নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'ধর্ষণ\' এবং \'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ\' এই দুইটি টার্ম কেমন সাংঘর্ষিক না?

০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:০৫




'ধর্ষণ' এবং 'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ' এই দুইটি টার্ম কেমন সাংঘর্ষিক না?

প্রথমত, ধর্ষণ!
সহজ কথায়, কারো ইচ্ছের বিরুদ্ধে তার সাথে জোরপূর্বক মিলিত হওয়াকে ধর্ষণ বলে। এটা ইথিক্যাল কিংবা আনইথিক্যাল উভয় সম্পর্কের মাধ্যমে হতে পারে। এমনকি হাজবেন্ড যদি জোরপূর্বক ওয়াইফকে মিলিত হতে বাধ্য করে সেটাও ধর্ষণের অন্তর্ভুক্ত। আবার কেউ কোন কমিটেড রিলেশনে আছে কিংবা লিভ ইনে আছে, সেখানে কাউকে জোরপূর্বক মিলিত হতে বাধ্য করাকেও ধর্ষণ বলে।

আর দ্বিতীয়ত 'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ'!
এই টার্মটা শুনলেই কেমন যেন খাপছাড়া কিংবা লেইম শোনায় না? আমার কথা হচ্ছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবার ধর্ষণ করে কীভাবে? কিংবা ধর্ষণ করলে সেখানে আবার বিয়ের প্রলোভন দেখানোর প্রসঙ্গ আসে কীভাবে?

বিয়ের কথা চলাকালীন সময়ে, কমিটেড রিলেশনে থাকা অবস্থায় কিংবা কমার্শিয়াল রিলেশন তথা লিভ ইনে থাকা অবস্থায় যদি প্রাপ্ত বয়স্ক দুইজন মানুষ একে অপরের সাথে মিলিত হয় তাহলে তাকে আর যাই হোক ধর্ষণ বলে না। কারণ এখানে উভয়ের কনসেন্ট রয়েছে। যতক্ষণ অবধি সেক্সুয়াল ইন্টিমেসিতে কোন ধরনের ফোর্স থাকবে না ততক্ষণ অবধি সেটা রেইপ না। হ্যাঁ, এটা হতে পারে ইথিক্যাল কিংবা আনইথিক্যাল। বাট, এট লিস্ট রেইপ তো না!

হতে পারে, আগে দুইজন একসাথে থাকবে বলে মিলিত হয়েছিল। কিন্তু পরে সামহাউ তাদের বনিবনা হচ্ছে না, যার ফলশ্রুতিতে মেয়ে গিয়ে থানায় ক্লেইম করে দিল ছেলের নামে। থানাও কেইস নিয়ে নিল। আর এদিকে বাঁশ যা খাওয়ার ছেলে খেতে থাকলো। তাহলে বিষয়টা কেমন প্রতারণাপূর্ণ হয়ে গ্যালো, না?

কোনটা ইথিক্যাল কোনটা আনইথিক্যাল কিংবা কোনটা রিলিজিয়াস আর কোনটা ইরিলিজিয়াস সেটা আমি মোটেও জাস্টিফাই করছি না। আই জাস্ট ওয়ান্ট টু টেল দ্যাট, যদি টার্ম টা এমন হয়, 'বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে' তাহলে তা কিছুতেই সঠিক নয়।

হয় এটা পিওর রেইপ হবে। যেখানে শুরু থেকে শেষ অবধি মেয়েটিকে ফোর্স করা হয়েছে! সো, এরকম হয়ে থাকলে ছেলেকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা উচিত। আর যদি এটা না হয়ে এমন হয়ে থাকে যে, পিজিক্যাল ইনভলবমেন্টের ক্ষেত্রে উভয়ের কনসেন্ট রয়েছে, তাহলে দুইদিন পর রিলেশন ব্রেক আপ হোক কিংবা না হোক তা কিছুতেই ধর্ষণ না, কিংবা এক্ষেত্রে কোন ভুগিচুগি স্টেটমেন্ট দিয়ে কাউকে ধর্ষণ মামালার ফাঁসানোর কোন মানে হয় না।

-গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ৯:২৬

জটিল ভাই বলেছেন: উত্তর আপনার পোস্টেই আছে। মিউচুয়ালি যদি রেইপ না হয় তবে প্রথম কিছুদিন মিউচুয়াল করার পর বনিবনা না হলে যদি ফোর্স করে?
যদি বলেন তখন রেইপ হবে, তাহলে প্রমাণ কি তখন ফোর্স করেছে?
এই সলিউসন লিভ-ইন দিতে পারবে না। ইথিকস্ এখানে কতোটা কার্যকর? এটার সলিউসন কেবল কিছু রিলেজিয়াসেই আছে।

২| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: সল সমস্যা হলো মেয়েরা বোকা।

মেয়েগুলি হয়ত বোকা, হয়ত লোভী, হয়ত উচ্চভিলাসী, হয়ত পরিস্থিতির স্বীকার কিংবা হয়ত অভাবের তাড়নায় এই অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। কিন্ত সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে সবাই মানুষ। বেঁচে থাকার অধিকার মানুষের মৌলিক অধিকার।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২১ রাত ১০:১৯

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: স্পাউসাল রেইপ শুধু husband করে তা না, wife ও করতে পারে।

৪| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১২:১৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে আইন করা হয়েছিলো ধর্মীয় দৃস্টিকন থেকে তাই মেয়েরা শারিরিক নিজের ইচ্ছায় শারিরিক সম্পর্ক করতে পারে সেটা আইনে বিবেচনা করেনাই।

বর্তমানে লিভ ইন এর সময় মেয়েটিও শারিরিক সম্পর্কটা উপভোগ করে বলেই ছেলেটির সাথে লিভইনে যায়।

তাই বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড হিসেবে থাকার পরে, ব্রেকআপের পরে ধর্ষনের মামলা অবশ্যই ঠিক না। আইনের পরিবর্তন করা দরকার।

সামনে অব্যশই হবে। এই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে এর সমাধান আসবে আইনি পরিবর্তনের ফলে।

৫| ০৫ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: @ ব্লগা্র নতু্ন-এর সাথে সহমত।

এটা অনেকটা আমাদের দেশে ক্রস ফায়ারে হত্যার মত। যে প্রলোভন দেখায় তার যদি শাস্তি হয়, যে প্রলোভিত হবে তারও শাস্তি হওয়া উচিৎ নয় কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.