![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনি খুলনা ৬ আসনের আওয়ামীলীগের অবৈধ এমপি; নামঃ এডভোকেট শেখ নুরুল হক…একই এলাকার মোহাম্মদ ফকির আলীর ইটভাটাটি খুব পছন্দ হয়েছে নুরুল হক সাহেবের; তাই ফকির আলী কে জেলা আওয়ামীলীগের অফিসে ডেকে নির্দেশ দেন ইটভাটাটি তার নামে লিখে দিতে, এমপি সাহেবের দুই পা ধরে কাকুতি-মিনতি ও কান্নাকাটি করার পরও শেখ সাহেবের মন গলেনি…শেষে জেলা আওয়ামীলীগের অফিস থেকে বের হয়েই কীটনাশক পান করে মৃত্যুবরণ করেন ইটভাটার মালিক মোঃ ফকির আলী।
///////////////////////////////////////////////////////////////////////////////////
এই ইটের ভাটার আয় দিয়ে আমার পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণ ও ছেলের লেখাপড়া সবকিছুই চলে। লাখ লাখ টাকার ইট বাকিতে নিয়েছে তা আদায় করতে পারছি না। এই মুহূর্তে আপনি আমার ভাটাটি লিখে নিলে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে যাবো। ব্যাংকের কাছ থেকে আমার ঋণ নেয়া আছে। তাও পরিশোধ করতে পারছি না।’ এভাবেই বার বার আকুতি জানিয়ে খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শেখ মো. নূরুল হকের দুই পা জড়িয়ে ধরে আকুতি জানিয়েছিলেন আলী ফকির। কিন্তু কোন আকুতিই হৃদয় গলাতে পারেনি এমপি নূরুল হকের। তিনি তার লোকজনের সামনে বার বার হুঙ্কার দিয়ে বলছিলেন, বাঁচতে হলে তোর ভাটা ছাড়তে হবে, নইলে তোর মরতে হবে। গত বুধবার বিকালে এ ঘটনার একপর্যায়ে নূরুল হকের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যান এআরবি ব্রিকস-এর মালিক লিয়াকত আলী ফকির (৫৫)। এসময় অশ্রুসজল চোখে তিনি বলছিলেন, সন্তানতুল্য ইটভাটাটি দখল করার আগেই দুনিয়া থেকে চলে যাওয়াই ভালো। এরপর বাড়ি যাওয়ার পথে সরল বাজার থেকে বেগুন গাছে কীটনাশক দেয়ার কথা বলে এক বোতল কীটনাশক কিনে নিয়ে যান বাড়ির সামনে গিয়ে তা পান করে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১২টার দিকে লিয়াকত আলী ফকির মারা যান। দুপুরে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের বান্দিকাঠি গ্রামের নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। এসময় হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে লিয়াকত আলী ফকিরের আত্মীয়-স্বজনরা ঘটনার বর্ণনা দেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার দুপুরে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শেখ মো. নূরুল হক তার কার্যালয়ে এআরবি ব্রিকস-এর মালিক লিয়াকত আলী ফকিরকে ডেকে পাঠান। সেখানে তার লোকজনের সামনে তাকে তার এআরবি ব্রিকসটি এমপির নামে লিখে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এতে রাজি না হওয়ায় সংসদ সদস্য উত্তেজিত হয়ে বলেন, ইটভাটাটি তোকে লিখে দিতে হবে, নইলে তোকে এলাকা ছাড়া হতে হবে। তোর জীবনের চেয়ে তো ইটভাটার মূল্য বেশি নয়। এখান থেকে লিয়াকত আলী বেরিয়ে সরলবাজার থেকে কীটনাশক কিনে এবং তা পান করে আত্মহত্যা করে। এলাকাবাসী বলছে, এটি আত্মহত্যা নয়, এটি হত্যা। আসরবাদ লিয়াকত আলীর বাড়ির সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তার একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন পাইকগাছা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। আর একমাত্র মেয়ে তাসলিমার বিয়ে হয়ে গেছে। স্ত্রী আমেনা বেগম স্বামী হারিয়ে বাকরুদ্ধ।
ইটভাটা মালিক লিয়াকত আলী ফকিরের অশীতিপর বৃদ্ধ পিতা মো. সুলতান ফকির হাউমাউ করে কেঁদে উঠে বলেন, ‘এই শেষ বয়সে আমার সামনে ছেলের লাশ আসবে তা কখনও ভাবিনি। আমার যে বয়স তা অনেক আগেই মারা যাওয়ার কথা। আমার বাবা লিয়াকত তো মরে নাই। ওকে মেরে ফেলা হয়েছে। এমপি যদি জোর করে ইটেরভাটাটি লিখে নিতে না চাইতো তাহলে আমার বাবার জীবন এভাবে শেষ হয়ে যেতো না। আরে বাবা তুই তো ইটেরভাটাটি লিখে দিতে পারতিস, তাও তো তুই জীবনে বেঁচে থাকতে পারতিস।’ এ কথা বলতে বলতে তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পাশে বৃদ্ধা মাতা মোমেনা বেগম বাকরুদ্ধ। বার বার বলছিলেন, ‘আমার সোনার টুকরোকে এমপি শেষ করে দিলো। ওর বিচার হবে না জানি। তাই আল্লাহর কাছে বলছি, তুমি এর বিচার করো।’
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট শেখ মো. নূরুল হক বলেন, লিয়াকত আলী ফকিরের ইটভাটাটি আরেক ব্যবসায়ীর সঙ্গে কেনাবেচার কথা চলছিল। সে জন্য আমার কার্যালয়ে বৈঠক হয়েছিল। আমি ওর ইটভাটা লিখে নিতে চাইনি। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমার জানা নেই।’
এব্যাপারে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিকদার আক্কাস আলী বলেন, এআরবি ব্রিকস-এর মালিক লিয়াকত আলী ফকিরের সঙ্গে দেনা-পাওনা নিয়ে একটি শালিস বিচারের কথা শুনেছি। তবে তার আত্মহত্যার কারণ আমাদের জানা নেই।
সূত্র: মানব জমিন
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MjYzMzU=
২| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
কানা দাজ্জাল বলেছেন: এই শুয়োরের বাচ্চা ৬ আসনের আওয়ামীলীগের অবৈধ এমপি; এডভোকেট শেখ নুরুল হক কে কুত্তা দিয়া ....র ব্যবস্থা করা যায় না? এদের বীজেইতো সমস্যা, উনি তো কেবল গাছের ফল মাত্র। বিষ ফল, এইগুলা সব বিষ ফল। হেগ আর কত লাগে? এর কোন বিচার হবে না এই বালের দেশে। এই খবরটা ব্রড মিডিয়াতেও খুব একটা আসবে না। কিন্তু আল্লাহ বলে যদি কিছু থেকে থাকে যা আমরা বিশ্বাস করি, তার নজির এইবার না দেখলেই আর চলে না।
৩| ০৩ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: ওরা মানুষ না ওরা আওয়ামিলীগ... কুকুরের থেকেও অধম ওরা...
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
মাইরালা বলেছেন: কুকুরের লেজ সোজা হয় না
আওয়ামী বদমাশদের লোভের জিব্বা টেনে শেষ করা যায় না ।
সকল বাল সরকারের সমর্থকদের প্রতি রইল এক রাশ ঘৃণা।
আল্লাহ তায়ালা নির্যাতিত মানুষটির প্রতি রহমতের ছায়া প্রসারিত করুন। প্রার্থনা ব্যতীত কিছু করার ক্ষমতা আমাদের নেই।