![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘গুম, খুন ও অত্যাচার আওয়ামী লীগের ইতিহাস’ এমন মন্তব্য করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেত্রী (শেখ হাসিনা) গডফাদারের মা। তিনি নারায়ণগঞ্জের গডফাদারের দায়িত্ব নেয়, আশ্রয় দেয়। যে গডফাদারকে আশ্রয় দেয় তার কাছ থেকে মানুষ ভালো কিছু আশা করতে পারে না।
রোববার রাতে নির্বাচনের আগে সরকার বিরোধী আন্দোলনে লক্ষীপুর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতা-কর্মী নিহত ও গুম হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আবারো খালেদা জিয়া র্যা বের বিলুপ্তি দাবি করে করে বলেন, র্যা ব, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত মানুষ গুম করছে, হত্যা করছে।
তিনি র্যারবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের গ্রেফতার দাবি করে বলেন, নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় কর্নেল জিয়া জড়িত। অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, সাত খুনের ঘটনায় র্যাাব থেকে অবসরে পাঠানো তিন সদস্যকে রিমান্ডের নামে জামাই আদর করা হচ্ছে। তাদের সত্যিকারের রিমান্ডে নেওয়া হলে, জিয়ার নাম আসবে, তার ওপরে হাসিনার নাম আসবে। হাসিনা কোনোভাবেই এ থেকে রক্ষা পেতে পারে না।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, পুলিশের সহায়তায় আওয়ামী লীগের গুন্ডাবাহিনী মিরপুরের পল্লবীতে বিহারি ক্যাম্পে আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। তিনি বলেন, এর চেয়ে বড় অপরাধ আর কি হতে পারে? এর বিচার আল্লাহ যেমন করবে, পৃথিবীতে বিচার হবে। আন্তর্জাতিক আদালতেও বিচার হবে। তখন তারা কিছু বলতে পারবে না।
বিএনপি চেয়ারপারসন নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সুদিন আর দুরে নয়, আওয়ামী লীগ বিদায় হবে, শান্তি আসবে। ঘরে-বাইরে মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে।
খালেদা বলেন, এখন দেশে আইনের শাসন নেই, প্রতি পদে পদে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কারো জানমালের নিরাপত্তা নেই। আর গণতন্ত্র তো নির্বাসিত। আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা মানুষ নয়, পশু, দানব। এরা শুধু মানুষ খুন ও গুম করতে জানে। এদের ইতিহাস হলো গুম, খুন ও অত্যাচার নির্যাসতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা। এদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই।
অনুষ্ঠানে গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইকবাল মাহমুদের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম, মো. সোলায়মানের স্ত্রী সালমা ইসলাম, ছাত্রনেতা মো. রুম্মানের মা পারভীনসহ প্রায় ২০জন বক্তব্য দেন। এসময় জানানো হয়, ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত লক্ষীপুর জেলায় বিএনপির ২২ নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। আর গত বছরের ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত আরও ১৭ জন খুন এবং ছয়জন গুম হয়েছে। তাদের স্বজনেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ আবুল খায়ের ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, যুগ্ম মহসচিব মো. শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রেহেনা আক্তার রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সু্ত্র: মানব জমিন
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:৫৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: অপরাধীর কিছুই হবেনা।