নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের বাবার রাজকন্যা আগামিদিনের কারো ঘরণী !!!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩৫

মেয়েটি আজ নববধূর সাজে কণের আসন দখল করে নিয়েছে। মেয়েটি পার্লার থেকে সেজে এসেছে, খুব সুন্দর লাগছে তাকে যেন কোন এক রাঙ্গাপরি এই মুহূর্তে আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসলো। আমি তাকিয়ে আছে তার দিকে। আমি মেয়েটির কাছের কেউ না, তাও তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার এ তাকানো অবৈধ নয়, বড্ড বেশী বৈধ।

আমি তার দিকে তাকিয়ে তার দৃষ্টিতে এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করছি। ঠিক আজকের এই দিনটির জন্য সে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছিল, যেন সে একজন ভালো স্বামী পায়। সে হয়তো এই স্বামীর জায়গায় আজকের বর নামক মানুষটির পরিবর্তে অন্য একজন কে চেয়েছিল।

সে এখন স্টেজে বসে আছে তার বরের সাথে। সবাই তাদের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। বর খুব লাজুক ধরনের, কনে ও কম যায় না। বর মাঝে মাঝে কণের দিকে তাকায় আড় চোখে, আর কণে ও তাকায় উদাস ভঙ্গিতে। কণে এবার তাকাল বরের দিকে আর আমি এখনও তাকিয়ে আছি কণের দিকে। সে তার এই বর কে পেয়ে অনেক সন্তুষ্ট, কিন্তু সব সন্তুষ্টি কে ছাপিয়ে সে নিজেকে আরও বেশী সন্তুষ্ট করতে ছেয়েছিল কিন্তু তার পরিবার মেনে নেয় নি তাদের সম্পর্ক।

মেয়েটির হাতে টিস্যু। মুখের ঘাম মুছার ফাঁকে ফাঁকে চোখের অশ্রুগুলো মুছে নিচ্ছে খুব সতর্কভাবে যেন কেউ বুঝতে না পারে। আর ছেলেটি সেখানে বসে হয়তো বাসর রাতের কথা ভাবছে হয়তো বিয়ের পরের হানিমুন এর কথা ভাবছে। কিন্তু মেয়েটি শুহদুই ভাবছে তার অতীতের কথা।

মেয়েটি ভাবছে দুঃখের কথা, বেদনা কথা, মমতার কথা, স্মৃতির কথা.
মেয়েটি একটু পরেই হয়তো বরের সাজানো গাড়িতে উঠবে, মাকে-বাবাকে-প্রিয় বোন কে- কাছের বান্ধবি কে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে আড় অশ্রু শুকিয়ে যাবার আগেই টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলবে। যেন কেউ তার চলে যাওয়া দেখে দুঃখ না পায়। সে মেয়ে সে নিজে কাঁদে কাঁদুক তাতে তার খারাপ লাগে না, কিন্তু তার জন্য কেউ কাদলে তার বড্ড খারাপ লাগে।

মেয়েটি এতদিন যেখানে বাবার রাজকন্যা ছিল সেখানে আজ থেকে সে অন্যের অধিকারভুক্ত ঘরণী। এভাবেই একজন রাজকন্যা থেকে একজন কণের গল্প শুরু হয়, আড় তারপরে স্বামী ভালো হলে ভালোবাসার গল্প শুরু হয় আড় স্বামী খারাপ হলে একজন নির্যাতিতার গল্প শুরু হয়। নারী শোষিত হয় কিন্তু কখনোই কাউকে মুখ ফুটে বলে না, সে মনে করে এতে তার স্বামীর অপমান হবে। সে স্ত্রী হয়ে মার খায় খাক, এটা তো আড় কেউ দেখবে না, হয়তো স্বামী ই আবার ভালবেসে তাকে অনেক আপন করে নিবে। সে স্বামীর সাথে যতই অভিমান করুক না কেন দিন শেষে একজন নারী তার স্বামী কে অনেক বেশী ভালোবাসে, অনেক বেশী !!!

নারী,
উপরের আকাশ টির দিকে তাকাও একবার। একটু ভালো করে লক্ষ কর আকাশের মাঝে কত ছোট বড় দাগ। এগুলো কিসে দাগ জানো?
তার দুঃখের দাগ, ক্ষতের দাগ। সে কি কখনো তোমাকে তার সৌন্দর্য দেখানো থেকে বিরত রেখেছে? সে কি কখনো আল দেওয়া থেকে বিরত রেখেছে?
না রাখে নি, কারণ সে জানে দিন শেষে জয়টা তারই হবে, এটাই স্রষ্টার ইশারা।
ঠিক তেমনি ভাবে তোমার মনে যতই দুঃখ-বেদনা থাকুক আন কেন দিন শেষে হাঁসি ফুটবে তোমার মুখেই, মমতা হয়ে, ভালোলাগা হয়ে, ভালোবাসা হয়ে !!!

---গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৭

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: তোমার মনে যতই দুঃখ-বেদনা থাকুক আন কেন দিন শেষে হাঁসি ফুটবে তোমার মুখেই, মমতা হয়ে, ভালোলাগা হয়ে, ভালোবাসা হয়ে !!! সবার ক্ষেত্রে তাই হোক।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

প্রিয় বিবেক বলেছেন: সবার ক্ষেত্রে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.