নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু

মনের কথা- সত্য কথা- বাস্তবতা- গবেষণা- সমস্যা- সম্ভাবনা- ইতিহাস- ঐতিহ্য- স্থাপত্য- ফোক কালচার সহ ইত্যাদি বিষয়ে সাংবাদিকতার দৃষ্টিতে লেখা-লিখি।

গোলাম মহিউদ্দিন নসু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালীতে সরকারী ভাবে ৪-৬শ টাকায় কিডনী ডায়ালাইসিস

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১


গোলাম মহিউদ্দিন নসু,নোয়াখালী থেকে -
নোয়াখালী সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে চালু হয়েছে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার। এ সেন্টারে ৪ থেকে ৬শ টাকায় প্রতিদিন কিডনি ডায়ালাইসিসের সেবা পাবে অন্তত ৩০ জন রোগী।
নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি- নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সহেল, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যাহ, সিভিল সার্জন ডা. বিধান চন্দ্র সেন গুপ্ত, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নেপরোলোজি (কিডনি) বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ফজলে এলাহী খাঁনসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিশেষ সেবা বিভাগের উদ্বোধন করেন।
২৬ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ১০ দিনে ৪৬ জন রোগী রেজিষ্টেশন হয়েছে, যারা সাপ্তাহে ২দিন করে চিকিৎসা নিবেন। প্রথম দিনেই ফ্রি সেবা নিয়েছেন আরো ১১ জন।হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলার দক্ষিণ পাশে সাতটি কক্ষ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণের আওতায় এনে কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করা হয়েছে। দুইটি কক্ষে পাঁচটি করে মোট ১০টি হেমো ডায়ালাইসিস মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন কক্ষে পানি বিশুদ্ধকরণ (আরও) প্ল্যোন্ট, কিডনির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার জন্য স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর মেশিন।
কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টারের দায়িত্বে নিয়োজিত আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নেপরোলোজি (কিডনি) বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ফজলে এলাহী বলেন, সাপ্তাহের সোমবার ও বৃহস্প্রতিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আউটডোর রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা দেয়া হবে। ভর্তি রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে ।পুরো বিভাগে দুইজন কিডনি বিশেষজ্ঞ, দুইজন মেডিকেল অফিসার, বেশ কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক নিয়মিত থাকবেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া নয়জন সিনিয়র নার্স ও দুইজন টেকনিশিয়ান থাকবেন।রোগীদের সেবার পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে ক্লাস করবেন। জেলার সাধারণ মানুষকে ডায়ালাইসিস সুবিধা দেয়ার জন্য আন্তরিভাবে চেষ্টা করছি এবং করব। প্রসঙ্গত তিনি বলেন, জেলার ২-৩টি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস ব্যবস্থা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া বেসরকারিভাবে প্রতিবার ডায়ালাইসিস করতে খরচ হয় প্রায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। যা এখানে মাত্র ৪ থেকে ৬শ টাকায় করা হয়। এছাড়া একসঙ্গে টাকা প্রদান করা হলে ৩-৬ মাসের প্যাকেজ সুবিধাও দেয়া হবে। এখানে ডায়ালাইসিস কাজের প্রায় সকল সুবিধাই রয়েছে। তবে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব করা গেলে রোগীদের আর কোথাও যেতে হবে না। সে ল্যাব করার বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।
অধ্যাপক ফজলে এলাহী আরো জানান, দেশে প্রায় দুই কোটি লোক বিভিন্নভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। মোট ৮ লাখ রোগী নিয়মিত ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছেন। কিডনি রোগের একমাত্র চিকিৎসা হচ্ছে হয় নতুন করে কিডনি প্রতিস্থাপন না হয় ডায়ালাইসিস। সেক্ষেত্রে পুরো দেশে এ সেবার ব্যবস্থা একদম নগন্য। সরকারি-বেসরকারিভাবে মাত্র ১০১টি ডায়ালাইসিস সেন্টার রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন অন্তত পক্ষে ১০০০টি ডায়ালাইসিস সেন্টার।
ডায়ালাইসিস সেন্টার ইনচার্জ ডাঃ মোঠসী দ্রং এখানে কিডনী বিষয়ক সকল চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। যা নোয়াখালী বাসীর জন্য বিশেস সুযোগ।আগামীতে একটি আধুনিক ল্যাব করা করা গেলে -রোগীরা আরো বেশী উপকেৃত হবে।
চিকিৎসাধীন একাধিক রোগীর সাথে আলাপ করলে তারা জানায়, ঢাকার কিডনী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় ডায়লাইসেস করতে আড়াউ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকার মতো খরচ হতো। এখানে ৫শ টাকায় ডায়লাইসেসের কাজ করতে পেরে তার বিষন খুশি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. খলিল উল্যাহ জানান, সাধারণ মানুষকে সেবা দেয়ার প্রত্যয়ই মূলত বিভাগটি চালু করা হয়েছে। এটি গোটা নোয়াখালীবাসীর জন্য সুখবর। চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সঙ্গেই জেলার কিডনি রোগীদের সেবা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যনীতি অনুযায়ী জনগনের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছিয়ে দেয়ার কর্মসূচীতে এটি আরেকটি ধাপ।আগামীতে আরো উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন করে সেবার মান বৃদ্ধির চেষ্ট অব্যাহত থাকবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.