নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপেক্ষিতরা আপেক্ষিক মৌনতা।

০৪ ঠা মে, ২০১৫ রাত ১১:১৫

দেখেছেন ফটো টা?
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পাবলিক ট্রেনে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে থেকেই অফিসে যাচ্ছেন,
আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স কে দাঁড় করিয়ে রেখে
অফিসে যাচ্ছেন। আর তা দেখেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি..............................!!!
আমি বলছি না, এটা কেবল আমাদের ২ নেত্রীর দোষ, বরং আমি বলছি এটা আমাদের সকলের দোষ। কারণ, আমরা যখন ক্ষমতায় থাকি কিংবা আমাদের আশেপাশের কেউ ক্ষমতায় থাকে তখন আমরা তাদের পা চেটে মজা পাই, আর তারা ও পা চাঁটিয়ে মজা পায়। কারণ মজা পাওয়া টা আর মজা দেওয়াটা তখন আপেক্ষিক হয়ে যায়।
কয়েকদিন আগেই তো সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হল। কম বেশি সবাই দেখেছেন নেতারা নির্বাচনের আগে সবাই সবার বাড়িতে যেয়ে কত খোঁজ খবর রাখে, আবার অনেককে
দেখলাম অনেকের বাড়িতে যেয়ে ঝাড়ু দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার করে দিছে।
কি এক্কেবারে দরদ উতলাইয়া পড়ে, যে মানুষের ঘর ঝাড়ু দিয়া দেয়।
আরে মিয়া ভণ্ডামি বন্দ কইরা যা করলে লাভ হবে তা করেন.............................!!!
এতক্ষণ তো বললাম সিটি নির্বাচনের কথা, এখন বলি জাতীয় নির্বাচনের কথা।
আমরা দেখেছি নির্বাচন আসলেই ২ নেত্রী তবছি হাতে প্রচারনা শুরু করে।
খুব ভালো কথা, কারণ এমন আদর্শিক নেত্রী ই আমাদের দরকার।
কিন্তু কথা হচ্ছে, যেই না নির্বাচন শেষ হয়ে যায় তখন শুরু হয় লীলাখেলা।
এই ধরেন, বিএনপি জিতলে আওয়ামীলীগ এর উপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন,
আবার আওয়ামীলীগ জিতলে শুরু হয় বিএনপির উপর অমানুষিক নির্যাতন।
এখানে নির্যাতন করাটাই আপেক্ষিক হয়ে দাঁড়ায়।
এইবার একটু যুক্তরাষ্ট্রের/ব্রিটিশ দের দিকে যাই,
ওদের দেশে যেই হারুক জিতুক না কেন ওরা এক অপরকে বুকে মিলিয়ে নেয়।
এবং অপজিট পার্টি র কাউকে না কেউকে অনেক ভালো পোষ্টে পোস্ট দেয়।
আর আমাদের দেশে ভালো পোস্ট দেওয়া তো দূরের কথা, শুধু দৌড়ানি দেয়।
দুঃখিত, এক টপিক থেকে অন্য টপিকে চলে যাওয়ার জন্য।
যেটা বলছিলাম, মূলত জ্যাম নিয়ে বলছিলাম,
আমি দেখেছি, আমাদের পাবলিক রাস্তা দিয়ে যখন প্রধানমন্ত্রী কিংবা রাষ্ট্রপতি যায়, তখন কি এক অবস্থা যে হয়। আগে পরে মিলিয়ে কম করে হলে ও পাব্লিকের ১ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। এখন অনেকেই বলবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য এ বেবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু আমি বলবো এটা তেমন কোন ফলপ্রসু কারণ নয়। কারণ নির্বাচনের আগে এতো নিরাপত্তা ছাড়া এতো এতো সব করতে পারবেন, আর ক্ষমতায় গেলে পারবেন না কেন?
মানুষ চাইলে সব ই পারে, শুধু দরকার হল ইচ্ছাশক্তির।
একটি দেশের সব সমস্যা দূর করতে হলে জনগণের কাতারে আসতে হবে, তাইলেই সব সম্ভব। আপনি যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে জনগণের কাতারে না ই যেতে পারেন তাহলে কেন আপনি আমাদের জনগণের নেত্রী?
ঐ বার্ন ইউনিটে যেয়ে মানুষের হাতে টাকা তুলে দিলেই জনগণের নেত্রী হওয়া যায় না,
কিংবা ঐ জিয়ার মাজারে গিয়ে জিয়ার জন্য দোয়া করলেই জনগণের নেত্রী হওয়া যায় না,
জনগণের নেত্রী হওয়ার জন্য দরকার জনগণের কাতারে আসার।
আর তখন আর মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে না, মানুষ ই আপনার হয়ে ভোট চাইবে।
আমাদের মহৎ প্রাণ আজ বড় করে জাগতে শুরু করেছে, তাই আশা করা যায় খুব শিগগির আমরা আমাদের নেত্রীদের কে জনগণের কাতারে দেখতে পাবো।
মানবতা, আজ বড় গলায় চিৎকার করো তো, দেখি কত জোর আছে তোমার গলায়,
কত জোরেই বা চিৎকার করতে পারো তুমি,
কিংবা কয়জন ই বা তোমার ডাকে মন থেকে সাড়া দেয়???
জয় হোক সত্যের, জয় হোক মানবতার, আর জয় হোক এই বাংলার।
সবাইকে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
-----(গোলাম রাব্বানী)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.