![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তখন ক্লাশ ওয়ান অথবা টু তে পড়ি । সারাদিন হাসনা আপুদের বাড়ির উঠোনে খেলা করতাম । কারন খেলা করার জন্য পাড়ার সব ছোট ছোট বাচ্চারা জড়ো হতো সেখানে ।আমাদের বাসা থেকে দুই তিনটা বাড়ি পরেই ছিল হাসনা আপুদের বাসা । হাসনা আপুর স্বামী বিদেশে থাকতো । কুয়েতে । বিয়ের দুই মাস পরেই উনি বিদেশে চলে যান । যা হোক, একদিন বিকেল বেলা আমরা সবাই মিলে ক্রিকেট খেলছিলাম। প্রায় সন্ধা হয়ে এসেছে । এমন সময় খেলার এক পর্যায়ে বলটা জানালা দিয়ে হাসনা আপার রুমে চলে যায় । আমি বলটা আনার জন্য হাসনা আপার রুমে গেলাম । এদিক ওদিক খুজে না পেয়ে শেষে খাটের নিচে উকি দিলাম।
উকি দিয়েই দেখলাম কে যেন খাটের নিচে শুয়ে আছে । খাটের তলার অন্ধকারের জন্য মানুষটাকে চিনতে পারলাম না । বলটা খাটের পায়ার কাছেই ছিল । আমি বলটা নিয়ে চলে এলাম ।
এসে হাসনা আপুকে পাগলের মত খুঁজতে লাগলাম সারা বাড়ি । শেষে ওনাকে পেলাম ,টয়লেটে গিয়ে ছিলেন উনি । দেখি এদিকেই আসছেন উনি । দৌড়ে গেলাম উনার কাছে । গিয়ে বললাম, হাসনা আপু আপনার ঘরে চোর ঢুকেছে, খাটের তলায় লুকিয়ে আছে । আমার কথা শুনে চমকে উঠলেন উনি । তারপর জিজ্ঞেস করলেন ,চোরের কথা আমি আরও কাউকে বলেছি কি না?
আমি বললাম ,শুধু আপনাকেই বলেছি । এখন সবাইকে ডাকতে যাব । চোরটাকে ধরতে হবে । বলেই যেই না দৌড় দিতে যাব, অমনি উনি আমাকে ধরে ফেললেন । বললেন, ধুর পাগল ওটা চোর না । আর শোন, তুই যা দেখেছিস কাউকে বলিস না । ঠিক আছে?? আমি বললাম ,কেন?
উনি বললেন ,সেটা তুই বুঝবি না ।
একথা বলেই উনি বললেন, তুই আম গাছটার তলে একটু দাড়া ,আমি আসছি ।
উনি তখনই তার ঘরে গিয়ে , একটা কাগজে করে কিছু নিমটি, নারকেলের নারু , আর কয়েকটা বিস্কিট নিয়ে এসে আমাকে দিলেন । তারপর আমার হাতে দশটাকার একটা নোট দিয়ে বললেন, লক্ষী সোনা কাউকে বলিস না কিন্তু ! তাহলে প্রতিদিন তোকে মজা খাওয়াবো !
দশ টাকা পেয়ে তো তখন আমি খুব খুশি! আম্মুর কাছে পাচ টাকা চাইলেও দিতে চাইতো না! আর এখানে না চাইতেই দশ টাকা ! আমি তাকে বললাম, আমি কাউকে বলবো না । তখন উনি বললেন, যা বাসায় চলে যা সন্ধা হয়ে গেছে ।
আমি চলে আসতে আসতে সারাটা পথ ভাবছিলাম চোর এসেছে ঘরে ,এটা কাউকে না জানানোর জন্য এত পিড়াপিড়ি কেন করলেন উনি? কিন্তু শিশু মনে কিছুতেই জবাব খুজে পাচ্ছিলাম না ।
তার পর দিন থেকে উনি প্রায়ই আমাকে জিজ্ঞেস করতেন যে , ঘটনাটা আমি কাউকে বলেছি কি না । আমি জবাব দিতাম ,না বলিনি । ঘটনাটার পর থেকে উনি প্রায়ই আমাকে অনেক কিছু কিনে দিতেন, অনেক কিছু খেতে দিতেন । আমি আনন্দের সাথেই তা গ্রহন করতাম । কিছুদিন পর খাটের নিচে কে লুকিয়ে ছিল তাও জানতে পারি । অনেক দিন তাকে লুকিয়ে ঘরে ঢুকতে দেখেছি । কিন্তু কাউকে কিছু বলিনি। কারন, কিছুই বুঝতে পারিনি তখন । কিন্তু এখন বড় হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি, চোর ঘরে ঢোকার পরও কেন তাকে এভাবে শেল্টার দিয়েছিলেন হাসনা আপু!
এখন , অনেক বছর হলো হাসনা আপুর স্বামী বিদেশ থেকে এসেছেন । তিনি এখন বড় ব্যবসায়ী ! তার ছেলেটাও অনেক বড় হয়ে গেছে । সুন্দর সংসার তাদের । কিন্তু বাবা বা ছেলে কেউই জানতে পারেনি বিদেশে থাকার সময় হাসনা আপুর রুমে প্রায় রাতেই চোর ঢুকতো ! এখন হয়তো ছয় মাসে একবার তার সাথে দেখা হয়, কিন্তু যতবারই দেখা হয় তত বারই তাকে দেখলে প্রচন্ড ঘৃনা হয় ।
যারা বিয়ে করে বৌ রেখে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক, তাদেরকে বলছি, যদি বিয়ে করতেই চান, তবে বিদেশ থেকে এসে তারপর বিয়ে করুন । বিয়ে করে কিছুদিন বৌয়ের সাথে রাত কাটিয়ে বৌয়ের শরীরে আগুন ধরিয়ে বছরের পর বছর বিদেশে পরে থাকবেন , আর এদিকে বৌ উপোষ থাকবে?
কক্ষনো না । আপনার ধরিয়ে দেয়া আগুন নেভানোর জন্য চোর ঢুকবেই । এতে মেয়েটার দোষ দেয়াটা অন্যায় হবে । বিয়ের আগে একটি মেয়ে বছরের পর বছর একা কাটিয়ে দিতে পারলেও বিয়ে ,বাসর হবার পর মেয়েরা ছেলে সঙ্গ ছাড়া থাকতে পারেনা ।
--Akash Hossain
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: এই ব্যাপারটি মালয়শিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে যেসকল শ্রমিকরা যায় তাদের ক্ষেত্রে অনেকাংশে সত্য। যে টাকা খরচ করে ওখানে যায় তা দিয়ে এখানে দিব্যি ছোটখাটো ব্যাবসা করতে পারে। আসলে আমাদের স্বভাব হচ্ছে আমরা স্বাধীনভাবে ব্যাবসা করার চেয়ে অন্যদের লান্চনা ও গন্জনা সহ্য করে চাকুরী করতে বেশী স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১
আজকের বাকের ভাই বলেছেন: ভাই সব নারীই এক নয়, এমন নারীর সংখ্যাও যে কম তা নয়।
পরের বউকে সরকারী মাল না ভেবে অন্য ভাবেও দেখা যেতে পারে।
বড় কথা, ইসলাম অনুযায়ী এক মুসলিম ভাইয়ের বউকে অন্য মুসলিম ভাই কখনোই খারাপ চোখে দেখতে পারে না।
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: কি বলবো ভেবে পেলাম না...
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০২
নতুন বলেছেন: দেশের সব মেয়েই এই রকমের না....
আর প্রবাসীরা ইচ্ছে করে এমন করেনা... প্রবাসীরা জীবনের সুখ বেচে দেশে টাকা পাঠায়...
দেশে অনেক ছেলেরা শুধু প্রবাসীর স্ত্রীর সান্নিধ্য পাবার ধান্দায় থাকে... তাদের উদ্দেশ্য কিছু বলুন....
৯৫% প্রবাসীর আথ`ক ক্ষমতা নেই তাদের স্ত্রীদের ঐ দেশে নিয়ে যায়.... তাই তারা বিবাহিত ব্যাচেলার হয়েই জীবনের বড় অংশ কাটিয়ে দেয়...
এদের কস্ট আপনারা দেশে থেকে বুঝতে পারবেন না...
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
ইমরান আশফাক বলেছেন: এই ব্যাপারটি মালয়শিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে যেসকল শ্রমিকরা যায় তাদের ক্ষেত্রে অনেকাংশে সত্য। যে টাকা খরচ করে ওখানে যায় তা দিয়ে এখানে দিব্যি ছোটখাটো ব্যাবসা করতে পারে। আসলে আমাদের স্বভাব হচ্ছে আমরা স্বাধীনভাবে ব্যাবসা করার চেয়ে অন্যদের লান্চনা ও গন্জনা সহ্য করে চাকুরী করতে বেশী স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি।