![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-মেয়েটি যখন তার ছোট ভাই এর সাথে খেতে বসে, তখন তার মা ছোট ভাই এর পাতে মাছের বড় পিস টুকু তুলে দিলেও তার পাতে তুলে দেয় মাছের ছোট পিস টি। সে জানে বড় টুকরা টি তারই প্রাপ্য কিন্তু সে সব বুঝেও ব্যাপার টিকে এরিয়ে যায়। কারণ ছোট বেলা থেকেই তার মা তাকে শিখিয়েছে মেয়েদেরকে ত্যাগী হতে হয়।
এখানে তাকে ত্যাগী হবার অভিনয় করতে হয়।
-বাসায় বেশি মেহমান আসলে অনেক সময় ফ্লোরিং করতে হয়। মেয়েটি নিজে থেকেই ফ্লোরে বিছানা করে। সে নিজে কষ্ট করে কিন্তু কাউকে কষ্ট করতে দেয় না। আবার মাঝে মাঝে আগের রাতের ঠাণ্ডা ভাত থাকলে পরের দিনের সকালের নাস্তা বলে সে চালিয়ে দেয় কিন্তু অন্যরা ঠিকই সদ্য বানানো নাস্তা খায়।
এখানে তাকে সঁপে দেওয়ার অভিনয় করতে হয়।
-বিয়ের পর মেয়েটিকে যখন বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি নেওয়া হয় তখন তার চোখের কোনে অশ্রুরা খেলা করতে থাকলেও সে তা লুকিয়ে রাখে। কাউকে বুঝতে দেয় না তার দুঃখের কথা এই ভেবে যে তার বাবা তার চোখে পানি দেখলে নিজেও কাঁদবেন।
এখানে তাকে চোখের পানি লুকিয়ে রাখার অভিনয় করতে হয়।
দিন শেষে একজন মেয়ে সত্যিই অনেক বেশি অভিনয়ী। আর তাই সে তার মায়ের দুঃখে সবার আগে কাঁদে, বাবার কষ্টে সবার আগে বাবার পাশে গিয়ে বসে, ভাইয়ের কষ্টে সবার আগে মাথায় হাত বুলায়, ছেলের কষ্টে সবার আগে সান্ত্বনা দেয়, স্বামীর কষ্টে সবার আগে উৎকণ্ঠায় থাকে।
সত্যিই মেয়েরা অনেক পারে, অনেক।
মেয়েদের এ ত্যাগের নাম যদি অভিনয় হয়ে থাকে তাহলে আমি বলবো, "বেঁচে থাকুক এ অভিনয় জনম জনম ধরে, আর বেঁচে থাকুক শিল্পীরা।"
---গোলাম রাব্বানী
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৩৩
প্রিয় বিবেক বলেছেন: হাহাহা
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২২
ভবোঘুরে বাউল বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা। ভালো লেগেছে বেশ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৪০
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২৭
বিজন রয় বলেছেন: আর পুরুষরা ধর্ষনের অসীম ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়!!