নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যখন সমস্ত বাংলাদেশ এক তনু হত্যার প্রতিবাদে অগ্রসর ঠিক তখনই একজন "মা" লাঞ্ছনার শিকার হলেন।
"লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সন্তানের সামনে মাকে বিবস্ত্র করে গাছের সাথে হাত-পা বেঁধে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে মাথা ন্যাড়া করে গলায় জুতার মালা পরিয়ে উল্লাস করেছে তারা।"
"ঐ মায়ের অপরাধ কি ছিল সেটা নিয়ে এখন কথা বলবো না। কিন্তু অপরাধ যাই হোক না কেন, তাই বলে নিজের ছেলের সামনে বিবস্ত্র করবে? গাছের সাথে বেঁধে মারধর করবে? মাথা ন্যাড়া করে দিবে? তারপর সবাই মিলে হলি খেলার ন্যায় আনন্দে মত্ত হয়ে উঠবে???"
হে আল্লাহ, এতো কিছু ঘটার আগে তুমি পৃথিবী কে ধ্বংস করে দিলা না কেন? কি দরকার ছিল পৃথিবী টিকিয়ে রাখার? আর কি কি দেখলে তুমি ক্ষান্ত হবে? একটু মুখ খুল বিধাতা, একটু মুখ খুল ঈশ্বর !!!
হে বাংলাদেশ, তুমি সত্যি ই মহান।
তুমি আমাকে আর কিছু দিতে না পারলেও দিনের শুরুতে সোনালি সূর্যের ঝলক দেখানোর মাঝে ভালো কিছু "ব্রেকিং নিউজ" দিতে পারো, যা প্রমাণ করিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট যে আমাদের দেশের "মা/বোনেরা" দিন শেষে ভালো নেই, সত্যিই ভালো নেই। তাদের প্রতিটি ভালোলাগা এখন তথাকথিত কিছু পুরুষ নামের হায়েনাদের দখলে।
নারীর প্রতিটি আর্তনাদ, প্রতিটি চিৎকার, প্রতিটি নীরব দীর্ঘনিঃশ্বাস, প্রতি ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন ই বলে দেয় তাদের জন্মই যেন আজন্ম পাপ !!!
বাংলাদেশ, প্লিজ তুমি ই বলে দাও, কবে এর থেকে মুক্তি পাব, কবে ???
মা, আমরা তোর মেয়ে তনুর ধর্ষক কে এখনও প্রশাসন গ্রেপ্তার করতে পারে নি। সে হয়তো মরে গিয়েই বেঁচে গেছে। কিন্তু মা, তুই এখনও বেঁচে আছিস। তোকে, যারা অন্যায়ভাবে তোর সন্তানের সামনে এভাবেই হেয় করলো তাদের আমরা চিনতে পেরেও কিছুই বলতে পারছি না। আমরা তোর সন্তানেরা এতটাই নির্বোধ, যে তোর জন্য কিছুই করতে পারলাম না মা, কিছুই করতে পারলাম না।
তুই কেন মরে গেলি না মা? কেন মরে গেলি না?
মা, তুই মরে গেলে অন্তত বেঁচে থাকার অপবাদ, তীব্র যাতনা, তীব্র কষ্ট, প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে বেঁচে থাকতে হত না। তুই মরে গেলেই ভালো থাকতি। আমরা তোর কদর না বুঝলেও স্রষ্টা তোর কদর ঠিক ই বুঝতেন। তোকে ভালো রাখার জন্য সব বন্দোবস্ত তিনি হয়তো করে রেখেছেন। সেখানে তুই নিচ্ছয়ই ভালো থাকতি, নিচ্ছয়ই ভালো থাকতি !!!
একজন সন্তান হিসেবে যখন কিছুই করার থাকে না, তখন সে সন্তান তার মাকে ঈশ্বর কাছে ছেড়ে দিয়ে মায়ের সুখের জন্য মৃত্যু কামনা করে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হলে একজন সন্তান এমন টা লিখে !!!
যখন এ পোস্ট টি লিখছি, তখন আমার চোখের পানিতে কি-বোর্ড ভিজে যাচ্ছে বারবার। তারপরেও চোখের পানি মুছে আমি লিখে যাচ্ছি। কিছুই তো করতে পারলাম না মায়ের জন্য। অন্তত মায়ের দুঃখ টা তুলে ধরি। যেন সামনে থেকে আর কোন মাকে কাঁদতে না হয়, সন্তানের সামনে বেঁচে থাকার লজ্জায় চোখ লুকাতে না হয়!!!
---গোলাম রাব্বানী
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২
দেলোয়ার হোসেন শরিফ বলেছেন: ঘটনাটি নিজ উপজেলায় তাই নিজেকে আপরাদি মনে হয়।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩১
এসব চলবে না..... বলেছেন: শরিফের বাড়ি কোথায়?
আমি নন্দনপুরের।
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৫২
প্রিয় বিবেক বলেছেন: সরি ????
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০২
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ........... হাসাইলেন।
আপনি এত জ্ঞানী লোক অথচ।