![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি একজন মানুষকে পছন্দ করো, সে মানুষ টি আরেকজন কে পছন্দ করে, আবার সে মানুষ টি অন্য কাউকে পছন্দ করি। এরকম অপেক্ষমান হয়ে ঘূর্ণয়নের মত আবর্তিত হতে থাকে মানব জীবন। ব্যাপার টি অনেক টাই এমন যে সবাই সবাইকে চায় কিন্তু কেউ কাউকে পায় না।
ইতোমধ্যেই তুমি তোমার পছন্দের মানুষকে প্রপোজ করেও তাকে নিজের তালিকায় পাও নি বলে এক ধরনের হিংস্রতার লেলুপ দৃষ্টি পড়েছে তোমার দিকে। নিজের উপর জিদ করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছ, তুমি জানো বিছানায় মাথা রাখা মাত্রই তোমার ঘুম আসবে তাও তুমি ঘুমের ট্যাবলেট গিলছ, রুটিন করে নিরিবিলি তার জন্য দিনে ৪ বেলা কান্নাকাটি করছ, তুমি জানো তোমাকে বাঁচতে হবে তাও মাঝে মাঝে সুইসাইড এটেম্পট নিয়ে নিচ্ছ, পাশে ব্লেড পেলেই হাত কাটাকাটির মত পৈছাসিক তাণ্ডবতায় মেতে উঠেছ তুমি। আর কারণ হিসেবে একটাই দেখাচ্ছ নিজের মন কে, সেটা হচ্ছে তোমার পছন্দের মানুষ তোমাকে পছন্দ না করে অন্য কাউকে পছন্দ করে। এই তো !!!
আচ্ছা কখনও কি শুনেছ ভালোবাসার মানুষ চলে কেউ মারা যায়? উঁহু, শুনো নি, আর শুনবাও না। তবে ভালোবাসার মানুষ চলে গেলে কেউ না মরলেও ভালোবাসার মানুষ চলে যাওয়ার কষ্ট সইতে না পেরে অনেকেই মারা গিয়েছে এবং যাবে। কারণ তারা অনেক বেশী ইমোশনাল। তারা মনে করে মরে গেলেই সব শেষ। কিন্তু এটা মূর্খতামি ছাড়া আর কিছু না।
ভালোলাগা কে সবসময় হাতের কাছে পেতে হয় না। মাঝে মাঝে এঁকে দূর থেকে দেখাই ভালো। আমাদের কাছে চাঁদ ভালো লাগে, তারা ভালো লাগে, সূর্য ভালো লাগে, শুকতারা ভালো লাগে, জোস্না ভালো লাগে, কিন্তু সব কিছুকে কি আমরা হাতের নাগালে পাই? উঁহু, কিছু কিছু জিনিস দূরে থেকে দেখাই ভালো, নাহলে ভালো লাগার ত্যাজে ভালোলাগা শেষ হয়ে যাবে। আর বিলীন হয়ে যাবে ভালোলাগার অস্তিত্ব।
তুমি যখন ৩ বেলা না খেয়ে ৪ বেলা তার জন্য কান্নাকাটি করতেছো, ঠিক সে সময়ে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে রেস্টুরেন্ট এ যেয়ে ঠিক ই পেট ভরে খাচ্ছে। সে একবারও ভাবে নি তুমি খাইছ কি খাও নাই? তোমার না খাওয়াতে তার কিচ্ছু যায় আসে না। এখন কথা হচ্ছে, সে যেহেতু তোমার কথা চিন্তা করে না, সেখানে তোমার কি ঠ্যাকা পড়ছে নাকি যে তার জন্য অনশন দিতে হবে?
ভালোবাসা টাও এখন কমার্শিয়াল হয়ে পড়ছে। স্বার্থ আছে তুমি আছ, স্বার্থ নাই তুমিও নাই। এখন আর ''লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ'' লেভেলের ভালোবাসা নাই বললেই চলে। এখন আর সে লেভেলের ভালোবাসা নাই বললেই চলে। এখন মাঝ রাতে ঘুম থেকে উঠে বাঁশি বাজালে অপর প্রান্ত থেকে প্রেমিকা ঘর থেকে বের হয়ে যায় না, আয়না সামনে নিলেই প্রেমিকার ছবি ভেসে উঠে না। আবার আজ যা আছে ৫০ বছর তাও থাকবে না। এটাই বাস্তবতা।
ট্রাষ্ট মি, কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। জীবন জীবনের গতিতেই চলে। কয়েকমাস পার হলেই তুমি ঠিক হয়ে যাবা, কিন্তু তোমার শরীরে কাটাকাটির দাগ সারাজীবনেও যাবে না। তখন তুমি গলা ফাটিয়ে চিতকার করে সে দাগ মুছতে চাইলেও পারবে না। টাই কি দরকার নিজেকে কষ্ট দেওয়ার? নিজেকে একটু কন্ট্রোল করতে শিখো। আর মাথায় রাইখ, ''কাউকে নিজের অধিকারের চেয়ে বেশী কিছু দিতে যাইয়া নিজেকে পণ্য বানাইও না।'' নাইলে সারাজীবন পণ্য হয়েই থাকতে হবে, মানুষ আর হতে পারবা না !!!
---গোলাম রাব্বানী
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভালো বলছেন ভাইয়া।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হয়ত থেমে যায় না, তবে কতবার যে থেমে যাবার মুখ থেকে ফিরে আসতে হয় সেই হিসেবটা রাখা আসলে সম্ভব হয় না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৫
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভালো বলছেন ভাইয়া।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
জল ও ছবি বলেছেন: বর্তমান সময়ের ভালোবাসা মানেতো ছেলেদের পকেটে টাকা রাখা। আমি বাজিধরে বলতে পারি বেশিরভাগ ছেলেদের ভালোবাসা মানে মেয়েদের শরীর। যেহেতু শরীর নশ্বর সুতরাং প্রেমও নশ্বর।