![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়েটি আজ নববধূর সাজে কণের আসন দখল করে নিয়েছে। সে পার্লার থেকে সেজে এসেছে, খুব সুন্দর লাগছে তাকে। যেন কোন এক রাঙ্গাপরি এই মুহূর্তে আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসলো। আমি তাকিয়ে আছে তার দিকে। আমি মেয়েটির কাছের কেউ না, তাও তার দিকে তাকিয়ে আছি। আমার এ তাকানো অবৈধ নয়, বড্ড বেশী বৈধ।
আমি তার দিকে তাকিয়ে তার দৃষ্টিতে এক ধরনের শূন্যতা অনুভব করছি। ঠিক আজকের এই দিনটির জন্য সে নিজেকে যোগ্য করে তুলেছিল, যেন সে একজন ভালো স্বামী পায়। সে হয়তো এই স্বামীর জায়গায় আজকের বর নামক মানুষটির পরিবর্তে অন্য একজনকে চেয়েছিল।
সে এখন স্টেজে বসে আছে তার বরের সাথে। সবাই তাদের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে। বর খুব লাজুক ধরনের, কনে ও কম যায় না। বর মাঝে মাঝে কণের দিকে তাকায় আড় চোখে, আর কণে ও তাকায় উদাস ভঙ্গিতে। কণে এবার তাকাল বরের দিকে আর আমি এখনও তাকিয়ে আছি কণের দিকে। সে তার এই বর কে পেয়ে অনেক সন্তুষ্ট, কিন্তু সব সন্তুষ্টি কে ছাপিয়ে সে নিজেকে আরও বেশী সন্তুষ্ট করতে চেয়েছিল কিন্তু তার পরিবার মেনে নেয় নি তাদের সম্পর্ক।
মেয়েটির হাতে টিস্যু। মুখের ঘাম মুছার ফাঁকে ফাঁকে চোখের অশ্রু মুছে নিচ্ছে খুব সতর্কভাবে। যেন কেউ বুঝতে না পারে। আর ছেলেটি সেখানে বসে হয়তো ফুলশয্যা রাতের কথা ভাবছে কিংবা বিয়ের পরের হানিমুন এর কথা ভাবছে। কিন্তু মেয়েটি শুধুই ভাবছে তার অতীতের কথা।
মেয়েটি ভাবছে দুঃখের কথা, বেদনা কথা, মমতার কথা, স্মৃতির কথা.
মেয়েটি একটু পরেই হয়তো বরের সাজানো গাড়িতে উঠবে। তখন মা-বাব, প্রিয় বোন কিংবা কাছের বান্ধবিকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবে আর অশ্রু শুকিয়ে যাবার আগেই টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলবে। যেন কেউ তার চলে যাওয়া দেখে দুঃখ না পায়। সে মেয়ে সে নিজে কাঁদে কাঁদুক তাতে তার খারাপ লাগে না, কিন্তু তার জন্য কেউ কাঁদলে তার বড্ড খারাপ লাগে।
মেয়েটি এতদিন যেখানে বাবার রাজকন্যা ছিল সেখানে আজ থেকে সে অন্যের অধিকারভুক্ত ঘরণী। এভাবেই একজন রাজকন্যা থেকে একজন কণের গল্প শুরু হয়, আর তারপরে স্বামী ভালো হলে ভালোবাসার গল্প শুরু হয়। তারপর স্বামী খারাপ হলে একজন নির্যাতিতার গল্প শুরু হয়।
নারী শোষিত হয় কিন্তু কখনোই কাউকে মুখ ফুটে বলে না, সে মনে করে এতে তার স্বামীর অপমান হবে। সে স্ত্রী হয়ে মার খায় খাক, এটা তো কেউ দেখবে না। হয়তো স্বামী ই আবার ভালবেসে তাকে অনেক আপন করে নিবে। সে স্বামীর সাথে যতই অভিমান করুক না কেন দিন শেষে একজন নারী তার প্রিয় মানুষটিকে অনেক বেশী ভালোবাসে। বড্ড বেশি।
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৬
রসায়ন বলেছেন: ফেমিনিস্ট টাইপ লেখা । দুনিয়ার সব কষ্ট খালি মেয়েরাই পায় নাকি !? ছেলেটিরও তো কষ্ট থাকতে পারে । হয়তো কেউ তাকে ছেড়ে চলে গেছে যাকে তার ঘরণী হওয়ার কথা ছিলো । আর নারীরা শোষিত হয় মুখ ফুটে বলে না ওসব এখন শহরের দিকে অনেক কমে গেছে। হুদাই ফেমিনিজম
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৫
সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: এটা সত্য, উপমহাদেশের নারীরা কষ্ট ভোগ করে অনেক। কিন্তু এটাও সত্য এখনকার দিনগুলোতে নারীরা সবচেয়ে সুখী, অনেকাংশেই সুখী।
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:২৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত ভালো হলে তো হইছিলই!!! এখনকার মেয়েরা আগের মত সেক্রিফাইস করতে জানেনা। বরকে ভালোবাসে ঠিকই কিন্তু সেখানে অনেক শর্ত থাকে যা আবার বরের পক্ষে মেনে নেয়া কস্টকর হয়ে দাঁড়ায়...
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৯
সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: খুব সুন্দর প্রকাশ।
নারীরা আসলে সবচেয়ে বেশি ত্যাগী। দয়ালই তাদের সর্বোত্তম আশ্রয়।
ধন্যবাদ
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: নারীর ভালোবাসা যেমন তীব্র তেমনি নারীর৫ ঘৃণাও তীব্র।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ভালবাসা, ঘৃণা, আর জেদ তিনটিতেই নারীরা এগিয়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:০৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: নারীকে অপবাদ দেয়া হয় যে সে হাসিমুখে সব ভুলে অন্যের বধূ হয় । কিন্তু আধো কি ভুলে ? বিষন্ন কোন দিনে ঠিক সে তার প্রথম ভালোবাসা কেই খুঁজে ।
শিরোনাম ঠিক আছে । লেখা ভালো লাগলো । ভালো লিখেছেন ।