নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'\'আইএস\'\' এর বরাত দিয়ে \'\'ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স\'\' করে আসছে অ্যামেরিকা !!!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

''ন্যাশনাল পলিটিক্স'' নিয়ে অনেক লেখালেখি করলেও ''ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স'' নিয়ে লেখালেখি টা আজ ই প্রথম শুরু করলাম। জাজমেন্ট এর ভার আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম !!!

আচ্ছা ''আইএস'' কি বা এটা কাদের সৃষ্টি?
''আইএস'' এর মানে হচ্ছে ইসলামিক ষ্টেট। সাধারণ মানুষের মতে এটা এমন একটা জঙ্গি সংগঠন যা কিনা ''শিয়া/সুন্নি'' ভিন্ন মতের কারণে মুসলমানদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। এবং অনেকেই বলে থাকেন ইসলাম কে বাস্তবায়ন করার জন্যই এদের আগমন।

আসল কথা হচ্ছে ''আইএস'' এমন একটি ইম্পরট্যান্ট টার্ম যাকে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকা ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স এ লিড দিয়ে থাকে। তার মানে খুব সহজ কথায় ''আইএস'' আমেরিকার সৃষ্টি। ইসলাম কে বাস্তবায়ন এর নামে ইসলাম কে ধ্বংস করাই ''আইএস'' এর প্রধান লক্ষ। এক্ষেত্রে অ্যামেরিকার সহযোগী দেশ হিসেবে আছে ইহুদী সমর্থিত ইসরায়েল।
ব্যাখ্যা গুলো শর্টকাটে নীচে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

রিসেন্টলি আপনারা হয়তো শুনেছেন সিরিয়ার সহায়তায় রুশ হামলায় লণ্ডভণ্ড হতে চলেছে আইএস। এতেই আরব কয়েকটি দেশ, পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইসরায়েলের মধ্যে বড় আকারে দেখা গিয়েছে উদ্ভেগ।

মজার ব্যাপার হচ্ছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ১২টি দেশের আন্তর্জাতিক জোট যেখানে এক
বছরের বেশি সময়ে আইএস এর পতন ঘটাতে পারে নি সেখানে রাশিয়ার পাঁচদিনের হামলায় কাহিল হয়ে পড়েছে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তাহলে ব্যাপার টা কি দাঁড়ালো? অন্যদিকে ''ওবামা/ওলাঁদ'' এই ঘটনার মোড় ঘুরাতে বলছেন ভিন্ন কথা। তারা এখন বলছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ''বাশার আল আসাদ'' কে অবিলম্বেই রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ''পুতিন'' ও কম যান না। তিনি তাদের কে লক্ষ করে বলেছেন বাশার কে ক্ষমতা থেকে সরতে বলার তারা কে?

এই ইস্যুতে মার্কিনদের পক্ষ নিয়েছে ফ্রান্স, ইসরায়েল, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ব্রিটেন পরোক্ষভাবে আর অনেকেই আছে।
আর রাশিয়ার পক্ষ নিয়েছে সিরিয়া, ইরান, তুরস্ক, ইরাক, চীন যথারীতি পরোক্ষভাবে আর অনেকেই আছে।

আমেরিকা বহুবার বলেছে ''আইএস'' কে পরাজিত করতে অনেক সময় লাগবে।
কিন্তু কথা হচ্ছে, ''আইএস'' কি এমন হয়ে গেলো যা মার্কিন সহ ১২ দেশ মিলে হামলা করার পরও তাদের উৎখাত করতে এত্ত সময় লাগে। আসল রূপ দেখা দিল ''আইএস'' এর বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণের পর। অনেকে এ কথাও বলেছেন ''আইএস'' বিরোধী অভিযানের নামে মার্কিন সেনারা প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে হত্যার সুযোগ খুঁজছে। কিন্তু সেটাকে রুখে দিতে যেয়ে সকল প্রস্তুতি সেরে ফেলেছেন ''পুতিন''। এর ফলশ্রুতিতে থলের বিড়াল বেরিয়ে আশ্ছে আর মার্কিনরা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা আর সম্ভব না।

এখানে সকল দেশের ই কিছু স্বার্থ আছে। যেমনঃ
---অ্যামেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন তথা পশ্চিমাদের স্বার্থ হচ্ছে, তাদের পরিকল্পনা মতো '‘নিউ মিডিলইস্ট’' আর অন্যভাবে বলতে গেলে আরব বিশ্বের মধ্যে ঝগড়া লাগিয়ে নিজেদের তেলের ট্যাংক ভরাট করা।
---রাশিয়ার স্বার্থ হচ্ছে, পুরাতন সেভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙ্গার গুঁটিবাজ অ্যামেরিকার প্রতিশোধ নেওয়া।
---চীনের স্বার্থ হচ্ছে, অ্যামেরিকা কে উৎখাত করে নিজেরা ''ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স'' এ লিড করতে।
---সৌদি আরব, বাহরাইন বা আরব আমিরাতের স্বার্থ হচ্ছে, ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত টাকার গরম দেখিয়ে বিপরীত শক্তির সাথে হাত মিলানো।
---ইসরায়েলের স্বার্থ হচ্ছে অ্যামেরিকার পা চাঁটা আর তারপর কোন একটা সময় স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার পর এই অ্যামেরিকার সাথেই পল্টি ণেওয়া।
---অন্যদিকে ইরান, তুরস্ক, ইরাক সিরিয়া চাচ্ছে অ্যামেরিকার বিরোধী হয়ে নতুন ভাবে বিশ্বে ইসলাম প্রচার করতে, যদিও তাদের নিজেদের মাঝে কিছুটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল আছে।

''ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে'' একটা বড় টার্ম হচ্ছে ''ডিভাইড এন্ড রুলস''। এর মানে হচ্ছে ভাগ কর আর শাসন কর। এই পলিসি কে কাজে লাগিয়ে অ্যামেরিকা বর্তমানে ''ওয়ার্ল্ড পলিটিক্সে'' লিড দিয়ে আসছে। আর এর জন্য তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ''আইএস'' এর প্রচলন করে তা মুসলমানদের উপর ই চাপিয়ে দিচ্ছে।

আচ্ছা সব দুধভাত। মনে করেন আমরা ধরেই নিলাম ''আইএস'' মুসলমানদের সৃষ্টি। ওকে ফাইন ! আচ্ছা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কে? উত্তর হচ্ছে ''ইহুদী''।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে, ''আইএস'' এর অবস্থান থেকে পাশের দেশ টি ইসরায়েল হওয়া সত্তেও কেন তারা ইসরায়েলে আক্রমণ না করে সকল মুসলমানদের আক্রমণ করে???
কেন অযথাই হামাস, হিজবুল্লাহ এর মত মুসলমান অধ্যুষিতদের আক্রমণ করে???
কেন ইসলামের নিয়ম কানুন বাস্তবায়ন না করে শিয়া/সুন্নি মতভেদের কারণে নাক্কারজনক ভাবে মুসলমানদের পুড়িয়ে মারে???

প্রশ্ন আমি ছুঁড়ে দিলাম, আশা করছি উত্তর টা আপনারা দিবেন। আর তারপরেও যদি কেউ বলে ''আইএস'' মুসলমানদের সৃষ্টি তাহলে তাহলে আমাকে ''আব্রাহাম লিঙ্কন'' এর সেই বিখ্যাত উক্তি দিয়ে লেখা টি শেষ করতে হবে। তিনি বলেছিলেন,
''আপনি কিছু মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন,
আপনি সব মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন,
কিন্তু আপনি সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন না !!!''

---গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৪

মাহফুজ আলআমিন ( Auspicious Fate ) বলেছেন: ভালো লেগেছে, আপনার নাম উল্লেখ করে পোস্ট টা ফেসবুকে শেয়ার করতে চাচ্ছি। দেয়া যাবে?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৫

প্রিয় বিবেক বলেছেন: হুম জযাবে ভাইয়া, দেন সমস্যা নাই।

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: আচ্ছা মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু কে? উত্তর হচ্ছে ''ইহুদী''

সবচেয়ে বড় ভুলটা এখানেই.........মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু মুসলমানরাই। আমরা নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে আম্রিকা-ইসরাইলিদের দেষ দেই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৬

প্রিয় বিবেক বলেছেন: আপ্নি কি হাদিস কে মিথ্যা প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? নাকি নিজেকে অনেক কিছু প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? তবে অন্য এক দিক থেকে আপনার কথা ঠিক।

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ইলি বিডি বলেছেন: আম্রিকা সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারবে না !!!''

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৮

প্রিয় বিবেক বলেছেন: সেটাই !!!

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ইলি বিডি বলেছেন: আম্রিকা সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারবে না !!!''

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.