমান জানালেন, দ্রুততম সময়ে জেলা প্রশাসনসহ এ বিষয়ে বৈঠক করে ঈদের আগে সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করা হবে।
নোয়াখালী-ঢাকা রোডের একুশে পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মানিক মিয়া মোবাইফোনে জানালেন, প্রশাসনের সাথে বৈঠক করে ,প্রশাসনের অনুমতি ক্রমে ৩৮০ টাকা করে ভাড়া নেয়া হচ্ছে। তবে তিনি অনুমতির কোন পত্র দেখাতে পারেননি।
এদিকে নোয়াখালীবাসির পক্ষে আন্দোলনের আহবায়ক ফাহিম মুনীম ৫ দফা দাবীগুলো উল্লেখ করে জানালেন-ভাড়া কমানোর দাবীতে আবারো উদ্যোগ নেয়া। ঈদের আগই এ ভাড়া চুড়ান্ত করনের জন্য তিনি জোর দাবী করেন। দাবীগুলো হলোÑ১. নোয়াখালী-ঢাকা রুটের বাস ভাড়া ইজঞঅ নির্ধারিত ভাড়ার আলোকে ২৫০ টাকা নির্ধারন করা হোক।২. নোয়াখালী-ঢাকা রুটের বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত নানা স্থানের ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করে যান চলাচলের জন্য উপযুক্ত করা হোক।৩. নোয়াখালী-ঢাকা রুটে উন্নত মানের বাস সার্ভিস চালু করার লক্ষ্যে যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করা হোক।৪. ঈদের সময় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।৫. ইজঞঅ কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিচারের আওতায় আনা হোক।#

©somewhere in net ltd.