![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে রাজনীতি করি, ঠিক না?
খুব সহজেই আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে যেয়ে কুণ্ঠিতবোধ করি না, কিন্তু আমাদের এ মহান মুক্তিযুদ্ধের পেছনে যে কত শত, সহস্র বেদনার গল্প আছে তা আমরা জেনেও জানি না কিংবা জানতে চাই না। আমরা যখন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে এরকম ঘটনা শুনি কিংবা কোন বই এ পড়ি তখন শরীরে শিহরণ খেলা করে উঠে।
সেখান থেকে কিছু অংশ তুলে ধরা হল,
যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীরা বেশীরভাগ সময় রাতে টহল দিত এবং মুক্তিবাহিনীর খোঁজে থাকতো। এসময় তারা প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে যেয়ে খোঁজ করতো। যে বাড়িতে মুক্তিবাহিনীর খোঁজ মিলত সেখান থেকে তারা তাকে নিয়ে আসতো তাদের ক্যাম্পে। আর যাদের বাড়িতে মুক্তিবাহিনীর দেখা মিলত না সেখানে তারা ঘরের নারীদের উপর অমানুষিক নির্যাতন করতো। এমনকি মায়ের সামনে মেয়েকে, মেয়ের সামনে মাকে ধর্ষণ করত এবং তখন নারীদের কে বলা হত তারা যদি তাদের মুক্তিবাহিনীর আশ্রয়স্থল এর ঠিকানা দেয় তাহলেই তারা মুক্তি পাবে। নারীরা সবই জানে কিন্তু কোনদিন সে ব্যাপারে পাকিদের কাছে মুক্তিবাহিনী সম্বন্ধে মুখ খুলে নি। কারণ তারা ছেয়েছিল তারা নিঃশেষ হয়ে যাক কিন্তু তারপরেও যেন একটি স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়।
পালাক্রমে ধর্ষণের পর তাদের বুক ঝাঁজরা করে দেওয়া হত সেখানেই। একের পর এক লাশ পড়তে থাকতো, রক্তের বন্যা বয়ে যেত কিন্তু পাক বাহিনী তাদের বর্বরতা থামায় নি। এমনও দেখা গিয়েছে কোন কোন নারী মুখ খুলে নাই দেখে তাদের স্তন কেটে ফেলা হয়েছে, বেয়নট দিয়ে তাদের শরীরের কোমল অঙ্গ কে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলা হয়েছে এবং সাথে ছিল মধ্যযুগীয় বর্বরতা। এমনকি যখন লাশ পচতে শুরু করেছিলো তখন ও তারা নির্যাতন করতে ভুলে নি।
এরকম অজস্র অজস্র ইতিহাস আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের।
মুক্তিযূদ্ধ কোন ছেলে ভুলানো রূপকথার গল্প নয় বা মধ্য রাতে টেলিভিশনের পর্দায় দেড় লিটার টাইপ চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে আতেল মার্কা আলোচনার নামে শহিদের সংখ্যা ৩০ লক্ষ নাকি কম, শরনার্থি কত ছিল কিংবা কোথায় কি ভুল হয়েছে তা শুধরে নেওয়া নয়। মুক্তিযুদ্ধ কোন প্রেম বা ভালোবাসা জাগানোর মত কোন রোম্যান্টিক উপন্যাস নয়। মুক্তিযুদ্ধ কোন কমেডি বক্স নয়। মুক্তিযুদ্ধ মানে হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ নয়, মুক্তিযুদ্ধ মানে সাম্প্রদায়িকতা নয়,
বরং মুক্তিযুদ্ধ মানে অসংখ্য বিসর্জনের মাঝে কাঁধে কাধ মিলিএ এগিয়ে যেয়ে এক মহান অর্জন, মুক্তিযুদ্ধ মানে অনেক নির্ঘুম রাত, মুক্তিযুদ্ধ মানে একটি মানচিত্র, মুক্তিযুদ্ধ মানে একটি নতুন বাংলাদেশ, আর সর্বশেষে মুক্তিযুদ্ধ মানেই এক মহান মুক্তিযুদ্ধ !!!
আজ আমরা রাজনীতি করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা টাইটেল লাগানোর প্রতিযোগিতা করি, আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধ এর নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক পোস্ট নেই, আজ আমরা মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলি।
খুব জানতে ইচ্ছে করে কোন সাহসে আমরা মুক্তিযুদ্ধ কে বিকৃত করি? কোন সাহসে আমরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রশ্ন তুলি? কে দিল আমাদের এমন সাহস?
সবশেষে শুধু একটি কথাই বলবো,
আমি গণতন্ত্র বুঝি না, আমি রাজতন্ত্র বুঝি না, আমি বিএনপি বুঝি না, আমি আওয়ামীলীগ বুঝি না, আমি শুধু বুঝি আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক। যে স্বাধীনতা এসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের কারণে। তাই যেই মহান মুক্তিযুদ্ধ কে নিয়ে প্রশ্ন তুলবে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বেশী দেরি করবো না !!!
---গোলাম রাব্বানী
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভালো বলছেন ।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০
টি এম মাজাহর বলেছেন: সহমত।
মুক্তিযুদ্ধের নাম করে বিভিন্ন বানানো গল্প তৈরীর প্রতিযোগিতায় নামছেন অনেকে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় "পারসোনা থেকে সেক্সসিম্বল সাজ নিয়ে" মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার ঘটনা বানানোতে কোন চেতনা কাজ করেছে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা তা বুঝেন না। মুক্তিযোদ্ধারা বেচে থাকবার পরও এই রূপকথার গল্প যারা সাজাচ্ছেন তারা আজ নিজেদের খুব মহান অনুভব করলেও বুঝতে পারছেন না যে, এইসব বানানো রূপকথা নিয়ে আজকে আপনারা ব্যবসা করতে পারলেও সত্যিকারের ঘটনাগুলো রূপকথার ভিড়ে হারিয়ে যাবে। সত্যি ঘটনা আর বানানো কথার মধ্যে দুরত্ব কমে গেলে কি রূপকথার ক্ষতি, না সত্যিকথার ক্ষতি ? ভাববে কে? মুক্তিযুদ্ধ কে পুজি করে চলা ব্যবসায়ীরা আর মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা এক অর্থে দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের চেতনা থেকে নতুন প্রজন্মকে একই সাথে মিসগাইড করছে না? ভাববে কে ?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০
প্রিয় বিবেক বলেছেন: প্রশ্ন টা সেখানেই থমকে গিয়েছে, ভাববে কে?
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
অশিক্ষিত জাতির গৌরবময় ইতিহাসও সময়ের সাথে হারিয়ে যায়
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভাই আপনি কি পজিটিভ কিছু ভাবতে পারেন না?
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
অভিমানী হীরা বলেছেন: আমাদের দেশে যারা মুক্তি যোদ্ধাদের গালি দেয় সংখ্যা নিয়ে সংশয় করে তাদের কে দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত বলে মনে করি।